অবশেষে এ সরকারও আন্তর্জাতিক সালিশি চাইছে by আতাউস সামাদ
সমুদ্রসীমা নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের যে বিরোধ বহু বছর ধরে চলে আসছে, সেগুলোর মীমাংসার জন্য বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের আওতায় আন্তর্জাতিক সালিশিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার (৭ অক্টোবর, ২০০৯) ভারত ও মিয়ানমারের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতদের আলাদাভাবে ডেকে এনে এ সংক্রান্ত নোটিশ ও সমুদ্রসীমা সম্পর্কে বাংলাদেশের দাবি তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
অর্থাৎ সালিশ মামলার প্রয়োজনীয় নোটিশ ভারত ও মিয়ানমারকে দিয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার। সত্যি বলতে কি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির হঠাৎ ডাকা সংবাদ সম্মেলনে আমাদের সরকারের আন্তর্জাতিক সালিশ চাওয়ার সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ ঘোষণা চরম বিস্ময় সৃষ্টি করেছে এদেশে। তার কারণ প্রথমত এই যে, এ ঘটনার মাত্র সপ্তাহ দেড়েক কি দুয়েক আগে নিউইয়র্কে যখন বাংলাদেশী সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার ভাষণে গঙ্গার পানি বা টিপাইমুখ বাঁধ প্রশ্নের উল্লেখ ছিল না কেন? তার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এসব সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। টেলিভিশনে দেখলাম তিনি এরপর বলছেন, জাতিসংঘে এনে বা আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে সব সমস্যার সমাধান হয় না। এ তো আপনারা অতীতে দেখেছেন। টেলিভিশনে প্রশ্নের সবটা উল্লেখ করা হয়নি। হতে পারে সমুদ্রসীমার বিষয়টি উল্লেখ তাতে ছিল। আমার মতো অনেকেই সেদিন সম্ভবত ধরে নিয়েছিলেন, এই বিষয়টিও বর্তমান সরকার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যেই রাখতে চায়, তার বাইরে নিতে খুব একটা ইচ্ছুক নয়। এরকম সব কথা চিন্তা করার দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত আমাদের পরম মিত্র। তার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাজোট তথা আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির বর্তমান সরকারের 'স্নেহের সম্পর্ক' আছে, মানে ভারতের বর্তমান অর্থমন্ত্রী শ্রী প্রণব মুখার্জি বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে স্নেহ করেন। (এছাড়াও আমার দেশ পত্রিকায় পড়েছি, এবার শারদীয় দুর্গাপূজার বিসর্জনের দিন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের এক মন্ত্রী তাদের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে কোনো ভিসা ছাড়াই ইছামতী নদী পার হয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে পা রেখে বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার আছে বলেই আসতে পারলাম। আমরা চাই বাংলাদেশে বার বার শেখ হাসিনার সরকার ফিরে আসুক)। তো এ রকম 'চমৎকার' সম্পর্ক থাকতে বাংলাদেশ শুধুই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছেড়ে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের আওতায় সালিশের মাধ্যমে সমুদ্রসীমার মতো গুরুত্বপূর্ণ, সপর্শকাতর ও জটিল বিষয়ে মীমাংসা চাইবে- এটা চিন্তা করা কঠিন ছিল। যাক, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার যদি ধীরে ধীরে প্রয়োজনমত বহুজাতিক কূটনীতির আশ্রয় নেয়ার চিন্তা করার অভ্যাস করে তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলকর হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। তবে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেদিন সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য সমুদ্র আইন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন, ১৯৮২-এর আওতায় সালিশিতে (অৎনরঃৎধঃরড়হ) যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, সেদিনই তার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হয়। তাতে বলা আছে যে, সালিশি শেষ হতে চার-পাঁচ বছর লাগতে পারে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেও মীমাংসা খুঁজবে। অর্থাৎ সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ দুটো পথ একই সঙ্গে খোলা রাখল। