নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনের রাস্তায় আনন্দের বন্যা
নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনের রাস্তায় প্রবাসী মিসরীয়রা হইহুল্লোড় করে হোসনি মোবারকের পতনকে উদ্যাপন করছেন। সব জায়গায় একই স্লোগান, ‘বিদায়, বিদায় মোবারক’। আরব ও মুসলিমবিশ্বও তাঁর পতনকে উদ্যাপন করছে। তবে সৌদি আরব, লিবিয়া, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইনের সরকার ও জনগণ নিশ্চুপ।
গত শুক্রবার মোবারকের বিদায়ের পরপরই লন্ডনে মিসরীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হন কয়েক শ প্রবাসী মিসরীয়। তাঁরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচেগেয়ে ৩০ বছরের জেঁকে বসা স্বৈরশাসনের পতন উদ্যাপন করেন। এঁদেরই একজন বারবার মোহাম্মেদ জায়েদ। আনন্দে আত্মহারা এই তরুণ বলছিলেন, ‘কুকুরটি চলে গেছে। আমাদের মর্যাদা ফিরে পেয়েছি।’
নিউইয়র্কে পতাকা আর নানা লেখাসংবলিত ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন মিসরীয়রা। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মিসরের তরুণদের অভিনন্দন। তোমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’ ৩২ বছরের হুদা এলিমাম বলেন, ‘রক্তপাত ছাড়াই অবশেষে আমরা মুক্ত।’ তিন সন্তান নিয়ে এসেছিলেন এই নারী। তিনি বলছিলেন, ‘মিসরে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতা গ্রহণ করবে—এমন আশঙ্কা নেই।’
বার্লিনের ব্রান্ডেনবার্গ গেটে প্রায় ৩০০ মিসরীয় আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন। ২১ বছর আগে বার্লিন দেয়াল ভাঙার পর এমন উৎসব হয়েছিল সেখানে। অনেকে স্লোগান দিচ্ছিল, মিসর দীর্ঘজীবী হোক।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গতকাল শনিবার আয়োজন করা হয় সমাবেশের। প্রায় ২০০ মিসরীয় নেচেগেয়ে উদ্যাপন করেন মোবারকের পতন। অভিনন্দন জানান ইন্টারনেট প্রজন্মকে। যাঁদের কারণেই ১৮ দিনের আন্দোলন সফল হয়েছে। আনন্দ-কান্নায় নূর আলদিন তারাফ বলছিলেন, ‘এটা ইন্টারনেট প্রজন্মের সাফল্য। আমাদের প্রজন্মের সাফল্য।’ অশ্রু লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে এই প্রবাসী মিসরীয় বলে চলেন, ‘সবাই হাতে হাত রেখে আন্দোলন করেছেন। স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। ফিরে পেয়েছেন তাঁদের মর্যাদা।’
মোবারকের দীর্ঘদিনের শাসনের পতন উদ্যাপন করলেও দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না অনেক মিসরীয়। লন্ডনে পড়াশোনা করতে আসা ৩২ বছরের সৈয়দ জালাল বলেন, ‘মোবারকের পতনে আমরা খুশি। কিন্তু একই সঙ্গে আবার শঙ্কিতও। আমরা আশা করছি, শেষ পর্যন্ত আমরা এমন একজন নেতা পাব, যিনি নিজের চেয়ে দেশের মানুষের সেবায় ব্রত হবেন।’
তবে ভবিষ্যৎ যা-ই হোক, মোবারকের পতনে বেশির ভাগ মিসরীয়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। লন্ডনের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরিরত আহমেদ আলী বলেন, ‘মিসরীয়রা নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত। ভবিষ্যতে যা-ই ঘটুক না কেন, এমনকি তা যদি কঠিন থেকে কঠিনতরও হয়, তবুও তা মোবারকের চেয়ে মঙ্গলময়।’
