সাব্বিরদের দুটি ভুলের অপেক্ষায় ব্রড!
চতুর্থ দিনের শেষে সাব্বির ও তাইজুলের দৃষ্টি যেদিকেই থাকুক, আজ তাঁদের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে কিন্তু পুরো দেশ। প্রথম আলো |
জিততে হলে শেষ ২ উইকেট হাতে নিয়ে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩ রান। কিন্তু এই পথটুকুই নিশ্চয়ই দুর্গম মনে হচ্ছে সাব্বির-তাইজুলদের কাছে। গত চার দিনে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট আজ কাদের দিকে হেলে পড়বে, তা কালও নির্দিষ্ট করে বলা যায়নি। তবে এক দিকেই হেলে পড়বে, সেটি সংশয়াতীত। ম্যাচটি শেষ হয়ে যেতে পারত কাল চতুর্থ দিনের শেষ সেশনেই। সেটি হয়নি। বাংলাদেশ পারেনি প্রয়োজনীয় রান তুলতে, ইংল্যান্ডও পারেনি বাংলাদেশকে অলআউট করতে। এতেই ফুটে উঠেছে টেস্টের চিরায়ত রোমাঞ্চ, সেটি বললেন স্টুয়ার্ট ব্রডও, ‘বিরতিটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। আসলে কাল (আজ) কী হবে অনুমান করা কঠিন। খেলার ফল হবে ব্যাটসম্যানের একটা দুর্দান্ত ইনিংস কিংবা বোলারের দুটি অসাধারণ ডেলিভারিতে। টেস্ট ক্রিকেট এ জন্যই আমরা ভালোবাসি, তাই না?’
ইংল্যান্ডের হয়ে ৯৯তম টেস্ট খেলছেন ব্রড, এতটা পথ পেরিয়ে আসতে উত্তেজনায় ঠাসা এমন কত টেস্টেরই তো সাক্ষী হয়েছেন। তবে এবার নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এই ফাস্ট বোলার—বাংলাদেশ তাঁদের স্নায়ুর পরীক্ষা নিচ্ছে! পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা চট্টগ্রাম টেস্ট তাই তাঁর চোখে ধরা দিয়েছে সেরা টেস্টগুলোর একটি, ‘বাংলাদেশ চমত্কার খেলছে। রোমাঞ্চের দিক দিয়ে এটি আমার খেলা সেরা ৫ টেস্টে অবশ্যই থাকবে। তবে আমিও ৯৯টা টেস্ট খেলছি। এমন না যে সারা রাত (কাল) নির্ঘুম কাটবে। হ্যাঁ, দুই-তিন ঘণ্টা বাড়তি জেগে থাকতে হতে পারে।’ তবে এই টেস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের পরীক্ষার জন্য ব্রড প্রস্তুত, ‘ফিল্ডিং দল হিসেবে আপনি নিজেকে এভাবে বোঝাতে পারেন—দুটি উইকেট পেতে দরকার শুধু দুটি বল। ডিফেন্স করা কঠিন এমন দুটি ডেলিভারি, অথবা ব্যাটসম্যানের সামর্থ্যের পরীক্ষা নেবে এমন বল।’ বাংলাদেশের সঙ্গে এর আগেও দুটি টেস্ট খেলেছেন ব্রড। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে খুব বড় পরীক্ষা অবশ্য দিতে হয়নি। এবার চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের দশম ওভারে পেয়েছেন প্রথম উইকেট। এখন পর্যন্ত নামের পাশে ২৬ রানে ২ উইকেট। বাংলাদেশের অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্তুতি গাইলেও নিজেদের পারফরম্যান্সেও খুশি ব্রড, ‘এটা অসাধারণ এক টেস্ট। দুই দলের খেলোয়াড়ই অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৯৯তম টেস্ট খেলছেন ব্রড, এতটা পথ পেরিয়ে আসতে উত্তেজনায় ঠাসা এমন কত টেস্টেরই তো সাক্ষী হয়েছেন। তবে এবার নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এই ফাস্ট বোলার—বাংলাদেশ তাঁদের স্নায়ুর পরীক্ষা নিচ্ছে! পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা চট্টগ্রাম টেস্ট তাই তাঁর চোখে ধরা দিয়েছে সেরা টেস্টগুলোর একটি, ‘বাংলাদেশ চমত্কার খেলছে। রোমাঞ্চের দিক দিয়ে এটি আমার খেলা সেরা ৫ টেস্টে অবশ্যই থাকবে। তবে আমিও ৯৯টা টেস্ট খেলছি। এমন না যে সারা রাত (কাল) নির্ঘুম কাটবে। হ্যাঁ, দুই-তিন ঘণ্টা বাড়তি জেগে থাকতে হতে পারে।’ তবে এই টেস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের পরীক্ষার জন্য ব্রড প্রস্তুত, ‘ফিল্ডিং দল হিসেবে আপনি নিজেকে এভাবে বোঝাতে পারেন—দুটি উইকেট পেতে দরকার শুধু দুটি বল। ডিফেন্স করা কঠিন এমন দুটি ডেলিভারি, অথবা ব্যাটসম্যানের সামর্থ্যের পরীক্ষা নেবে এমন বল।’ বাংলাদেশের সঙ্গে এর আগেও দুটি টেস্ট খেলেছেন ব্রড। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে খুব বড় পরীক্ষা অবশ্য দিতে হয়নি। এবার চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের দশম ওভারে পেয়েছেন প্রথম উইকেট। এখন পর্যন্ত নামের পাশে ২৬ রানে ২ উইকেট। বাংলাদেশের অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্তুতি গাইলেও নিজেদের পারফরম্যান্সেও খুশি ব্রড, ‘এটা অসাধারণ এক টেস্ট। দুই দলের খেলোয়াড়ই অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্ব করতে পারে। আমরাও গর্বিত এই কন্ডিশনে আমাদের স্কিল ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি। ছয় বছর পর এখানে প্রথম টেস্ট খেলছি। তবে কাল (আজ) ১১ জন হতাশ হবে, ১১ জন উল্লাস করবে। এটা ড্র হওয়ার ম্যাচ নয়।’ বাংলাদেশের জয়ের আশা জাগিয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন সাব্বির রহমান। গায়ে ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ তকমা থাকলেও ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং কাল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। সাব্বিরের প্রশংসা করলেও তাঁকে আজ দ্রুতই ফেরাতে চান ব্রড, ‘সে (সাব্বির) ভালো খেলেছে। মুশফিকের সঙ্গে তার খুব ভালো একটা জুটি হয়েছিল। রান তুলতে (আজ) তার ওপর অনেক চাপ থাকবে। আজ (কাল) সে দারুণভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। তবে কাল তাকে অনেক চাপে রাখতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের দুটি ভুলেই আমরা জিতে যাব।’ তীব্র চাপের মুখেও সাবলীল ব্যাটিং করেছেন সাব্বির। তাঁর এই শরীরী ভাষা বেশ পছন্দ হয়েছে ডানহাতি ইংলিশ পেসারের, ‘আমার এটা ভালো লেগেছে। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে দৃঢ়তা দেখাতে হয়। সে এটা খুব ভালো করেই দেখিয়েছে। লড়াই করতে আমার ভালো লাগে।’ হাড্ডাহাড্ডি সেই লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি কী হয়, সেটিই আজ দেখার।
No comments