ভারতে রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১০৪
ভারতের মধ্যপ্রদেশে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষে উদ্ধার তৎপরতা। গতকাল সকালে একটি রেস্তোরাঁর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভবনটি বিধ্বস্ত হয় |
ভারতের
মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে একটি রেস্তোরাঁয় রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে
কমপক্ষে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল
সাড়ে আটটার দিকে ঝাবুয়া জেলার পেতলাওয়াড় শহরের জনবহুল এলাকার একটি
রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ভয়াবহ বিস্ফোরণে দোতলা ভবনটি ধসে পড়ে। এর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনেক মানুষ আটকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, ওই রেস্তোরাঁ ভবনটিতে অথবা পাশের বাড়িতে প্রচুর জেলাটিন স্টিক মজুত করা ছিল। খনির কাজে বিস্ফোরণ ঘটাতে জেলাটিন স্টিক ব্যবহার করা হয়। হয়তো ওই স্টিকগুলোর জন্যই বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতা এত বেশি হয়েছে। বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সকালে অফিসগামী চাকরিজীবী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা রেস্তোরাঁটিতে নাশতা করছিলেন। এ কারণেই হতাহতের সংখ্যা এত বেশি হয়েছে।
ঝাবুয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট সীমা আলাভা টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ২৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে ঠিক কতজন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা রয়েছে, তা আমি এখনই বলতে পারছি না।’
সীমা আলাভা আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে কোনো একটি ভবনে কেউ খনিতে ব্যবহারের বিস্ফোরক মজুত রেখেছিল। অধিকতর তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’ জেলা পুলিশের আরেক কর্মকর্তা অনুরাগ মিশ্র বলেন, রেস্তোরাঁটি বাসস্ট্যান্ডের কাছে হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা এত বেশি।
পেতলাওয়াড় পুলিশের কর্মকর্তা এ আর খান বলেন, ‘আমরা আহত ৫০ জনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ধ্বংসাবশেষ অপসারণের পর হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হবে।’
ঝাবুয়া জেলার মুখ্য চিকিৎসা কর্মকর্তা অরুণ কুমার শর্মা টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, ‘৬০টি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। আরও ২২টি মরদেহ ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আহত লোকের সংখ্যা ১০০-এর কাছাকাছি। এর মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি এবং আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
নিরাপত্তার মান দুর্বল হওয়ায় ভারতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ প্রায়ই ঘটে থাকে। তবে বিপুলসংখ্যক হতাহতের ঘটনা বিরল।
ভয়াবহ বিস্ফোরণে দোতলা ভবনটি ধসে পড়ে। এর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অনেক মানুষ আটকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, ওই রেস্তোরাঁ ভবনটিতে অথবা পাশের বাড়িতে প্রচুর জেলাটিন স্টিক মজুত করা ছিল। খনির কাজে বিস্ফোরণ ঘটাতে জেলাটিন স্টিক ব্যবহার করা হয়। হয়তো ওই স্টিকগুলোর জন্যই বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতা এত বেশি হয়েছে। বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সকালে অফিসগামী চাকরিজীবী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা রেস্তোরাঁটিতে নাশতা করছিলেন। এ কারণেই হতাহতের সংখ্যা এত বেশি হয়েছে।
ঝাবুয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট সীমা আলাভা টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, ‘আমরা ২৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে ঠিক কতজন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা রয়েছে, তা আমি এখনই বলতে পারছি না।’
সীমা আলাভা আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে কোনো একটি ভবনে কেউ খনিতে ব্যবহারের বিস্ফোরক মজুত রেখেছিল। অধিকতর তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’ জেলা পুলিশের আরেক কর্মকর্তা অনুরাগ মিশ্র বলেন, রেস্তোরাঁটি বাসস্ট্যান্ডের কাছে হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা এত বেশি।
পেতলাওয়াড় পুলিশের কর্মকর্তা এ আর খান বলেন, ‘আমরা আহত ৫০ জনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ধ্বংসাবশেষ অপসারণের পর হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হবে।’
ঝাবুয়া জেলার মুখ্য চিকিৎসা কর্মকর্তা অরুণ কুমার শর্মা টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, ‘৬০টি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত চলছে। আরও ২২টি মরদেহ ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আহত লোকের সংখ্যা ১০০-এর কাছাকাছি। এর মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি এবং আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
নিরাপত্তার মান দুর্বল হওয়ায় ভারতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ প্রায়ই ঘটে থাকে। তবে বিপুলসংখ্যক হতাহতের ঘটনা বিরল।
No comments