নাইজেরিয়ার নির্বাচনে এগিয়ে গুডলাক জোনাথন, ভোট জালিয়াতির অভিযোগ
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন জয়ের পথে রয়েছেন। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুহাম্মাদু বুহারির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। গত শনিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে জোনাথন-বিরোধীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিক্ষোভ করেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভে বাধা দিলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ৩৫টিতে ভোট গণনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জোনাথন পেয়েছেন দুই কোটি ২০ লাখ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মাদু বুহারি পেয়েছেন এক কোটি ২০ লাখ ভোট।
নাইজেরিয়ায় বেশ কয়েকটি রাজ্যে জোনাথন বিপুল ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে আকওয়া ইবোম রাজ্যে তিনি মোট ভোটের ৯৫ শতাংশ, আনামব্রায় ৯৯ শতাংশ এবং নিজ রাজ্য বায়েলসায় ৯৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বিশ্লেষকেরা নির্বাচনের দিন ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বললেও এ ধরনের একচেটিয়া ফলাফলের বিষয়ে তাঁরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষকেরাও ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান। কিন্তু নাইজেরিয়ার উত্তরের রাজ্যগুলো থেকে জোনাথনের একচেটিয়া ভোট পাওয়ার খবরে রোববার রাতে বিরোধীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পরে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে উত্তরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জোনাথন-বিরোধীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভে বাধা দেন। ফলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তরাঞ্চলীয় কাদুনা শহরের একাংশে বিক্ষুব্ধ লোকেরা টায়ারের ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া কানো শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সেনারা চাবুকাঘাত করেন। জারিয়া শহরের এক বাসিন্দা জানান, একটি গির্জায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমিরের প্রাসাদের ফটকে বিরোধীদের সংঘর্ষ থামাতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জিবরিন ইব্রাহিম বলেন, ‘একটি দলের ৯৫ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পাওয়ার ঘটনা ভোট জালিয়াতিকে ইঙ্গিত করে। আর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্বিগ্ন।’
জোনাথনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক সামরিক শাসক মুহাম্মাদু বুহারি উত্তরের কয়েকটি এলাকায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে কোথাও জোনাথনের মতো একচেটিয়া ভোট তিনি পাননি। আর নির্বাচনের দিন বুহারি ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নির্বাচনের এ ফলাফল নাইজেরিয়ার জাতীয় বিভেদকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এতে মুসলিম ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ এনজিওর চিদি ওদিনকালু বলেন, ‘নাইজেরিয়ার জন্য ভালো সংবাদ হচ্ছে, আমরা প্রকৃত ভোট গণনা করছি এবং মানুষ এ গণনার ব্যাপারে আগ্রহী। আর খারাপ সংবাদ হচ্ছে, দেশটি উত্তর আর দক্ষিণ—এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।’
ইলেকটোরাল কমিশন রোববার রাতে ২৮টি রাজ্যের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। বাকি আটটি রাজ্যের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে ৩৫টিতে ভোট গণনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, জোনাথন পেয়েছেন দুই কোটি ২০ লাখ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মাদু বুহারি পেয়েছেন এক কোটি ২০ লাখ ভোট।
নাইজেরিয়ায় বেশ কয়েকটি রাজ্যে জোনাথন বিপুল ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে আকওয়া ইবোম রাজ্যে তিনি মোট ভোটের ৯৫ শতাংশ, আনামব্রায় ৯৯ শতাংশ এবং নিজ রাজ্য বায়েলসায় ৯৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বিশ্লেষকেরা নির্বাচনের দিন ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বললেও এ ধরনের একচেটিয়া ফলাফলের বিষয়ে তাঁরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষকেরাও ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান। কিন্তু নাইজেরিয়ার উত্তরের রাজ্যগুলো থেকে জোনাথনের একচেটিয়া ভোট পাওয়ার খবরে রোববার রাতে বিরোধীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। পরে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে উত্তরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জোনাথন-বিরোধীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভে বাধা দেন। ফলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তরাঞ্চলীয় কাদুনা শহরের একাংশে বিক্ষুব্ধ লোকেরা টায়ারের ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় গোটা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া কানো শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সেনারা চাবুকাঘাত করেন। জারিয়া শহরের এক বাসিন্দা জানান, একটি গির্জায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমিরের প্রাসাদের ফটকে বিরোধীদের সংঘর্ষ থামাতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জিবরিন ইব্রাহিম বলেন, ‘একটি দলের ৯৫ শতাংশ বা এর বেশি ভোট পাওয়ার ঘটনা ভোট জালিয়াতিকে ইঙ্গিত করে। আর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্বিগ্ন।’
জোনাথনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক সামরিক শাসক মুহাম্মাদু বুহারি উত্তরের কয়েকটি এলাকায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে কোথাও জোনাথনের মতো একচেটিয়া ভোট তিনি পাননি। আর নির্বাচনের দিন বুহারি ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নির্বাচনের এ ফলাফল নাইজেরিয়ার জাতীয় বিভেদকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এতে মুসলিম ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ এনজিওর চিদি ওদিনকালু বলেন, ‘নাইজেরিয়ার জন্য ভালো সংবাদ হচ্ছে, আমরা প্রকৃত ভোট গণনা করছি এবং মানুষ এ গণনার ব্যাপারে আগ্রহী। আর খারাপ সংবাদ হচ্ছে, দেশটি উত্তর আর দক্ষিণ—এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।’
ইলেকটোরাল কমিশন রোববার রাতে ২৮টি রাজ্যের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। বাকি আটটি রাজ্যের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
No comments