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ বিষয়টি বহু বছর ধরে ঝুলে আছে বিধায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কনভেনশনের আশ্রয় নিচ্ছে। উল্লেখ্য, তদুপরি বাংলাদেশ যে তিনটি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিদেশি দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে, সেগুলোরই দুটির ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে ভারত ও একটির ব্যাপারে মিয়ানমার। ভারত একটি কোম্পানির কাছে তাদের আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এই অবস্থায় বৃহত্তর শক্তির ভয় ও বন্ধুপ্রীতির মানসিক বাধা কাটিয়ে যে জাতিসংঘের আইন মোতাবেক সালিশি দাবি করার সাহস ও উদ্যোগ দেখিয়েছে বর্তমান সরকার, সে জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে সালিশি, বিশেষত আন্তর্জাতিক সালিশি, যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ও বেশ ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। ঝুঁকিটি দু'ভাবে আসে। এক হলো যে, সালিশির ফল মেনে নেয়াটা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ রায় যদি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বিপক্ষেও যায় তবু তা মেনে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সালিশিতে যাকে উকিল রাখা হলো, তিনি যদি ঠিকমত তথ্য, আইন ও যুক্তি তুলে ধরতে না পারেন বা তুলে না ধরেন, তাহলে সালিশির রায় বিপক্ষে যাওয়ার পূর্ণ ঝুঁকি থাকে। কিছুদিন আগে সংবাদপত্রে পড়েছি, কোনো একটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সালিশি মামলায় বাংলাদেশের নিযুক্ত করা উকিলই নাকি সরকারের দাবির বিপক্ষে কথা বলেছেন, তারপর আবার সরকারের কাছ থেকে পুরো 'ফি' আদায় করেছেন। আশা করি, সরকার এবার যে বিদেশি উকিল নিয়োগ করেছে তিনি ওরকম আদরের উকিল হবেন না (এই মুহূর্তে ওই সালিশি মামলার বিষয়টি সঠিকভাবে মনে করতে পারছি না বিধায় সবিনয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি)। এদিক থেকে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকার দি ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকাকে যা বলেছেন, তা প্রণিধানযোগ্য। গত ১০ অক্টোবর প্রকাশিত ওই মন্তব্যে তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিভাগের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার একেএইচ মোর্শেদকে বাংলাদেশের সালিশকারক নিযুক্ত করা উচিত। কারণ তিনি দেশের স্বার্থরক্ষায় বিদেশের উকিলের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ থাকবেন। তার অন্য কয়েকটি সুপারিশ হলো, ১. সমুদ্রসীমা বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ও যুক্তি সরকার যেন সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অবহিত করে; ২. সব দল যেন এ বিষয়ে একত্রে জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখে এবং ৩. সরকার যেন দেশের বিশেষজ্ঞদের সদস্য করে সালিশি মামলায় পরামর্শ দেয়ার জন্য একটা 'টেকনিক্যাল টিম' গঠন করে। তিনি এও জানান যে, গত জোট সরকারের সময় সমুদ্রবিষয়ক আইন সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ডেস্ক (বা বিভাগ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ছয় কর্মকর্তাকেও জাতিসংঘে পাঠানো হয়েছিল এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে আসতে। তিনি এও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ১৯৯১ সালে জাতিসংঘ কনভেনশন, ১৯৮২ অনুমোদন করেছিল। আমাদের মনে হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ সম্পর্কে আমাদের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জরিপ বিভাগ ও নৌবাহিনীর কাছে এতদিনে প্রচুর তথ্য জমা হয়েছে। বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক সালিশ চাইছে, আমরা আশা করব, তাতে এবং এরই মধ্যে যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয় তাতেও আমাদের দেশের সন্তানদের তাদের যোগ্যতা প্রকাশ ও প্রয়োগ করার সুযোগ দেয়া হবে। বেশ কিছুকাল ধরে আমাদের ধারণা জন্মাচ্ছে যে, দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশে বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো প্রকৃত বন্ধু নেই। তাই আমরা সে প্রয়োজনে নিজেদের কোমর শক্ত করে দাঁড়াতে পারি এবং নিজের বুদ্ধিতে চলতে পারি- এ কথাটা আমাদের যেসব উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রতিবেশী দেশ আছে তাদের জানানো দরকার। এই উপমহাদেশে আমাদের বন্ধু নেই বলে যে ধারণা হচ্ছে, তার কারণও প্রসঙ্গত উল্লেখ করি। আমাদের বিশ্বাস, ১৯৭১ সালে আমরা যে দখলদার ও নৃশংস পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই ঘটনাটি আজও পাকিস্তানিদের, বিশেষত সেদেশের শাসকদের ও সামরিক বাহিনীর মনে খচখচ করে। আমাদের মহত্তম অর্জন তাদের চোখে এমন একটি অপরাধ, যা তারা আজও 'ক্ষমা' করতে পারেনি। কাজেই তাদের মতিগতি সম্পর্কে আমাদের সাবধান থাকতেই হবে। