রুদ্র অনির্বাণ by সভ্যতা
পানাম নগরে বুড়ো বিকেল এসে চিতই পিঠার ঘ্রাণে ধোঁয়ার বিভ্রমে বলে গেল—কোনো সভ্যতাই বিলুপ্ত হয় না; যেমন স্রোতহীন নদীরও থাকে চোরাটান, বায়ব উচ্ছ্বাস, রতি-অবসাদ। কোনো কোনো বিকেলে তাই ঘুমিয়ে পড়ার আগে পরিযায়ী পাখির পালকে গেঁথে উড়ে আসে দূর দূর সভ্যতার লিপি ও লীলা। সেখানে গুপ্তকথা, চিত্রভাষ, নৃত্যভঙ্গি ও ইশারালিখনে মুদ্রিত পরবর্তী পথ ও গতির আকাঙ্ক্ষা। সেই আকাঙ্ক্ষা আজ বুঝেছি তোমার কাছে এসে,
মানবিকা, নিরিবিলি গাছের গোড়ায় বসে প্রাচীন ভবনের পরিত্যক্ত হাওয়ার ভাষ্যে। অপ্রমেয় ক্ষরণে ও উন্মাদনে একদিন যে পাখিটি উড়েছিল পানামের আকাশে আকাশে তার পাশে তুমিও ছিলে! আর আমি এতকাল পরে পর্যটকবাহুর বন্ধনে এসে জুড়েছি অনিবার্য বিহারে; সযত্নে নিয়েছি তুলে তোমার হাসির রেণু, কান্নার কণা আর লীলার লাবণ্য। পতনের যত রীতি, তারও অধিক ওড়ার বাসনা মেনে লিখছি সুপ্ত সভ্যতার ইতিকথা।
No comments