আমিও বিচার চাই না: অভিজিতের স্ত্রী
বিজ্ঞান
লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার বিচার চান না তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ
বন্যা। ১ নভেম্বর তাঁর ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা লেখেন। ওই
লেখার শিরোনাম ‘আমিও বিচার চাই না’।
গতকাল শনিবার নৃশংস হামলা চালিয়ে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়। একই দিন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গে থাকা দুই ব্লগার তারেক রহিম ও রনদীপম বসু হামলায় গুরুতর জখম হন। নিহত ফয়সালের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হক ছেলে হত্যার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’ এরপরই অভিজিৎ রায়ের স্ত্রীও একই কথা বললেন।
রাফিদা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি টিএসসি সামনে হামলায় নিহত হন অভিজিৎ। এ সময় তাঁর স্ত্রী রাফিদাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। হামলায় তিনিও আহত হন।
রাফিদা আহমেদ তাঁর পেজে লেখেন, ‘দীপনের বাবার মত আমিও বিচার চাই না। আমি নিশ্চিত জানি টুটুলের স্ত্রী, দীপনের স্ত্রী, অনন্তের বোন, রাজিব, বাবু, নীলয়ের বন্ধুরাও আর বিচার চান না।’
ওই লেখায় রাফিদা লেখেন, ‘সরকারের কাছ থেকে কিছু চাওয়ার নেই, আমাদের। একটাই অনুরোধ ওনাদের কাছে, দয়া করে দিনরাত আর ‘আমরা সেক্যুলার পার্টি’ বলে গলা ফাটিয়ে নিজেদের এনার্জি নষ্ট করবেন না। আপনারা আপনাদের লক্ষ্য পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করেই থাকুন; অভিজিৎ, অনন্ত, রাজিব, নিলয়, বাবু, দীপনরা আপনাদের জন্য একেকটা স্কোর কার্ড। আপনারা বুক ফুলিয়ে বলে যান যে সবই ‘রাজনৈতিক খেলা’ সবই ‘পারসেপশান’। মৌলবাদীদের চাপাতিতে নিশ্চুপভাবে তেল দিয়ে যান, না হলে ভোট কমে যেতে পারে। খুব ভালো করে জানেন যে আপনাদের মৌনতাই ওদের অস্ত্রে শান দিতে সহায়তা করে যাচ্ছে।’
স্ত্রী রাফিদা লেখেন, আমি আশির দশকের শেষে ঢাকা মেডিকেলে পড়েছিলাম দুই বছর। সেই সময় আমরা বলতাম, জামায়াত-শিবির কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ঢোকার সাহস পাবে না। তখন তো আনাসারুল্লাহর মত জঙ্গীদের কথা চিন্তাও করতে পারতাম না। আজ শুধু তারা সেখানে ঢোকেইনি, চোখের সামনে একের পর এক হত্যার উন্মত্ত হোলি খেলাও চালিয়ে যাচ্ছে। দীপনের বাবা, অভিজিতের বাবারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন সেখানেই, চোখের সামনেই, জঙ্গীরা চাপাতি চালায় তাদের ছেলেমেয়েদের উপর, বড্ড সাহস আজ তাদের। আজকাল আর রাতের আঁধারে চুপিসারেও আঘাত হানতে হয় না ওদের। আলোকিত রাস্তায় হাজারো মানুষ, পুলিশের সামনেই তারা বুক ফুলিয়ে চাপাতি চালায়।
‘আমিও বিচার চাই না’ লেখার শেষাংশে রাফিদা আহমেদ লেখেন, মৌলবাদ বলুন, সাম্রাজ্যবাদ বলুন, এদের কারোরই শক্তি কম নয়, আর ওদের সম্মিলিত শক্তির তো কোন তুলনাই নেই আজকের পৃথিবীতে। আজকে আমাদের দেশে যা ঘটছে তা পূর্বপরিকল্পিত, বহুদিনের চাষের ফসল। আমরা ওদের জায়গা করে দিয়েছি, উর্বর জমিগুলো সব খালি করে দিয়েছি। সার, পানি দিয়ে বড় হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছি। শুধু কথায় আর কিছু হবে না, এদের রুখতে হলে ভিতর থেকে সব কিছু ভেঙ্গেচুরে বদলাতে হবে। সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়ার আগেই সেটা করতে হবে।