মোবারকবিরোধী আন্দোলনে মার্কিন সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মিসরীয়রা। তাঁরা অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আন্দোলনের সময় ভারসাম্য রক্ষা করে চলার চেষ্টা করেছেন। একদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষে থাকা, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের মিত্র মোবারককে রক্ষার চেষ্টা করেছেন এ দুই নেতা।
গত শুক্রবার মোবারকের বিদায়ের পরপরই লন্ডনে মিসরীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হন কয়েক শ প্রবাসী মিসরীয়। তাঁরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, নেচেগেয়ে ৩০ বছরের জেঁকে বসা স্বৈরশাসনের পতন উদ্যাপন করেন। এঁদেরই একজন বারবার মোহাম্মেদ জায়েদ। আনন্দে আত্মহারা এই তরুণ বলছিলেন, ‘কুকুরটি চলে গেছে। আমাদের মর্যাদা ফিরে পেয়েছি।’
নিউইয়র্কে পতাকা আর নানা লেখাসংবলিত ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন মিসরীয়রা। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মিসরের তরুণদের অভিনন্দন। তোমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’ ৩২ বছরের হুদা এলিমাম বলেন, ‘রক্তপাত ছাড়াই অবশেষে আমরা মুক্ত।’ তিন সন্তান নিয়ে এসেছিলেন এই নারী। তিনি বলছিলেন, ‘মিসরে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতা গ্রহণ করবে—এমন আশঙ্কা নেই।’
বার্লিনের ব্রান্ডেনবার্গ গেটে প্রায় ৩০০ মিসরীয় আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন। ২১ বছর আগে বার্লিন দেয়াল ভাঙার পর এমন উৎসব হয়েছিল সেখানে। অনেকে স্লোগান দিচ্ছিল, মিসর দীর্ঘজীবী হোক।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গতকাল শনিবার আয়োজন করা হয় সমাবেশের। প্রায় ২০০ মিসরীয় নেচেগেয়ে উদ্যাপন করেন মোবারকের পতন। অভিনন্দন জানান ইন্টারনেট প্রজন্মকে। যাঁদের কারণেই ১৮ দিনের আন্দোলন সফল হয়েছে। আনন্দ-কান্নায় নূর আলদিন তারাফ বলছিলেন, ‘এটা ইন্টারনেট প্রজন্মের সাফল্য। আমাদের প্রজন্মের সাফল্য।’ অশ্রু লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে এই প্রবাসী মিসরীয় বলে চলেন, ‘সবাই হাতে হাত রেখে আন্দোলন করেছেন। স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। ফিরে পেয়েছেন তাঁদের মর্যাদা।’
মোবারকের দীর্ঘদিনের শাসনের পতন উদ্যাপন করলেও দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না অনেক মিসরীয়। লন্ডনে পড়াশোনা করতে আসা ৩২ বছরের সৈয়দ জালাল বলেন, ‘মোবারকের পতনে আমরা খুশি। কিন্তু একই সঙ্গে আবার শঙ্কিতও। আমরা আশা করছি, শেষ পর্যন্ত আমরা এমন একজন নেতা পাব, যিনি নিজের চেয়ে দেশের মানুষের সেবায় ব্রত হবেন।’
তবে ভবিষ্যৎ যা-ই হোক, মোবারকের পতনে বেশির ভাগ মিসরীয়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। লন্ডনের একটি রেস্তোরাঁয় চাকরিরত আহমেদ আলী বলেন, ‘মিসরীয়রা নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত। ভবিষ্যতে যা-ই ঘটুক না কেন, এমনকি তা যদি কঠিন থেকে কঠিনতরও হয়, তবুও তা মোবারকের চেয়ে মঙ্গলময়।’
মোবারকবিরোধী আন্দোলনে মার্কিন সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মিসরীয়রা। তাঁরা অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আন্দোলনের সময় ভারসাম্য রক্ষা করে চলার চেষ্টা করেছেন। একদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষে থাকা, অন্যদিকে দীর্ঘদিনের মিত্র মোবারককে রক্ষার চেষ্টা করেছেন এ দুই নেতা।
No comments