সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে বিপত্তি -প্রশ্নপত্র বিক্রির পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের যেসব পরীক্ষা বিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে হয়, সেগুলোর প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সক্ষমতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের থাকা দরকার। অন্যের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কিনে যখন কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন, তখন শিক্ষক হিসেবে তাঁর পরীক্ষায় তিনি অযোগ্যতার প্রমাণ দেন। বিদ্যালয়ে কী মানের শিক্ষা দেওয়া হয়, সে বিষয়েও একটা ধারণা এ থেকে পাওয়া যায়।
সম্প্রতি প্রশ্নপত্র প্রণয়নের বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক ধ্যানধারণা প্রচারের প্রসঙ্গটি সামনে আসায়। একটি সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দেশের প্রধান দুই নেত্রীর নাম ব্যবহার করে একজনের প্রতি অমর্যাদাকর ইঙ্গিত করা হয়েছে। আরেকটিতে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের প্রতি সহানুভূতিশীল বক্তব্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া কয়েকটি এলাকার প্রশ্নে জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিশ্চয় নিজস্ব রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মনে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটেছে, সেগুলোর অধিকাংশই নিজেরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেনি, বাইরে থেকে কিনে এনেছে।
এ ধরনের নিম্নমানের অথবা শিশুদের রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে প্রণীত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাসের মাধ্যমে যে শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকে, তিনিই ভালো জানেন তাঁদের শিক্ষার খোঁজখবর। শিক্ষার্থীর দুর্বলতা খুঁজে বের করে তাকে তা উত্তরণে সাহায্য করার দায়িত্ব তো ওই শিক্ষকের ওপরই পড়ে সবচেয়ে বেশি। প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাই তাঁর সম্পৃক্ততা থাকা জরুরি।
আধুনিক প্রযুক্তি হাতের নাগালে চলে আসায় প্রশ্নপত্র প্রণয়নের নানা দিক এখন অনেক সহজ হয়েছে। ছাপার জটিলতা অনেক কমে গেছে। তাই আগে যেসব প্রতিষ্ঠান বাইরে থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নিত, তাদেরও নিজেরা প্রশ্ন প্রণয়ন করার আর কোনো বাধা থাকা উচিত নয়।
তবে এ ধরনের পরিস্থিতি উদ্ভবের দায় সরকারের ওপরও কিছুটা বর্তায়। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও স্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়াই সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার উদ্যোগ কতটা সময়োপযোগী হয়েছে, সেটা ভেবে দেখা দরকার। প্রশ্নপত্র সরবরাহের যে ব্যবসা বিভিন্ন স্থানে চালু আছে, তা শিক্ষার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে যে বিপত্তি দেখা দিয়েছে, তা অবসানে গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে, তা কঠোরভাবে পালিত হবে বলে আমরা আশা করি।
সম্প্রতি প্রশ্নপত্র প্রণয়নের বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক ধ্যানধারণা প্রচারের প্রসঙ্গটি সামনে আসায়। একটি সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দেশের প্রধান দুই নেত্রীর নাম ব্যবহার করে একজনের প্রতি অমর্যাদাকর ইঙ্গিত করা হয়েছে। আরেকটিতে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের প্রতি সহানুভূতিশীল বক্তব্য উঠে এসেছে। এ ছাড়া কয়েকটি এলাকার প্রশ্নে জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিশ্চয় নিজস্ব রাজনীতি শিক্ষার্থীদের মনে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটেছে, সেগুলোর অধিকাংশই নিজেরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেনি, বাইরে থেকে কিনে এনেছে।
এ ধরনের নিম্নমানের অথবা শিশুদের রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে প্রণীত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাসের মাধ্যমে যে শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকে, তিনিই ভালো জানেন তাঁদের শিক্ষার খোঁজখবর। শিক্ষার্থীর দুর্বলতা খুঁজে বের করে তাকে তা উত্তরণে সাহায্য করার দায়িত্ব তো ওই শিক্ষকের ওপরই পড়ে সবচেয়ে বেশি। প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাই তাঁর সম্পৃক্ততা থাকা জরুরি।
আধুনিক প্রযুক্তি হাতের নাগালে চলে আসায় প্রশ্নপত্র প্রণয়নের নানা দিক এখন অনেক সহজ হয়েছে। ছাপার জটিলতা অনেক কমে গেছে। তাই আগে যেসব প্রতিষ্ঠান বাইরে থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নিত, তাদেরও নিজেরা প্রশ্ন প্রণয়ন করার আর কোনো বাধা থাকা উচিত নয়।
তবে এ ধরনের পরিস্থিতি উদ্ভবের দায় সরকারের ওপরও কিছুটা বর্তায়। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও স্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়াই সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার উদ্যোগ কতটা সময়োপযোগী হয়েছে, সেটা ভেবে দেখা দরকার। প্রশ্নপত্র সরবরাহের যে ব্যবসা বিভিন্ন স্থানে চালু আছে, তা শিক্ষার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সৃজনশীল প্রশ্ন নিয়ে যে বিপত্তি দেখা দিয়েছে, তা অবসানে গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে, তা কঠোরভাবে পালিত হবে বলে আমরা আশা করি।
No comments