পণ্য আমদানি-ব্যয় বেড়েছে ৩৬.৩৫%
বিশ্ববাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের আমদানি-ব্যয়ে। আর তাই চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য আমদানির ব্যয় দেড় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে পণ্য আমদানির জন্য ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৫২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
অর্থাৎ, এই সময়কালে পণ্য আমদানি বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, শুধু ডিসেম্বর মাসে পণ্য আমদানি-ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৯৬ কোটি ডলার। আর নভেম্বর মাসে আমদানি-ব্যয় ছিল প্রায় ২৭০ কোটি ডলার।
আমদানি-ব্যয়ের এই হিসাবটি অবশ্য সিঅ্যান্ডএফ-ভিত্তিক। আর লেনদেনের ভারসাম্য সারণিতে আমদানি-ব্যয়ের হিসাব করা হয় এফওবি ভিত্তিতে। ফলে সেই অঙ্কটি সামান্য কম হয়ে থাকে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিই একমাত্র কারণ নয়। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও আমদানি বাড়িয়ে আমদানি-ব্যয় বৃদ্ধিতে আরেকটা ভূমিকা রাখছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতেও এ রকমটি বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমদানি-ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত খাদ্যশস্য, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া।
অবশ্য একই সময়ে কয়লা, ক্লিংকারের মতো বিভিন্ন মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি আগের বছরের তুলনায় খানিকটা হ্রাস পেয়েছে।
আমদানি-ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের চাহিদাও বেড়ে গেছে, যা প্রতিফলিত হয়েছে ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক দরপতনে। এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ডিসেম্বর মাসের শেষে এসে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে গেছে।
আর ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসের শেষে এসে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, জুলাই মাসের শেষে যেখানে প্রতি ডলারের দর ছিল ৬৯ টাকা ৪১ পয়সা, তা ডিসেম্বর মাসের শেষে এসে হয়েছে ৭০ টাকা ৭৫ পয়সা। আর জানুয়ারি মাসের শেষে তা আরও বেড়ে হয়েছে ৭১ টাকা ১৫ পয়সা।
এমসিসিআই বলছে, ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণ হলো পণ্য আমদানি-ব্যয় মেটাতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা তথা ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং প্রবাসী আয়ের প্রবাহ শ্লথ হয়ে পড়া।
রপ্তানি-আয়ের তুলনায় আমদানি-ব্যয় বেশি হওয়ায় বরাবরই বাংলাদেশের পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দেয়। এবারও এর কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে অবশ্য অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের (জুলাই-নভেম্বর) বাণিজ্য-ঘাটতির তথ্য পাওয়া যায়। তাতে দেখা যায়, পণ্যবাণিজ্যে এই সময়কালে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ১৯৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
তবে রপ্তানি-আয়ের ছয় মাসের যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয় হয়েছে এক হাজার ২৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।
সুতরাং, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে পণ্য আমদানির জন্য ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৫২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
অর্থাৎ, এই সময়কালে পণ্য আমদানি বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, শুধু ডিসেম্বর মাসে পণ্য আমদানি-ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৯৬ কোটি ডলার। আর নভেম্বর মাসে আমদানি-ব্যয় ছিল প্রায় ২৭০ কোটি ডলার।
আমদানি-ব্যয়ের এই হিসাবটি অবশ্য সিঅ্যান্ডএফ-ভিত্তিক। আর লেনদেনের ভারসাম্য সারণিতে আমদানি-ব্যয়ের হিসাব করা হয় এফওবি ভিত্তিতে। ফলে সেই অঙ্কটি সামান্য কম হয়ে থাকে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিই একমাত্র কারণ নয়। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে চাহিদা বেড়ে যাওয়াও আমদানি বাড়িয়ে আমদানি-ব্যয় বৃদ্ধিতে আরেকটা ভূমিকা রাখছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতেও এ রকমটি বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমদানি-ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত খাদ্যশস্য, ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া।
অবশ্য একই সময়ে কয়লা, ক্লিংকারের মতো বিভিন্ন মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি আগের বছরের তুলনায় খানিকটা হ্রাস পেয়েছে।
আমদানি-ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের চাহিদাও বেড়ে গেছে, যা প্রতিফলিত হয়েছে ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক দরপতনে। এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসের তুলনায় ডিসেম্বর মাসের শেষে এসে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে গেছে।
আর ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসের শেষে এসে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, জুলাই মাসের শেষে যেখানে প্রতি ডলারের দর ছিল ৬৯ টাকা ৪১ পয়সা, তা ডিসেম্বর মাসের শেষে এসে হয়েছে ৭০ টাকা ৭৫ পয়সা। আর জানুয়ারি মাসের শেষে তা আরও বেড়ে হয়েছে ৭১ টাকা ১৫ পয়সা।
এমসিসিআই বলছে, ডলারের বিপরীতে টাকা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণ হলো পণ্য আমদানি-ব্যয় মেটাতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রা তথা ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং প্রবাসী আয়ের প্রবাহ শ্লথ হয়ে পড়া।
রপ্তানি-আয়ের তুলনায় আমদানি-ব্যয় বেশি হওয়ায় বরাবরই বাংলাদেশের পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি দেখা দেয়। এবারও এর কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে অবশ্য অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের (জুলাই-নভেম্বর) বাণিজ্য-ঘাটতির তথ্য পাওয়া যায়। তাতে দেখা যায়, পণ্যবাণিজ্যে এই সময়কালে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ১৯৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
তবে রপ্তানি-আয়ের ছয় মাসের যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয় হয়েছে এক হাজার ২৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।
সুতরাং, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
No comments