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশীদের ওপর বিরক্ত, কারণ আমরা জাতি হিসেবে তাদের প্রতি যথেষ্ট 'বিনয়াবনত' নই এবং অন্যদিকে দাবি মাত্রই তাদের সব সুবিধা দিতে অপারগ। আরও একটা কারণ আছে, যা উল্লেখ করলেই আমার 'অসাম্প্রদায়িক' বন্ধুরা তেড়ে আসবেন। তাই তা আপাতত অনুক্ত থাকল। মোট কথা, ভারতের শাসকদের চোখে আমরা যথেষ্ট বিশ্বস্ত, বাধ্য, অনুগত ও আপন স্বার্থত্যাগী নই। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ভারতের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক এত গভীর ও গ্রন্হিগুলো এত সুদৃঢ় যে, তাদের পক্ষে নয়াদিল্লিকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়ানো এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাছাড়াও ভৌগোলিক দিক থেকে তারা ভারতের দ্বারা ভূ-বন্দি (ষধহফ ষড়পশবফ)। এটা যে কোনো দেশের জন্য বিরাট অসুবিধার ব্যাপার। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ নিজেদের সমস্যা নিয়ে এত ব্যতিব্যস্ত যে, তাদেরই বন্ধু দরকার। তাছাড়া বাণিজ্যিক ও বিদেশে কর্মসংস্থান বিষয়ে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। রইল মিয়ানমার। সেদেশের সামরিক শাসকরা বাংলাদেশকে এখনই অনেক যন্ত্রণা দিচ্ছে। তাছাড়া মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশকে তারা সন্দেহের চোখে দেখে। কারণ তারা মনে করে, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমান অধিবাসীরা সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের সাহায্য নিয়ে বিদ্রোহ করবে। অতএব আমাদের নিজের পা ও কোমর শক্ত করে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সম্মান আদায় করতে হবে এবং এই উপমহাদেশের বাইরেও বন্ধু খুঁজতে হবে। এই লেখাটি শেষ করার আগে দুটি ঘটনা স্মরণ করি। তার একটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে, ১৯৭৪-এর শেষে, কি ১৯৭৫-এর প্রথমদিকে। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি তেল-গ্যাস পাওয়ার অনেক আশা নিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ভারত তাতে শুধু আপত্তিই জানাল না, বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরে তাদের নৌবাহিনীর টহল জাহাজ পাঠিয়ে দিল। এরপর বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব জনাব ফখরুদ্দীন এ বিষয়ে আলোচনার জন্য নয়াদিল্লি গেলেন। কূটনৈতিক সূত্রে জেনেছিলাম, তার বৈঠকগুলো তিক্ততা ছাড়া কোনো সুফল আনেনি। আর ভারতের এতই উষ্মা ছিল যে, সেদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব শ্রী কেওয়াল সিং যখন জনাব ফখরুদ্দীনকে বিদায় জানানোর জন্য পালাম বিমানবন্দরে এসে পৌছলেন তখনও তিনি তর্জনী তুলে তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিলেন। শান্তশিষ্ট জনাব ফখরুদ্দীন ঠোঁটে সিগারেট ঝুলিয়ে অর্ধনিমিলিত নয়নে কথা শুনছিলেন ও মৃদু হেসে প্রতিপক্ষকে শান্ত রাখছিলেন। এ দৃশ্যটি আমার দেখা। সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের আচরণ শেখ সাহেবকে এত আহত করেছিল যে, তিনি তালপট্টি দ্বীপ সম্পর্কে অনড় অবস্থান নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো, ১৯৭৬ সালে গঙ্গার পানি ও ভারতের ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে জাতিসংঘে প্রতিবাদ জানানো। জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরকার লেগে থেকে বিষয়টি জাতিসংঘের একটি বিশেষ কমিটিতে তোলায় সমস্যাটি ওই কমিটির বিবৃতিতে স্থান পায়। তারপরই ভারত দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করতে রাজি হয়। এর ফলেই ১৯৭৭ সালে গঙ্গার পানির হিস্যা, অর্থাৎ শুকনো মৌসুমে কে কত পানি পাবে- তাই নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরমেয়াদি চুক্তি হয়। কাজেই আন্তর্জাতিক বা বহুপাক্ষিকভাবে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না, এ কথা ঠিক নয়। তবে একথাও মনে রাখতে হবে যে, গঙ্গার পানি নিয়ে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ-ভারত পাঁচসালা প্রথম চুক্তিটি করা সম্ভব হয়েছিল নয়াদিল্লিতে শ্রী মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি অকংগ্রেসী সরকার ক্ষমতায় এসেছিল বলে। লেখক : সম্পাদক, সাপ্তাহিক এখন
No comments