তরমুজ চাষে লাভবান কৃষক
মাঠের
পর মাঠ তরমুজখেত। চারদিকে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। তরমুজ তুলে জড়ো করছেন
কৃষক। স্তূপ করে রাখছে বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহাজনেরা
তরমুজ কিনতে খেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দামদর করে কিনে নিচ্ছেন তরমুজ। এই
তরমুজ ট্রাক-ট্রলি বোঝাই করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি
চলছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে তরমুজচাষিরা খেত থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি
করার চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন।
এই চিত্র পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালী উপজেলায় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের চিত্র। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, গোটা রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি
চাষ হয় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে। কৃষকেরা বলছেন, রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিবছরই বাড়ছে তরমুজের চাষ।
পটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় জানায়, ২০১৮ সালে জেলায় ১৩ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৪ মেট্রিক টন। বিক্রি হয়েছিল ৬৫৮ কোটি টাকা। এ বছর আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৪০ দশমিক ৭৩৬ মেট্রিক টন, যার মূল্য দাঁড়াবে ১ হাজার ৪০ কোটি ৭৩৬ লাখ টাকা।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালীতে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের সবচেয়ে বড় তরমুজচাষি মজিবর রহমান (৪৫) এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে মোট ৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার মহাজনেরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। ইতিমধ্যে মজিবর খেত থেকে তরমুজ তুলে মহাজনদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
গ্রামের কৃষক মো. প্রিন্স মীর (৪০) ৩০ হেক্টর, কাওসার মৃধা (৪৫) ১৫ হেক্টর, অসীম সাহা (৪০) ১০ হেক্টর, জীবন হাওলাদার (৫০) ৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তাঁরা বলেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেশি ও আকারে অনেক বড় হওয়ায় তরমুজচাষিরা খুব খুশি।
কৃষি কার্যালয়ের হিসাবমতে, রবি মৌসুমে বোরো আবাদ করলে এক হেক্টর জমিতে চাষাবাদ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ধান উৎপাদন হবে ৭ মেট্রিক টন। ২৬ টাকা কেজি দরে মূল্য দাঁড়াবে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। তরমুজ চাষে এক হেক্টর জমিতে খরচ হচ্ছে এক লাখ টাকার একটু বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তরমুজ উৎপাদন হবে কমপক্ষে ৪৮ মেট্রিক টন। সর্বনিম্ন দর ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তরমুজে লাভবান বেশি হওয়ায় কৃষকেরা তরমুজ চাষের প্রতি ঝুঁকছেন।
কৃষকেরা বলেন, মৌসুম শুরু আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদারেরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদারেরা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। খেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান বোঝাই করে তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। খেতে বসেই ছোট-বড় প্রতিটি তরমুজ গড়ে ৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন জানান, এখান থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে লঞ্চে ঢাকা পাঠাতে তিনি এখন গলাচিপায় অবস্থান করছেন। এর আগে তাঁর মতো অনেক ব্যবসায়ী এখানে তরমুজের জন্য দাদন দিয়ে রেখেছেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জুয়েল সিকদার বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের সেচ খরচ কম হয়েছে। তবে নিচু জমিতে পানি জমে একটু ক্ষতি হলেও ফলন ভালো ও বড় আকারের তরমুজ ফলনে চাষিরা লাভবান হবেন বলে মনে করছেন।
পটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, মৌসুমের শুরুতেই নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হয়। তবে সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়।
এই চিত্র পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালী উপজেলায় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের চিত্র। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, গোটা রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি
চাষ হয় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে। কৃষকেরা বলছেন, রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিবছরই বাড়ছে তরমুজের চাষ।
পটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কার্যালয় জানায়, ২০১৮ সালে জেলায় ১৩ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৪ মেট্রিক টন। বিক্রি হয়েছিল ৬৫৮ কোটি টাকা। এ বছর আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৪০ দশমিক ৭৩৬ মেট্রিক টন, যার মূল্য দাঁড়াবে ১ হাজার ৪০ কোটি ৭৩৬ লাখ টাকা।
এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালীতে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের সবচেয়ে বড় তরমুজচাষি মজিবর রহমান (৪৫) এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে মোট ৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার মহাজনেরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। ইতিমধ্যে মজিবর খেত থেকে তরমুজ তুলে মহাজনদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
গ্রামের কৃষক মো. প্রিন্স মীর (৪০) ৩০ হেক্টর, কাওসার মৃধা (৪৫) ১৫ হেক্টর, অসীম সাহা (৪০) ১০ হেক্টর, জীবন হাওলাদার (৫০) ৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তাঁরা বলেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আবাদ বেশি ও আকারে অনেক বড় হওয়ায় তরমুজচাষিরা খুব খুশি।
কৃষি কার্যালয়ের হিসাবমতে, রবি মৌসুমে বোরো আবাদ করলে এক হেক্টর জমিতে চাষাবাদ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ধান উৎপাদন হবে ৭ মেট্রিক টন। ২৬ টাকা কেজি দরে মূল্য দাঁড়াবে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। তরমুজ চাষে এক হেক্টর জমিতে খরচ হচ্ছে এক লাখ টাকার একটু বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তরমুজ উৎপাদন হবে কমপক্ষে ৪৮ মেট্রিক টন। সর্বনিম্ন দর ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তরমুজে লাভবান বেশি হওয়ায় কৃষকেরা তরমুজ চাষের প্রতি ঝুঁকছেন।
কৃষকেরা বলেন, মৌসুম শুরু আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদারেরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদারেরা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। খেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান বোঝাই করে তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। খেতে বসেই ছোট-বড় প্রতিটি তরমুজ গড়ে ৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ঢাকার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন জানান, এখান থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে লঞ্চে ঢাকা পাঠাতে তিনি এখন গলাচিপায় অবস্থান করছেন। এর আগে তাঁর মতো অনেক ব্যবসায়ী এখানে তরমুজের জন্য দাদন দিয়ে রেখেছেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জুয়েল সিকদার বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের সেচ খরচ কম হয়েছে। তবে নিচু জমিতে পানি জমে একটু ক্ষতি হলেও ফলন ভালো ও বড় আকারের তরমুজ ফলনে চাষিরা লাভবান হবেন বলে মনে করছেন।
পটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, মৌসুমের শুরুতেই নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হয়। তবে সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়।
No comments