ঘুমধুমে অবৈধ করাত কল
নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা নঈমুল ইসলাম বলেন, বন আইন অনুযায়ী কোনো করাত কল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। লাইসেন্স নেয়ার পর প্রতি বছর নবায়ন করতে হবে। করাত কল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছেন বলে জানান তিনি। উপজেলার বিভিন্ন করাত কল ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে অনেক করাত কল। এসব করাত কল চত্বরে গেলে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা হয়েছে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব করাত কলে বিরামহীন চলে কাঠ কাটার কাজ। জানা গেছে, অবৈধ করাত কলগুলোতে সরকার নির্ধারিত কোনো আইন ও নীতিমালা মানার কোনো বালাই নেই। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার লাইসেন্স করতে বলা হলেও প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেদারছে চলছে অবৈধ করাত কল। সীমান্তঘেঁষা পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল ভূমিতে লাগানো সব ধরনের গাছ কেটে সাবাড় করছে করাত কলের মালিক ও অসাধু ফড়িয়া কাঠ ব্যবসায়ীরা। এতে কমছে অক্সিজেনের ভারসাম্য। এ কারণে দ্রুত এ সকল অবৈধ করাত কল বন্ধের দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরদারির অভাবে করাত কল স্থাপন করে কাঠের ব্যবসা করছে। ঘুমধুমের ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, করাত কলে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়ি গাছ। অবৈধ ও লাইন্সেসবিহীন করাত কলগুলো বন্ধ করা হোক। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান ইতু বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বন, বন্যপ্রাণী ও বনভূমি সংরক্ষণ অপরিহার্য। অবৈধ মালিকদের দ্রুত লাইসেন্স করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স না করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments