আবারও রক্তে লাল নীলনদের দেশ
মিসরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে অন্তত ৫১ জন নিহত বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা কর্মীরা। খবর বিবিসি, আলজাজিরা ও রয়টার্সের। তবে প্রকৃত সংখ্যা কত তা স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে মুরসির দল ইসলামী ব্রাদারহুডের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে সোমবার সিনাইয়ে টহলরত সেনাদের ওপর বিদ্রোহীরা হামলা করলে ৫ সেনাসহ দুইজন বেসামরিক লোক মারা যায়। এএফপি ও প্রেসটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়। অন্যদিকে, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ২৬৮ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর কায়রো থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের ৪২৩ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ইসরাইলের বিরুদ্ধে মিসরীয়দের ঐতিহাসিক অক্টোবর যুদ্ধের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানস্থলে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরাও একটি সমাবেশ আহ্বান করলে সেখানে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী পরে তাদের হটিয়ে দেয়।
সে সময় মুরসি সমর্থকরা স্লোগান দিয়ে ওই স্থানে ঢোকার চেষ্টা করে। এরপর সংঘর্ষ কায়রোর অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কায়রোতে সংঘর্ষের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা শহরের অন্যান্য অংশে এবং আলেকজান্দ্রিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে। ওইসব স্থানেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বর আক্রমণাক আচরণের তীব্র নিন্দা জানান। তারেক নামে মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন কর্মী, যিনি সেনাবাহিনীর একজন রিজার্ভ অফিসার ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সেখানে যা করা হয়েছে তা সেনাবাহিনীর নীতির মধ্যে পড়ে না। মিসরের সেনাবাহিনী অন্য দেশের শত্র“র বিরুদ্ধে লড়বে, কিন্তু নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কেন লড়বে তারা?’মিসরের ইতিহাসে প্রথম অবাধ নির্বাচনে জয়ী প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ৩ জুলাই উৎখাত করার পর থেকেই তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে ব্রাদারহুড ও মুরসি সমর্থকরা। এরপর তাদের ওপর মিসরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়। এতে শ’ শ’ মুরসি সমর্থক নিহত হন।
No comments