বিষপ্রয়োগেই আরাফাতকে হত্যা
বিষাক্ত পোলোনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তাতেই মৃত্যু ঘটেছিল ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের। বুধবার মুইস ফরেনসিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে বিবিসি ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই তেজস্ক্রিয় পদার্থটি এতটাই বিষাক্ত ও ধ্বংসাত্মক যে মাত্র এক গ্রাম পোলোনিয়ামের কারণে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। পোলোনিয়াম খুবই দুর্লভ এবং অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ। শরীরের ভেতরে প্রবেশের পরই পোলোনিয়ামের ভয়াবহ ক্ষমতা সক্রিয় হয়। এর ক্ষমতা এতই মারাত্মক যে মাত্র ১০ ন্যানোগ্রাম পোলোনিয়াম শরীরে ঢুকলেই মানুষের মৃত্যু হয়।
প্রায় এক কোটি মানুষকে হত্যা করতে এক গ্রাম পোলোনিয়াম যথেষ্ট। বিবিসি জানায়, সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা বলছেন তারা ইয়াসির আরাফাতের দেহাবশেষ গবেষণার পর তার হাড়ে বিষাক্ত পোলোনিয়ামের সন্ধান পেয়েছেন। আরাফাতের পাজর ও নিতম্বের হাড়ে এবং শরীরের অঙ্গ মিশে যাওয়া মাটি থেকে নেয়া নমুনায় পোলেনিয়াম’র উচ্চমাত্রা পাওয়া গেছে। যে মাত্রাটি পাওয়া গেছে তা মানবদেহের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ১৮ গুণ বেশি। প্যারিসের একটি হাসপাতালে ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান ইয়াসির আরাফাত। তখন মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন বিতর্ক বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসছিল। বিষপ্রয়োগে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এমন সন্দেহ ওঠায় মৃত্যুর প্রায় আট বছর পর ইয়াসির আরাফাতের দেহাবশেষ কবর থেকে ২০১২ সালে তোলা হয়েছে। এদিকে, শুরু থেকেই অনেক ফিলিস্তিনিদের সন্দেহ ছিল, তাদের নেতাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয় এবং এর পেছনে ইসরাইলের হাত রয়েছে। তবে এর আগে হত্যার কয়েকটি ষড়যন্ত্রের তথ্য ছাড়া এই সন্দেহের পক্ষে কোনো জোরালো প্রমাণ ছিল না। আর ইসরাইলও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল। তবে আরাফাতকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে আল জাজিরার এক প্রামাণ্যচিত্রে দাবি করা হলে নতুন করে তা নিয়ে আলোচনা ওঠে।
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার গবেষক দল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের অধিকৃত রামাল্লার সমাধি থেকে আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে।
আরাফাত বৃত্তান্ত
ফিলিস্তিন ন্যাশনাল অথরিটি’র
প্রথম প্রেসিডেন্ট কার্যালয়
জন্ম আগস্ট ৪ অথবা আগস্ট ২৪, ১৯২৯ কায়রো
মৃত্যু নভেম্বর ১১, ২০০৪ (৭৫ বছর) প্যারিস
জাতীয়তা ফিলিস্তিনি
রাজনৈতিক দল ফাতাহ
দাম্পত্য সঙ্গী সুহা আরাফাত
উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বরে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার গবেষক দল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের অধিকৃত রামাল্লার সমাধি থেকে আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে।
আরাফাত বৃত্তান্ত
ফিলিস্তিন ন্যাশনাল অথরিটি’র
প্রথম প্রেসিডেন্ট কার্যালয়
জন্ম আগস্ট ৪ অথবা আগস্ট ২৪, ১৯২৯ কায়রো
মৃত্যু নভেম্বর ১১, ২০০৪ (৭৫ বছর) প্যারিস
জাতীয়তা ফিলিস্তিনি
রাজনৈতিক দল ফাতাহ
দাম্পত্য সঙ্গী সুহা আরাফাত
No comments