যে কারণে সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করলেন এরশাদ
আলোচনায়
থাকতেই পছন্দ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সকালে এক কথা
বিকালে আরেক কথার জন্য দেশজুড়েই তাকে নিয়ে রয়েছে বিরূপ মন্তব্য। গত কদিন
ধরে ফের তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এরশাদ পার্টির
উত্তরসূরি করেছিলেন সহোদর জিএম কাদেরকে। পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয় তাকে। সংসদের উপনেতাও করা হয় তাকে। ক’দিন আগে
হঠাৎ করে এসব পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ঘোর কাটতে না কাটতেই ফের
স্বপদে ফিরিয়ে আনা হয়।
তবে সংসদ উপনেতার পদ তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। এ পদে স্ত্রী রওশনকেই স্থলাভিষিক্ত করেন তিনি। এরইমধ্যে এরশাদ তার সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করেন। সূত্র মতে, বর্তমানে এরশাদ যে সম্পত্তির মালিক তার সবই এখানে দিয়েছেন। রোববার বিকেলে রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল করে দেন। বলা হয়েছে ছোট ছেলে এরিক এরশাদই এই সম্পত্তির মালিক।
ছেলেটি অটিস্টিক এবং বয়সে ছোট। তাই এরশাদের মৃত্যুর পরেও যাতে কেউ এ সম্পত্তি ভোগ দখল করতে না পারে সে কারণে ট্রাস্ট করা। এই সম্পত্তি থেকেই এরিককে ভরণ-পোষণ করা হবে। ট্রাস্টে এরশাদ নিজে থাকলেও স্ত্রী রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরকে রাখা হয়নি। এছাড়া বড় ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ সাদকেও ট্রাস্টে রাখা হয়নি। সাদকে তার মায়ের সঙ্গে আগেই সম্পত্তি দেয়া হয়েছে। এ কারণে তার ট্রাস্টে থাকার প্রশ্ন আসে না বলে জানান একজন সদস্য। ছেলে এরিক এরশাদও ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন।
এর বাইরে অন্যরা হলেন এরশাদের একান্ত সচিব ও ভাতিজা মেজর (অব.) খালেদ আখতার, চাচাতো ভাই মুকুল ও এরশাদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। হঠাৎ এরশাদ তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করার কারণ হিসেবে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। আর পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ দু’জন সদস্যকে না রাখার কারণ হিসেবে জানা যায় পার্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় এদিকে সময় দেয়া সম্ভব নয়। এরশাদ তার যে সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করেছেন তার বর্তমান বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা। এরমধ্যে নগদ অর্থ ছাড়াও ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শেয়ার পার্টনার রয়েছেন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে এরশাদ তার নির্বাচনী হলফনামায় যেসব সম্পদ নিজের নামে উল্লেখ করেছেন তার বাজার মূল্য শতকোটি টাকার ওপরে। যদিও খালেদ আখতার বলেছেন হলফনামার সম্পত্তিই ট্রাস্টভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে সম্মানী পান ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭১ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানিতে এরশাদের শেয়ারের পরিমাণ ৪৪ কোটি ১০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, এফডিআর ও ডিপিএসে ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যক্তিগত তিনটি গাড়ি রয়েছে। যার বাজার মূল্য ল্যান্ড ক্রুজার জিপ ৫৫ লাখ টাকা, নিশান ১৮ লাখ, ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের আরো একটি ল্যান্ড ক্রুজার জিপ। এছাড়া বনানীতে একটি শপিং কমপ্লেক্স দোকান রয়েছে যার মূল্য ৭৭ লাখ টাকা। আর বারিধারা, বনানী ও গুলশানে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যবসায় মূলধন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১৫৪ টাকা, জমি বিক্রয় মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ট্রাস্টের সদস্য ও এরশাদের একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আখতার বলেন, স্যারের সকল সম্পত্তির মালিক এরিক। সে অটিস্টিক ও বয়সে ছোট। স্যারের অনুপস্থিতে এ সম্পত্তি যাতে কেউ দখল না করতে পারে সে কারণেই ট্রাস্টভুক্ত করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমেই পরবর্তীতে এরিকের দেখভাল করা হবে। এছাড়া ওর মাথার ওপরে বিদিশা রয়েছে। কোনোভাবে সম্পত্তি হাতছাড়া যাতে না হয় সে কারণেই স্যার এটা করেছেন। ট্রাস্টি বোর্ডে জিএম কাদেরকে না রাখার ব্যাপারে খালেদ আখতার বলেন, কাদের ভাই অনেক ব্যস্ত পার্টির কাজ নিয়ে। তাছাড়া তিনি পার্টির চেয়ারম্যান হলে ওকে দেখভাল করাটা কঠিন হবে। মূলত কাদের ভাইর থাকার কথা ছিল সেখানে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর এখানে পার্টির বাইরে একজন শুধু জাহাঙ্গীরকে রাখা হয়েছে। জাহাঙ্গীরকে রাখার কারণ স্যারের সকল সম্পদ সম্পর্কে ও জানে। ও ছাড়া আর কেউ এতটা জানে না। সম্পদ দান করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে খালেদ আখতার বলেন, এটা কোনোভাবেই দান নয়। এটা শুধু মাত্র ট্রাস্টভূক্ত করা। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সল চিশতী জানান, স্যারের বয়স হয়েছে। ওনি অনেকদিন ধরে খুব অসুস্থ। তার সম্পত্তিতে কাকে রাখবেন, রাখবেন না এটা তার একান্তই ইচ্ছা। এটায় আমাদের কারো মতামত নেই। এছাড়া থাকার কথাও নয়। এ কারণেই তার সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করেছেন। এরিকের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এমনটা করেছেন বলে পার্টি থেকে আমরা মনে করি।
