এবার ম্যারাডোনার লাথি
সেই বিখ্যাত বাঁ পায়ের কিক! এবারও অবিশ্বাস্য কাণ্ড। না, গোল নয়, সেটার সুযোগই আপাতত নেই। ডিয়েগো ম্যারাডোনার বাঁ পায়ের কিক-এর জ্বালা বুঝেছে এক আল ওয়াসল সমর্থক। পরশু ইস্তিসালাত কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে জিতেছে ম্যারাডোনার দল। দুবাইয়ের দলটির কোচ হিসেবে এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে তাঁর প্রথম জয়। কিন্তু সেই দিনটাও ম্যারাডোনা বিতর্কিত করলেন সমর্থককে লাথি মেরে।
ঘটনা ম্যাচ শুরুর আগের। তাঁর দুই মেয়ে দালমা আর জিয়ান্নিনা একটা ব্যানার পাঠিয়েছে বাবার কাছে। ম্যারাডোনার নাতি, সার্জিও আগুয়েরোর আড়াই বছর বয়সী ছেলে বেঞ্জামিনের নামে পাঠানো বড় সেই ব্যানারটি টানানো ছিল গ্যালারির এক পাশে। ‘দাদু, আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমার সঙ্গে আছি, বেনজা’—স্প্যানিশ আর আরবি দুই ভাষাতেই লেখা এই ব্যানারটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন ম্যারাডোনা।
এমন সময় ব্যানারের পেছন থেকে এক সমর্থক সেটি ওপরে টেনে তুলে ম্যারাডোনাকে দেখার চেষ্টা করছিলেন। এতে ব্যানারটি ভাঁজ হয়ে লেখাগুলো পড়া যাচ্ছিল না। ফলে ছবি তোলাতেও ব্যাঘাত ঘটছিল। দুবার ম্যারাডোনা ব্যানারটি টেনে নামান। কিন্তু তৃতীয়বারও সেই সমর্থক ব্যানারটি তুলে ধরলে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি। বাঁ পায়ে জোরালো লাথি মেরে বসেছেন ওই সমর্থকের হাতে।
পরে অবশ্য এই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ‘আসলে আমি খুবই আবেগপ্রবণ। আমার স্বভাবটাই এ রকম। খেলোয়াড় আর কোচ হিসেবে আমি সব সময়ই এ রকম ছিলাম। কখনো কখনো তো নিজেকে আল ওয়াসলের খেলোয়াড়ই মনে হয়। আসলে ওই ব্যানারটি আমার নাতি আর ম্যানচেস্টার ও আর্জেন্টিনায় থাকা আমার মেয়ে দুটি পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে ওরা আমার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ওই সমর্থককে আহত করার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি আসলে চাইছিলাম, ব্যানারটি যেন দেখা যায়।’
এই বিতর্কটি বাদ দিলে পরশু দিনটি অবশ্য ভালোই কেটেছে ম্যারাডোনার। কাপের প্রথম ম্যাচে আল-জাজিরার কাছে ৪-৩ গোলে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে এমিরেটসকে ৩-০ গোলে হারানো। ম্যাচের আগেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ম্যারাডোনা। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরই যে সমর্থকেরা হায় হায় করছিল, তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ভয় পেলে মাঠে এসে খেলা দেখার দরকার নেই। ওরা বরং ঘরে বসে ডিভিডি কিংবা কমেডি সিরিজ দেখুক। ফুটবলে ভয়ের জায়গা নেই, এটা আবেগ আর বিনোদনের জায়গা। বিনোদিত হতে চাইলে খেলা দেখুন। আর না চাইলে দূরে থাকুন। আমিও চাই দল জিতুক। দলকে ভালো কিছু এনে দিতেই আমি এসেছি। আল ওয়াসলের সমর্থকদের উদ্বেগের কিছু নেই। আমরা ভালো ফল এনে দেবই।’
ম্যারাডোনার এই আশ্বাস অবশ্য পাত্তা দিচ্ছেন না তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আল-জাজিরার পরিচালক আন্দ্রে ওয়েতজেল। ম্যারাডোনাকেই কোচ হিসেবে পাত্তা দেন না তিনি। তাঁর মতে, ভালো ফলের জন্য নয়, আল ওয়াসল ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে এনেছে স্রেফ প্রচারের জন্য, ‘এটা স্রেফ মার্কেটিং। ম্যারাডোনা যেখানে ক্যামেরা সেখানেই। আল ওয়াসলের এই সিদ্ধান্তের কারণটা বোঝাই যায়। ম্যারাডোনাকে কোচ বলার কোনো উপায় নেই। তিনি স্রেফ একটা সার্কাস।
