যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাপটপ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রীদের ল্যাপটপ বহনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। সোমবার দেশটির ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করে। খবর রয়টার্সের। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনটি বিমান সংস্থার ওপর থেকে ল্যাপটপ বহনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ তিনটি বিমান সংস্থা হচ্ছে- সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন্স, তুরস্কের টার্কিশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি আরবের সৌদিয়া। এর আগে ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসন গত মার্চে জর্ডান, মিসর, তুরস্ক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সোমালিয়াসহ আটটি মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ফ্লাইটের কেবিনের ভেতর ল্যাপটপ, ট্যাবসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
অবশ্য ল্যাপটপসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি উড়োজাহাজের মূল লাগেজে নেয়া যেত। উগ্রবাদীরা ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতির ভেতরে বোমা বহন করে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজকে টার্গেট করবে এমন আশঙ্কায় এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাজ্যও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছিল নয়টি বিমান সংস্থার ফ্লাইট। এগুলো হল- রয়াল জর্ডানিয়ান, ইজিপ্ট এয়ার, টার্কিশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, কুয়েত এয়ারওয়েজ, রয়্যাল এয়ার মারোক, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার এসব দেশ থেকে প্রতিদিন যাত্রীবাহী প্রায় ৫০টি ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বাইরে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ফ্লাইটগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে নতুন পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
No comments