সন্ত্রাস করে পার পাওয়া যাবে না -পাবনায় ৫৯৫ চরমপন্থির আত্মসমর্পণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভুল বুঝে যারা উগ্রবাদ চরমপন্থি সংগঠনে
যোগ দিয়েছিল, তারা নিজেদের ভুল উপলব্ধি করতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করছেন। জলদস্যু, মাদক কারবারি ও
চরমপন্থিরা সবাই একে একে আত্মসমর্পণ করছে। তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ,
গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে ১০ বছর আগের বাহিনীর তুলনা করা চলবে না। কারণ
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে পার পাওয়া যাবে না। যে সকল চরমপন্থি সদস্যরা
আত্মসমর্পণ করলেন তারা যেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন এজন্য
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। আত্মসমর্পণকারীদের আইনি
সহায়তার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় দেশের ১৪টি জেলার পূর্ববাংলার সর্বহারা, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা), নিউ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি ও কাদামাটির নামের ৪টি চরমপন্থি সংগঠনের ৫৯৫ জন চরমপন্থি সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
এর মধ্যে পাবনা জেলার ১৩২ জন, ফরিদপুরের ২৭ জন, রাজবাড়ীর ৩৪, সিরাজগঞ্জের ৬৯, নাটোরের ২৭, নওগাঁর ৭০, বগুড়ার ১৫, টাঙ্গাইলের ৩১, রাজশাহীর ৬০, খুলনার ৩৫, নড়াইলের ২, যশোরের ২, সাতক্ষিরার ৬ ও জয়পুরহাট জেলার ৮২ জন চরমপন্থী দলের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
এসময় তারা ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৭৫টি দেশীয় অস্ত্র জমা দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বিগত ১৯৯৯ সালেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২ হাজার চরমপন্থি সদস্য আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তিনি বলেন, যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি তারা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, পাবনার এই অনুষ্ঠানে যে সকল চরমপন্থি আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত। তাদের যোগ্যতা ভিত্তিত্বে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সরকার আইনের আওতায় সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন। যারা সন্ত্রাস, হানাহানি ছেড়ে দিয়ে অন্ধকার জগত থেকে আলোর জগতে ফিরতে চান তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস করে বেঁচে থাকার দিন শেষ। কারণ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন অনেক উন্নত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পড়তেই হবে। এখনও সময় আছে, সরকারের দেয়া সুযোগ গ্রহণ করে আলোর পথে ফিরে আসুন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশের অনেক সদস্য উগ্র জঙ্গিদের হাতে প্রাণ দিলেও তারা জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) প্রধান আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবু তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় চারুমজুমদারের আদর্শে সমাজ বিপ্লবের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব ভেবেই চরমপন্থি সংগঠনে যোগ দেই। কিন্তু দলের আদর্শ, কথা ও কাজের মিল না থাকায় অন্ধকার জগতে পড়ে যাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সারা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছি। ভাবতে ভালো লাগছে। যারা এখনো আসেনি তাদেরকে বলি ফিরে আসুন।
পাবনা জেলার পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) প্রধান ইকবাল শেখের স্ত্রী রত্না খাতুন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, তার স্বামী এ সংগঠন করায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ছেলে মেয়েদের ভালো স্কুলে পড়াতে পারিনি। অন্ধকার জীবনের চেয়ে শান্তির পথ অনেক ভালো। তিনি তাদের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জি: এনামুল হক, পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াছমিন জলি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম ও পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় দেশের ১৪টি জেলার পূর্ববাংলার সর্বহারা, পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা), নিউ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি ও কাদামাটির নামের ৪টি চরমপন্থি সংগঠনের ৫৯৫ জন চরমপন্থি সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
এর মধ্যে পাবনা জেলার ১৩২ জন, ফরিদপুরের ২৭ জন, রাজবাড়ীর ৩৪, সিরাজগঞ্জের ৬৯, নাটোরের ২৭, নওগাঁর ৭০, বগুড়ার ১৫, টাঙ্গাইলের ৩১, রাজশাহীর ৬০, খুলনার ৩৫, নড়াইলের ২, যশোরের ২, সাতক্ষিরার ৬ ও জয়পুরহাট জেলার ৮২ জন চরমপন্থী দলের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
এসময় তারা ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৭৫টি দেশীয় অস্ত্র জমা দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বিগত ১৯৯৯ সালেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২ হাজার চরমপন্থি সদস্য আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তিনি বলেন, যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি তারা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, পাবনার এই অনুষ্ঠানে যে সকল চরমপন্থি আত্মসমর্পণ করলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষিত। তাদের যোগ্যতা ভিত্তিত্বে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার নির্দেশনা দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সরকার আইনের আওতায় সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন। যারা সন্ত্রাস, হানাহানি ছেড়ে দিয়ে অন্ধকার জগত থেকে আলোর জগতে ফিরতে চান তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস করে বেঁচে থাকার দিন শেষ। কারণ দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন অনেক উন্নত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পড়তেই হবে। এখনও সময় আছে, সরকারের দেয়া সুযোগ গ্রহণ করে আলোর পথে ফিরে আসুন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশের অনেক সদস্য উগ্র জঙ্গিদের হাতে প্রাণ দিলেও তারা জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) প্রধান আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবু তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় চারুমজুমদারের আদর্শে সমাজ বিপ্লবের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব ভেবেই চরমপন্থি সংগঠনে যোগ দেই। কিন্তু দলের আদর্শ, কথা ও কাজের মিল না থাকায় অন্ধকার জগতে পড়ে যাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সারা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছি। ভাবতে ভালো লাগছে। যারা এখনো আসেনি তাদেরকে বলি ফিরে আসুন।
পাবনা জেলার পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা) প্রধান ইকবাল শেখের স্ত্রী রত্না খাতুন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, তার স্বামী এ সংগঠন করায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ছেলে মেয়েদের ভালো স্কুলে পড়াতে পারিনি। অন্ধকার জীবনের চেয়ে শান্তির পথ অনেক ভালো। তিনি তাদের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জি: এনামুল হক, পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াছমিন জলি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম ও পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন।
No comments