নির্বাচনের নামে জনগণের সঙ্গে তামাশা
অর্ধেকের বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীহীন
নির্বাচনের ঘটনাকে জনগণের সঙ্গে তামাশা বলে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্টজনরা।
আজগুবি এ নির্বাচন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বলেও তারা মত দিয়েছেন।
সমঝোতার
মাধ্যমে টেন্ডার ভাগাভাগির মতো আসন ভাগাভাগি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ
কেউ। একটি সহযোগী দৈনিককে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেছেন,
একটা তামাশা চলছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও এ ব্যাপারে কিছুই বলছে না।
তারা দেখি এখন সরকারি দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আলোচনায় কোনো
দলই অবস্থান পরিবর্তন করবে বলে মনে হচ্ছে না। নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে, তা
স্থগিত কিংবা বাতিল করাও এখন কঠিন। কারণ, নির্বাচন কমিশন এখন তেমন পদক্ষেপ
নিলে যাঁরা ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়ে গেছেন বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়
নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পথে, তাঁরা তা চ্যালেঞ্জ করবেন। তাঁরা আদালতে যাবেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, দশম জাতীয়
সংসদের নির্বাচন একটি হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রজ্ঞাবান
রাজনীতিকেরা এটা কী করছেন, তা বুঝতে পারছি না! তবে একজন ভোটার হিসেবে আমি
এমন নির্বাচন কখনোই চাই না। দেশের কোন সাধারণ মানুষই এ রকম নির্বাচন চায়
বলেও মনে করি না। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মতো প্রার্থীবিহীন এই নির্বাচন
রাজনীতিকদের জন্য মোটেই সম্মানজনক হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেকজন সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রহসনের আয়োজন চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এটা অনেকটা সমঝোতার ভিত্তিতে একাধিক ঠিকাদারের মধ্যে টেন্ডার ভাগাভাগির মতো হয়ে গেছে। এ ধরনের নির্বাচন সরকারের বৈধতাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আশির দশকে অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনামলে দেখা গেছে ভোটারবিহীন নির্বাচন। এবার যেটা হচ্ছে, সেখানেও ভোটারদের প্রয়োজন থাকছে না। বরং নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি এবার আরও একধাপ অনিয়মের দিকে এগিয়েছে, যেখানে কার্যত প্রার্থী থাকাও দরকার হচ্ছে না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও জটিল রূপ নেবে বলেই মত দেন সবাই।
No comments