তবে সংসদ উপনেতার পদ তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। এ পদে স্ত্রী রওশনকেই স্থলাভিষিক্ত করেন তিনি। এরইমধ্যে এরশাদ তার সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করেন। সূত্র মতে, বর্তমানে এরশাদ যে সম্পত্তির মালিক তার সবই এখানে দিয়েছেন। রোববার বিকেলে রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল করে দেন। বলা হয়েছে ছোট ছেলে এরিক এরশাদই এই সম্পত্তির মালিক।
ছেলেটি অটিস্টিক এবং বয়সে ছোট। তাই এরশাদের মৃত্যুর পরেও যাতে কেউ এ সম্পত্তি ভোগ দখল করতে না পারে সে কারণে ট্রাস্ট করা। এই সম্পত্তি থেকেই এরিককে ভরণ-পোষণ করা হবে। ট্রাস্টে এরশাদ নিজে থাকলেও স্ত্রী রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরকে রাখা হয়নি। এছাড়া বড় ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ সাদকেও ট্রাস্টে রাখা হয়নি। সাদকে তার মায়ের সঙ্গে আগেই সম্পত্তি দেয়া হয়েছে। এ কারণে তার ট্রাস্টে থাকার প্রশ্ন আসে না বলে জানান একজন সদস্য। ছেলে এরিক এরশাদও ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন।
এর বাইরে অন্যরা হলেন এরশাদের একান্ত সচিব ও ভাতিজা মেজর (অব.) খালেদ আখতার, চাচাতো ভাই মুকুল ও এরশাদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। হঠাৎ এরশাদ তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করার কারণ হিসেবে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। আর পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ দু’জন সদস্যকে না রাখার কারণ হিসেবে জানা যায় পার্টিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় এদিকে সময় দেয়া সম্ভব নয়। এরশাদ তার যে সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করেছেন তার বর্তমান বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা। এরমধ্যে নগদ অর্থ ছাড়াও ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শেয়ার পার্টনার রয়েছেন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে এরশাদ তার নির্বাচনী হলফনামায় যেসব সম্পদ নিজের নামে উল্লেখ করেছেন তার বাজার মূল্য শতকোটি টাকার ওপরে। যদিও খালেদ আখতার বলেছেন হলফনামার সম্পত্তিই ট্রাস্টভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে সম্মানী পান ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১০ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৭১ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানিতে এরশাদের শেয়ারের পরিমাণ ৪৪ কোটি ১০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ, এফডিআর ও ডিপিএসে ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যক্তিগত তিনটি গাড়ি রয়েছে। যার বাজার মূল্য ল্যান্ড ক্রুজার জিপ ৫৫ লাখ টাকা, নিশান ১৮ লাখ, ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের আরো একটি ল্যান্ড ক্রুজার জিপ। এছাড়া বনানীতে একটি শপিং কমপ্লেক্স দোকান রয়েছে যার মূল্য ৭৭ লাখ টাকা। আর বারিধারা, বনানী ও গুলশানে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যবসায় মূলধন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১৫৪ টাকা, জমি বিক্রয় মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ট্রাস্টের সদস্য ও এরশাদের একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আখতার বলেন, স্যারের সকল সম্পত্তির মালিক এরিক। সে অটিস্টিক ও বয়সে ছোট। স্যারের অনুপস্থিতে এ সম্পত্তি যাতে কেউ দখল না করতে পারে সে কারণেই ট্রাস্টভুক্ত করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমেই পরবর্তীতে এরিকের দেখভাল করা হবে। এছাড়া ওর মাথার ওপরে বিদিশা রয়েছে। কোনোভাবে সম্পত্তি হাতছাড়া যাতে না হয় সে কারণেই স্যার এটা করেছেন। ট্রাস্টি বোর্ডে জিএম কাদেরকে না রাখার ব্যাপারে খালেদ আখতার বলেন, কাদের ভাই অনেক ব্যস্ত পার্টির কাজ নিয়ে। তাছাড়া তিনি পার্টির চেয়ারম্যান হলে ওকে দেখভাল করাটা কঠিন হবে। মূলত কাদের ভাইর থাকার কথা ছিল সেখানে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর এখানে পার্টির বাইরে একজন শুধু জাহাঙ্গীরকে রাখা হয়েছে। জাহাঙ্গীরকে রাখার কারণ স্যারের সকল সম্পদ সম্পর্কে ও জানে। ও ছাড়া আর কেউ এতটা জানে না। সম্পদ দান করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে খালেদ আখতার বলেন, এটা কোনোভাবেই দান নয়। এটা শুধু মাত্র ট্রাস্টভূক্ত করা। পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সল চিশতী জানান, স্যারের বয়স হয়েছে। ওনি অনেকদিন ধরে খুব অসুস্থ। তার সম্পত্তিতে কাকে রাখবেন, রাখবেন না এটা তার একান্তই ইচ্ছা। এটায় আমাদের কারো মতামত নেই। এছাড়া থাকার কথাও নয়। এ কারণেই তার সম্পত্তি ট্রাস্টভুক্ত করেছেন। এরিকের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এমনটা করেছেন বলে পার্টি থেকে আমরা মনে করি।
No comments