মুক্তিযোদ্ধার জয়, ব্রাদার্সের তাণ্ডব
৩৭ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামলেন তরুণ স্ট্রাইকার মিঠুন চৌধুরী। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাঁর আলতো চিপ জালে!
মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে উল্লাস। খেলার ধারার বিপক্ষে গোল খেয়ে ব্রাদার্স হতবাক। ফুটবল ম্যাচে এমন নাটকীয়তা নতুন কিছু নয়। কিন্তু কাল কমলাপুর স্টেডিয়াম যা দেখল, তাকে তাণ্ডব না বলে উপায় নেই।
গোলের তিন-চার মিনিট পর হঠাৎ ব্রাদার্স শিবির থেকে তাদের কর্মকর্তা এবং সহকারীরা ছুটলেন নিজেদের গোলপোস্টের দিকে! ম্যানেজার আমের খান এবং আরও দুজন ছিলেন এই দলে। পরে একে একে সবাই যান। এমনকি কোচ ওয়াসিম ইকবালও গেছেন। কী ব্যাপার? পেশাদার লিগের ম্যাচ চলছে, অথচ নিয়ম ভেঙে ম্যাচ চলাকালে এক দলের গোলপোস্টে সবাই উপস্থিত!
ব্রাদার্স পোস্টে গিয়ে সাইড নেট দেখাচ্ছে, ওটা ছেঁড়া! অর্থাৎ মিঠুন চৌধুরীর শটটা গোল হয়নি, বল পাশের ছেঁড়া জাল দিয়ে ঢুকেছে। গোল যখন হলো, তখন এটা আবিষ্কৃত হয়নি! তিন-চার মিনিট পর গ্যালারি থেকে কয়েকজন ব্রাদার্স সমর্থক ‘জাল ছেঁড়া’ ‘জাল ছেঁড়া’ চিৎকার দেওয়ার পর ওই কাণ্ড। ‘চিলে কান নিল’ গল্পটাই যেন মঞ্চস্থ!
কিন্তু গোটা ব্যাপারটাই ভুল। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে, বৈধ গোল। ব্রাদার্স গোলরক্ষক রঘু ঝাঁপিয়ে পড়েও বল ধরতে পারেনি। একটা বৈধ গোলকে অবৈধ দাবি করে ব্রাদার্স কর্মকর্তাদের মাঠে ঢুকে পড়া বিস্ময়কর। স্টেডিয়ামের চতুর্থ তলা থেকে যেভাবে চেয়ার ছুড়ে ফেলেছে ব্রাদার্স সমর্থকেরা, সেটি তো রীতিমতো মস্তানি! রেফারি আজাদ রহমানের দিকেও তেড়ে গেল কেউ কেউ। ব্রাদার্স তাদের পুরোনো বদ অভ্যাস আজও ছাড়তে পারেনি!
ওই ঘটনায় মিনিট দশেক খেলা বন্ধ ছিল। এরপর ম্যাচে ফেরা দূরে থাক, ৬০ মিনিটে ব্রাদার্স খেয়ে গেল আরেকটি গোল। গোলদাতা সেই মিঠুন। বুকোলার ঠেলে দেওয়া বল ফাঁকা পোস্টে পাঠানোর কাজটা খুব ঠান্ডা মাথায় করেছেন এই তরুণ। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান রইল ২-০-ই। ব্রাদার্সের তুলনায় খারাপ খেলেও বাংলাদেশ লিগে শুভসূচনা হলো নতুন উদ্যেমে শুরু করা মুক্তিযোদ্ধার।
ব্রাদার্সের জন্য এই পরাজয় মেনে নেওয়া কঠিন। মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে বলের দখল থেকে শুরু করে সব বিভাগেই এগিয়ে ছিল গোপীবাগের দলটি। মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক বিপ্লব প্রথমার্ধে দুবার ব্রাদার্সের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান, কিন্তু ব্রাদার্স যেসব মিস করেছে, এই পর্যায়ের ফুটবলে তেমন মিস হলে জয়ের আশা অবশ্য না করাই ভালো।
চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি ফেডারেশন কাপে ঝলক দেখানো ব্রাদার্সের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এভারটন। এনক বেনটিল বরাবরের মতোই ছিলেন ভীতিকর। ভালো খেলেছেন তরুণ ফয়সাল মাহমুদও। কিন্তু হলে কী হবে, ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্ড একাই মিস করেছেন গোটা চারেক সুযোগ। ব্রাদার্স জিতবে কী করে?
জয়-পরাজয় এক পাশে থাক। ম্যাচটা কিন্তু উপভোগ্যই ছিল। আবাহনী-শেখ জামাল ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ দেখে হতাশ দর্শকদের কাছে এই ম্যাচ আবার মাঠে আসার বিজ্ঞাপনও। কিন্তু হাতেগোনা তিন-চার শ লোক ছাড়া আর কেউ মাঠে এলে তো!
