সংশোধিত এডিপিতে দেশজ সম্পদের জোগান কমবে না
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার প্রায় সাড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মূল এডিপি থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হচ্ছে। আর এই কাটছাঁটে পুরোটাই বাদ যাবে বিদেশি সহায়তার লক্ষ্যমাত্রা থেকে। দেশজ উৎস থেকে প্রাপ্ত সম্পদের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় মূল এডিপির আকার কমিয়ে ফেলার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।তবে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মূল এডিপিতে স্থানীয় মুদ্রায় জোগান দেওয়া অর্থ কমানো হবে না। তবে স্থানীয় মুদ্রার অর্থ এক খাত থেকে অন্য খাতে স্থানান্তর করা হবে। শুধু বিদেশি সহায়তার অর্থই কমানো হবে।বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, সংশোধিত এডিপিতে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে মূল এডিপি থেকে বরাদ্দ বাড়ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বিদেশি সহায়তার পরিমাণ আরও কিছু কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।প্রসঙ্গ, চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপিতে স্থানীয় মুদ্রায় জোগান রাখা হয়েছে ২৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর বিদেশি সহায়তা হিসেবে ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি সহায়তার যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় তিন হাজার কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। আর ইআরডি সংশোধিত এডিপিতে ৩৮টি প্রকল্পে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ১২ থেকে ১০০ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে।
No comments