এপ্রিলের মধ্যে গেজেট না হলে ফের আন্দোলন
চলতি
মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় সংসদে দেয়া কোটা বাতিলের
ঘোষণা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের
জন্য গঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা না হলে আগামী মাস থেকে ফের আন্দোলনে যাওয়ার
ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন,
‘নিয়মানুযায়ী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই তিনদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন
জারি হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে সেটি একটু দেরি
হচ্ছে। তবে চলতি মাসের মধ্যে এই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী মাস থেকে সারা
বাংলার ছাত্র সমাজ আবারও আন্দোলনে নামবে।’
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। এসময় হয়রানিমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঘোষণা দেয়া হয় আগামী ৩০শে এপ্রিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা করার। এ ছাড়া গত ২১শে এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠে আন্দোলনকারীদের নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন তারা। প্রকাশিত সংবাদের জন্য ক্ষমা না চাইলে ছাত্রসমাজ পত্রিকাটি বর্জন ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, ভিসি স্যারের বাসভবনে যারা হামলা চালিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তারা বহিরাগত। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ হামলা চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের যেন কোনোভাবে হয়ারনি করা না হয় সে বিষয়ে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন বলেন, গত ৮ই এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা পিস্তল, চাপাতি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসেছিল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে তাদের ইচ্ছে ছিল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে সরকার পতনের চেষ্টা। তারা একজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ ও অনেককে আহত করেছে। এ সময় বিন ইয়ামিন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
দাবি করেন, অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেন হয়রানি না করা হয়। যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গেজেট আকারে প্রকাশ হোক। আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। আমরা ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের জন্য অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অল্প কিছু মিডিয়া আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে এর আগে একটি পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ ছেপে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। ২১শে এপ্রিল আরেকটি পত্রিকা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরো একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এটি বিকেলের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এ সময় আহ্বায়ক হাসান আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, সমপ্রতি তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়েছে। এ ধরনের আর কোনো শিক্ষার্থীকে তুলে না নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান তিনি। বলেন, এ রকম হলে ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। এসময় হয়রানিমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঘোষণা দেয়া হয় আগামী ৩০শে এপ্রিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা করার। এ ছাড়া গত ২১শে এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠে আন্দোলনকারীদের নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন তারা। প্রকাশিত সংবাদের জন্য ক্ষমা না চাইলে ছাত্রসমাজ পত্রিকাটি বর্জন ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, ভিসি স্যারের বাসভবনে যারা হামলা চালিয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তারা বহিরাগত। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ হামলা চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের যেন কোনোভাবে হয়ারনি করা না হয় সে বিষয়ে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন বলেন, গত ৮ই এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা পিস্তল, চাপাতি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসেছিল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে তাদের ইচ্ছে ছিল ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে সরকার পতনের চেষ্টা। তারা একজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ ও অনেককে আহত করেছে। এ সময় বিন ইয়ামিন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আহ্বান জানান।
দাবি করেন, অজ্ঞাতনামা মামলা দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেন হয়রানি না করা হয়। যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গেজেট আকারে প্রকাশ হোক। আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। আমরা ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের জন্য অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অল্প কিছু মিডিয়া আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে এর আগে একটি পত্রিকা মিথ্যা সংবাদ ছেপে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। ২১শে এপ্রিল আরেকটি পত্রিকা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরো একটি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এটি বিকেলের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এ সময় আহ্বায়ক হাসান আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, সমপ্রতি তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে হুমকি দিয়েছে। এ ধরনের আর কোনো শিক্ষার্থীকে তুলে না নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান তিনি। বলেন, এ রকম হলে ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না।
No comments