গতকাল শনিবার নৃশংস হামলা চালিয়ে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়। একই দিন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গে থাকা দুই ব্লগার তারেক রহিম ও রনদীপম বসু হামলায় গুরুতর জখম হন। নিহত ফয়সালের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক আবুল কাসেম ফজলুল হক ছেলে হত্যার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’ এরপরই অভিজিৎ রায়ের স্ত্রীও একই কথা বললেন।
রাফিদা এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি টিএসসি সামনে হামলায় নিহত হন অভিজিৎ। এ সময় তাঁর স্ত্রী রাফিদাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। হামলায় তিনিও আহত হন।
রাফিদা আহমেদ তাঁর পেজে লেখেন, ‘দীপনের বাবার মত আমিও বিচার চাই না। আমি নিশ্চিত জানি টুটুলের স্ত্রী, দীপনের স্ত্রী, অনন্তের বোন, রাজিব, বাবু, নীলয়ের বন্ধুরাও আর বিচার চান না।’
ওই লেখায় রাফিদা লেখেন, ‘সরকারের কাছ থেকে কিছু চাওয়ার নেই, আমাদের। একটাই অনুরোধ ওনাদের কাছে, দয়া করে দিনরাত আর ‘আমরা সেক্যুলার পার্টি’ বলে গলা ফাটিয়ে নিজেদের এনার্জি নষ্ট করবেন না। আপনারা আপনাদের লক্ষ্য পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করেই থাকুন; অভিজিৎ, অনন্ত, রাজিব, নিলয়, বাবু, দীপনরা আপনাদের জন্য একেকটা স্কোর কার্ড। আপনারা বুক ফুলিয়ে বলে যান যে সবই ‘রাজনৈতিক খেলা’ সবই ‘পারসেপশান’। মৌলবাদীদের চাপাতিতে নিশ্চুপভাবে তেল দিয়ে যান, না হলে ভোট কমে যেতে পারে। খুব ভালো করে জানেন যে আপনাদের মৌনতাই ওদের অস্ত্রে শান দিতে সহায়তা করে যাচ্ছে।’
স্ত্রী রাফিদা লেখেন, আমি আশির দশকের শেষে ঢাকা মেডিকেলে পড়েছিলাম দুই বছর। সেই সময় আমরা বলতাম, জামায়াত-শিবির কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ঢোকার সাহস পাবে না। তখন তো আনাসারুল্লাহর মত জঙ্গীদের কথা চিন্তাও করতে পারতাম না। আজ শুধু তারা সেখানে ঢোকেইনি, চোখের সামনে একের পর এক হত্যার উন্মত্ত হোলি খেলাও চালিয়ে যাচ্ছে। দীপনের বাবা, অভিজিতের বাবারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন সেখানেই, চোখের সামনেই, জঙ্গীরা চাপাতি চালায় তাদের ছেলেমেয়েদের উপর, বড্ড সাহস আজ তাদের। আজকাল আর রাতের আঁধারে চুপিসারেও আঘাত হানতে হয় না ওদের। আলোকিত রাস্তায় হাজারো মানুষ, পুলিশের সামনেই তারা বুক ফুলিয়ে চাপাতি চালায়।
‘আমিও বিচার চাই না’ লেখার শেষাংশে রাফিদা আহমেদ লেখেন, মৌলবাদ বলুন, সাম্রাজ্যবাদ বলুন, এদের কারোরই শক্তি কম নয়, আর ওদের সম্মিলিত শক্তির তো কোন তুলনাই নেই আজকের পৃথিবীতে। আজকে আমাদের দেশে যা ঘটছে তা পূর্বপরিকল্পিত, বহুদিনের চাষের ফসল। আমরা ওদের জায়গা করে দিয়েছি, উর্বর জমিগুলো সব খালি করে দিয়েছি। সার, পানি দিয়ে বড় হয়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়েছি। শুধু কথায় আর কিছু হবে না, এদের রুখতে হলে ভিতর থেকে সব কিছু ভেঙ্গেচুরে বদলাতে হবে। সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়ার আগেই সেটা করতে হবে।
No comments