ঘটনা ম্যাচ শুরুর আগের। তাঁর দুই মেয়ে দালমা আর জিয়ান্নিনা একটা ব্যানার পাঠিয়েছে বাবার কাছে। ম্যারাডোনার নাতি, সার্জিও আগুয়েরোর আড়াই বছর বয়সী ছেলে বেঞ্জামিনের নামে পাঠানো বড় সেই ব্যানারটি টানানো ছিল গ্যালারির এক পাশে। ‘দাদু, আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি তোমার সঙ্গে আছি, বেনজা’—স্প্যানিশ আর আরবি দুই ভাষাতেই লেখা এই ব্যানারটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন ম্যারাডোনা।
এমন সময় ব্যানারের পেছন থেকে এক সমর্থক সেটি ওপরে টেনে তুলে ম্যারাডোনাকে দেখার চেষ্টা করছিলেন। এতে ব্যানারটি ভাঁজ হয়ে লেখাগুলো পড়া যাচ্ছিল না। ফলে ছবি তোলাতেও ব্যাঘাত ঘটছিল। দুবার ম্যারাডোনা ব্যানারটি টেনে নামান। কিন্তু তৃতীয়বারও সেই সমর্থক ব্যানারটি তুলে ধরলে আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি। বাঁ পায়ে জোরালো লাথি মেরে বসেছেন ওই সমর্থকের হাতে।
পরে অবশ্য এই আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ‘আসলে আমি খুবই আবেগপ্রবণ। আমার স্বভাবটাই এ রকম। খেলোয়াড় আর কোচ হিসেবে আমি সব সময়ই এ রকম ছিলাম। কখনো কখনো তো নিজেকে আল ওয়াসলের খেলোয়াড়ই মনে হয়। আসলে ওই ব্যানারটি আমার নাতি আর ম্যানচেস্টার ও আর্জেন্টিনায় থাকা আমার মেয়ে দুটি পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে ওরা আমার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ওই সমর্থককে আহত করার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি আসলে চাইছিলাম, ব্যানারটি যেন দেখা যায়।’
এই বিতর্কটি বাদ দিলে পরশু দিনটি অবশ্য ভালোই কেটেছে ম্যারাডোনার। কাপের প্রথম ম্যাচে আল-জাজিরার কাছে ৪-৩ গোলে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে এমিরেটসকে ৩-০ গোলে হারানো। ম্যাচের আগেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ম্যারাডোনা। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরই যে সমর্থকেরা হায় হায় করছিল, তাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ভয় পেলে মাঠে এসে খেলা দেখার দরকার নেই। ওরা বরং ঘরে বসে ডিভিডি কিংবা কমেডি সিরিজ দেখুক। ফুটবলে ভয়ের জায়গা নেই, এটা আবেগ আর বিনোদনের জায়গা। বিনোদিত হতে চাইলে খেলা দেখুন। আর না চাইলে দূরে থাকুন। আমিও চাই দল জিতুক। দলকে ভালো কিছু এনে দিতেই আমি এসেছি। আল ওয়াসলের সমর্থকদের উদ্বেগের কিছু নেই। আমরা ভালো ফল এনে দেবই।’
ম্যারাডোনার এই আশ্বাস অবশ্য পাত্তা দিচ্ছেন না তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আল-জাজিরার পরিচালক আন্দ্রে ওয়েতজেল। ম্যারাডোনাকেই কোচ হিসেবে পাত্তা দেন না তিনি। তাঁর মতে, ভালো ফলের জন্য নয়, আল ওয়াসল ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে এনেছে স্রেফ প্রচারের জন্য, ‘এটা স্রেফ মার্কেটিং। ম্যারাডোনা যেখানে ক্যামেরা সেখানেই। আল ওয়াসলের এই সিদ্ধান্তের কারণটা বোঝাই যায়। ম্যারাডোনাকে কোচ বলার কোনো উপায় নেই। তিনি স্রেফ একটা সার্কাস।
No comments