মুক্তিযোদ্ধা কোচ মারুফুল হক জিতলেও খুশি নন। ব্রাদার্সের লোকজনের মাঠে ঢুকে পড়া প্রসঙ্গে তাঁর ক্ষোভ, ‘একে কি পেশাদার লিগ বলে? চেয়ার ছুড়ে মারা হলো এটাই বা কী ধরনের আচরণ।’
মুক্তিযোদ্ধা: বিপ্লব, রাজন, রজনী, মতিউর মুন্না, আরমান আজিজ, বুকোলো, মারুফ (মিঠুন), আলমগীর (নাসির), জাহেদ পারভেজ, লুসিয়ানো আরিয়েল, ড্যামি।
ব্রাদার্স: রঘু, নাহিদুল, ফয়সাল মাহমুদ, আশরাফুল, ইউসুফ, কবির (তরু), অপু (তারা), এভারটন, ড্যানিলো, এনক বেনটিল, রিচার্ডস (তপু)।
মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে উল্লাস। খেলার ধারার বিপক্ষে গোল খেয়ে ব্রাদার্স হতবাক। ফুটবল ম্যাচে এমন নাটকীয়তা নতুন কিছু নয়। কিন্তু কাল কমলাপুর স্টেডিয়াম যা দেখল, তাকে তাণ্ডব না বলে উপায় নেই।
গোলের তিন-চার মিনিট পর হঠাৎ ব্রাদার্স শিবির থেকে তাদের কর্মকর্তা এবং সহকারীরা ছুটলেন নিজেদের গোলপোস্টের দিকে! ম্যানেজার আমের খান এবং আরও দুজন ছিলেন এই দলে। পরে একে একে সবাই যান। এমনকি কোচ ওয়াসিম ইকবালও গেছেন। কী ব্যাপার? পেশাদার লিগের ম্যাচ চলছে, অথচ নিয়ম ভেঙে ম্যাচ চলাকালে এক দলের গোলপোস্টে সবাই উপস্থিত!
ব্রাদার্স পোস্টে গিয়ে সাইড নেট দেখাচ্ছে, ওটা ছেঁড়া! অর্থাৎ মিঠুন চৌধুরীর শটটা গোল হয়নি, বল পাশের ছেঁড়া জাল দিয়ে ঢুকেছে। গোল যখন হলো, তখন এটা আবিষ্কৃত হয়নি! তিন-চার মিনিট পর গ্যালারি থেকে কয়েকজন ব্রাদার্স সমর্থক ‘জাল ছেঁড়া’ ‘জাল ছেঁড়া’ চিৎকার দেওয়ার পর ওই কাণ্ড। ‘চিলে কান নিল’ গল্পটাই যেন মঞ্চস্থ!
কিন্তু গোটা ব্যাপারটাই ভুল। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে, বৈধ গোল। ব্রাদার্স গোলরক্ষক রঘু ঝাঁপিয়ে পড়েও বল ধরতে পারেনি। একটা বৈধ গোলকে অবৈধ দাবি করে ব্রাদার্স কর্মকর্তাদের মাঠে ঢুকে পড়া বিস্ময়কর। স্টেডিয়ামের চতুর্থ তলা থেকে যেভাবে চেয়ার ছুড়ে ফেলেছে ব্রাদার্স সমর্থকেরা, সেটি তো রীতিমতো মস্তানি! রেফারি আজাদ রহমানের দিকেও তেড়ে গেল কেউ কেউ। ব্রাদার্স তাদের পুরোনো বদ অভ্যাস আজও ছাড়তে পারেনি!
ওই ঘটনায় মিনিট দশেক খেলা বন্ধ ছিল। এরপর ম্যাচে ফেরা দূরে থাক, ৬০ মিনিটে ব্রাদার্স খেয়ে গেল আরেকটি গোল। গোলদাতা সেই মিঠুন। বুকোলার ঠেলে দেওয়া বল ফাঁকা পোস্টে পাঠানোর কাজটা খুব ঠান্ডা মাথায় করেছেন এই তরুণ। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান রইল ২-০-ই। ব্রাদার্সের তুলনায় খারাপ খেলেও বাংলাদেশ লিগে শুভসূচনা হলো নতুন উদ্যেমে শুরু করা মুক্তিযোদ্ধার।
ব্রাদার্সের জন্য এই পরাজয় মেনে নেওয়া কঠিন। মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে বলের দখল থেকে শুরু করে সব বিভাগেই এগিয়ে ছিল গোপীবাগের দলটি। মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক বিপ্লব প্রথমার্ধে দুবার ব্রাদার্সের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান, কিন্তু ব্রাদার্স যেসব মিস করেছে, এই পর্যায়ের ফুটবলে তেমন মিস হলে জয়ের আশা অবশ্য না করাই ভালো।
চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি ফেডারেশন কাপে ঝলক দেখানো ব্রাদার্সের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এভারটন। এনক বেনটিল বরাবরের মতোই ছিলেন ভীতিকর। ভালো খেলেছেন তরুণ ফয়সাল মাহমুদও। কিন্তু হলে কী হবে, ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্ড একাই মিস করেছেন গোটা চারেক সুযোগ। ব্রাদার্স জিতবে কী করে?
জয়-পরাজয় এক পাশে থাক। ম্যাচটা কিন্তু উপভোগ্যই ছিল। আবাহনী-শেখ জামাল ম্যাড়মেড়ে ম্যাচ দেখে হতাশ দর্শকদের কাছে এই ম্যাচ আবার মাঠে আসার বিজ্ঞাপনও। কিন্তু হাতেগোনা তিন-চার শ লোক ছাড়া আর কেউ মাঠে এলে তো!
মুক্তিযোদ্ধা কোচ মারুফুল হক জিতলেও খুশি নন। ব্রাদার্সের লোকজনের মাঠে ঢুকে পড়া প্রসঙ্গে তাঁর ক্ষোভ, ‘একে কি পেশাদার লিগ বলে? চেয়ার ছুড়ে মারা হলো এটাই বা কী ধরনের আচরণ।’
মুক্তিযোদ্ধা: বিপ্লব, রাজন, রজনী, মতিউর মুন্না, আরমান আজিজ, বুকোলো, মারুফ (মিঠুন), আলমগীর (নাসির), জাহেদ পারভেজ, লুসিয়ানো আরিয়েল, ড্যামি।
ব্রাদার্স: রঘু, নাহিদুল, ফয়সাল মাহমুদ, আশরাফুল, ইউসুফ, কবির (তরু), অপু (তারা), এভারটন, ড্যানিলো, এনক বেনটিল, রিচার্ডস (তপু)।
No comments