ফের শান্তি আলোচনা করতে সম্মত ভারত ও পাকিস্তান
মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে মুখ থুবড়ে পড়া শান্তি আলোচনা আবারও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দেশের সরকারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি আগামী জুলাই মাসে নয়াদিল্লি সফরে যাবেন।
গত রোববার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবেরা এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব সালমান বশির ওই বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে গঠনমূলক আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে দুই পক্ষের মতৈক্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করা হয়।বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষ্ণু প্রকাশ বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠককে সামনে রেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুই পক্ষের প্রস্তুতি চলছে।প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের বিভাজনের পর থেকে কাশ্মীর সমস্যা, সীমানা ও সম্পদের বণ্টন, জঙ্গি তৎপরতাসহ নানা ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান অন্তত তিনবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।দুই দেশের মধ্যে ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিক শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু মুম্বাই হামলার পর ওই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।২০০৮ সালের শেষের দিকে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৬৬ জন নিহত হয়।নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানি জঙ্গিরা মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালালেও এসব জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি ইসলামাবাদ।এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামাবাদ বলে আসছে, সন্ত্রাসবাদ দমনে তার দেশ যথেষ্ট তৎপর। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ সরবরাহের জন্য নয়াদিল্লির কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছে ইসলামাবাদ।গত বছরের এপ্রিলে থিম্পুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অচলাবস্থা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।এরপর জুলাই মাসে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলেও শান্তি আলোচনা ফের শুরুর ব্যাপারে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে পরস্পরকে দোষারূপ করেন তাঁরা। ফলে কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।
গত রোববার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবেরা এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব সালমান বশির ওই বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে গঠনমূলক আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে দুই পক্ষের মতৈক্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করা হয়।বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষ্ণু প্রকাশ বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠককে সামনে রেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুই পক্ষের প্রস্তুতি চলছে।প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের বিভাজনের পর থেকে কাশ্মীর সমস্যা, সীমানা ও সম্পদের বণ্টন, জঙ্গি তৎপরতাসহ নানা ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান অন্তত তিনবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।দুই দেশের মধ্যে ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিক শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু মুম্বাই হামলার পর ওই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।২০০৮ সালের শেষের দিকে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৬৬ জন নিহত হয়।নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানি জঙ্গিরা মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালালেও এসব জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি ইসলামাবাদ।এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামাবাদ বলে আসছে, সন্ত্রাসবাদ দমনে তার দেশ যথেষ্ট তৎপর। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ সরবরাহের জন্য নয়াদিল্লির কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছে ইসলামাবাদ।গত বছরের এপ্রিলে থিম্পুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অচলাবস্থা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।এরপর জুলাই মাসে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করলেও শান্তি আলোচনা ফের শুরুর ব্যাপারে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে পরস্পরকে দোষারূপ করেন তাঁরা। ফলে কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।
No comments