মুফতি হারুন ও দেহরক্ষীর রিমান্ড শুনানি চলছে
চট্টগ্রাম মহানগরীর আলোচিত লালখান বাজার
মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে
আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামের ছেলে মুফতি হারুন ইজহার ও তার দেহরক্ষী
জুনায়েদকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালতে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ জানান, দু’জনকে খুলশী থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলার ইছাপুর গ্রামের জালাল ই চৌধুরীর বাড়িতে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই বাড়িতে তারা আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নগরীর কোতয়ালী থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম।
ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, তারা বোমা বিস্ফোরণের পরপরই জালাল ই চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করি।
আটকের পর দু’জনকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় রাখা হয়। দুপুরের পর তাদের আদালতে কোতয়ালী থানায় নেয়া হয়।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার মহোদয় জানাবেন।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বোমা বানাতে গিয়ে মাদ্রাসার যে কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে তার পাশের কক্ষেই ছিল মুফতি হারুন ইজহারের কার্যালয়। বিস্ফোরণের পরপর তিনি পালিয়ে যান।
এছাড়া মুফতি ইজহারুল ইসলামও ওইদিন সন্ধ্যায় আত্মগোপনে চলে যান। পিতা-পুত্র পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় চাপে পড়ে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার মুফতি হারুনকে গ্রেপ্তারের জন্য কোতয়ালী থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিভিন্ন কৌশলে হারুন ইজহারের অবস্থান নিশ্চিত করে গভীর রাতে ইছাপুরের জালাল ই চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালায়।
সূত্র জানায়, গভীর রাত হলেও হারুন ইজহার জেগেছিলেন। আটকের সময় তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান নি। এসময় তিনি পায়জামা ও গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।
ভোরে তাকে পাঁচলাইশ থানায় আনার পর নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ প্রায় এক ঘণ্টা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে এ বিষয়ে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সহকারী কমিশনার আব্দুর রউফ।
এর আগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় বিস্ফোরক ও এসিড আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। দু’টি মামলাতেই মুফতি ইজহার ও ছেলে হারুনকে আসামী করা হয়।
আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর ই তৈয়বার সঙ্গে কানেকশনের অভিযোগে ২০১০ সালেও একবার মুফতি হারুন ইজহার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের ডাউকি এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া লস্কর-ই তৈয়বার দুটি জঙ্গি নাজের ওরফে নাজের পারবন এবং শফিক ওরফে সাহাফাজ শামসুদ্দিন সেদেশের পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের সঙ্গে ২০০৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে মুফতি হারুনের কয়েক দফা বৈঠক হয়। এমনকি তারা মার্কিন ও ভারত দূতাবাসে হামলারও পরিকল্পনা নিয়েছিল। এরপর মুফতি হারুন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
তার পিতা মুফতি ইজহারুল ইসলামও আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে প্রচার আছে। মুফতি ইজহারের মাদ্রাসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের জন্ম হয়েছিল বলেও অভিযোগ আছে।
এক দশক আগে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের প্রাণনাশ চেষ্টার অভিযোগে আটক হওয়া কয়েকজন জঙ্গি জানায়, তারা মুফতি ইজহারুল ইসলামের লালখান বাজার মাদ্রাসাতেই ট্রেনিং নিয়েছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালতে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ জানান, দু’জনকে খুলশী থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলার ইছাপুর গ্রামের জালাল ই চৌধুরীর বাড়িতে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই বাড়িতে তারা আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নগরীর কোতয়ালী থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম।
ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, তারা বোমা বিস্ফোরণের পরপরই জালাল ই চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করি।
আটকের পর দু’জনকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় রাখা হয়। দুপুরের পর তাদের আদালতে কোতয়ালী থানায় নেয়া হয়।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার মহোদয় জানাবেন।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বোমা বানাতে গিয়ে মাদ্রাসার যে কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে তার পাশের কক্ষেই ছিল মুফতি হারুন ইজহারের কার্যালয়। বিস্ফোরণের পরপর তিনি পালিয়ে যান।
এছাড়া মুফতি ইজহারুল ইসলামও ওইদিন সন্ধ্যায় আত্মগোপনে চলে যান। পিতা-পুত্র পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়ায় চাপে পড়ে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার মুফতি হারুনকে গ্রেপ্তারের জন্য কোতয়ালী থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিভিন্ন কৌশলে হারুন ইজহারের অবস্থান নিশ্চিত করে গভীর রাতে ইছাপুরের জালাল ই চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালায়।
সূত্র জানায়, গভীর রাত হলেও হারুন ইজহার জেগেছিলেন। আটকের সময় তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান নি। এসময় তিনি পায়জামা ও গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।
ভোরে তাকে পাঁচলাইশ থানায় আনার পর নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ প্রায় এক ঘণ্টা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে এ বিষয়ে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সহকারী কমিশনার আব্দুর রউফ।
এর আগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন ছাত্র আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’ছাত্র মারা যায়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ল্যাপটপ চার্জার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে। তবে পুলিশ ওই কক্ষ তল্লাশি করে চারটি তাজা গ্রেনেড এবং বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। রাতে মুফতি ইজহারের বাসায় তল্লাশি করে ১৮ বোতল এসিড পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় বিস্ফোরক ও এসিড আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। দু’টি মামলাতেই মুফতি ইজহার ও ছেলে হারুনকে আসামী করা হয়।
আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর ই তৈয়বার সঙ্গে কানেকশনের অভিযোগে ২০১০ সালেও একবার মুফতি হারুন ইজহার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের ডাউকি এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া লস্কর-ই তৈয়বার দুটি জঙ্গি নাজের ওরফে নাজের পারবন এবং শফিক ওরফে সাহাফাজ শামসুদ্দিন সেদেশের পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের সঙ্গে ২০০৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে মুফতি হারুনের কয়েক দফা বৈঠক হয়। এমনকি তারা মার্কিন ও ভারত দূতাবাসে হামলারও পরিকল্পনা নিয়েছিল। এরপর মুফতি হারুন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
তার পিতা মুফতি ইজহারুল ইসলামও আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে প্রচার আছে। মুফতি ইজহারের মাদ্রাসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের জন্ম হয়েছিল বলেও অভিযোগ আছে।
এক দশক আগে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের প্রাণনাশ চেষ্টার অভিযোগে আটক হওয়া কয়েকজন জঙ্গি জানায়, তারা মুফতি ইজহারুল ইসলামের লালখান বাজার মাদ্রাসাতেই ট্রেনিং নিয়েছিল।
No comments