ওয়েতাহা ও শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা হলে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে
আইভরি কোস্টে নির্বাচনে বিজয়ী আলাসেন ওয়েতাহার ওপর হামলা না করার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবো ও তাঁর সমর্থকদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বলেন, ওয়েতাহার ওপর হামলা হলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। ওয়েতাহা দেশের আবিদজান শহরের গলফ হোটেলে অবস্থান করছেন। তাঁর নিরাপত্তা দিচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী।
গত বুধবার বাগবো সরকারের যুবমন্ত্রী চার্লস ব্লি গাউদে আগামী শনিবার ওই হোটেলে হামলা চালানোর জন্য সরকারের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘১ জানুয়ারি আমি এবং আমার দেশের যুবকেরা খালি হাতেই ওই হোটেল মুক্ত করতে যাচ্ছি।’
ব্লি গাউদের এই হুমকিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বান কি মুন বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী এবং একই সঙ্গে ওই হোটেলে অবস্থানকারী সরকারি কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা হলে তা প্রতিহত করতে এবং ওয়েতাহাকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে শান্তিরক্ষীরা।’জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘হোটেলে কোনো হামলা হলে তা থেকে বড় ধরনের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে। এতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।’হামলার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বান কি মুন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ ক্ষেত্রে উসকানিদাতাদের দায়ী করা হবে।ওই হোটেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে ‘নিউ ফোর্স’ হিসেবে পরিচিত সামান্য অস্ত্রসজ্জিত সাবেক গেরিলাদের একটি ছোট দল এবং ৮০০ শান্তিরক্ষী বাহিনী। শান্তিরক্ষীদের কাছে কিছু সুসজ্জিত যান আছে এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সেখানে রসদ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ওই এলাকা ঘিরে আছে বাগবো-সমর্থিত আইভরি কোস্টের সুসজ্জিত সেনাবাহিনী। এই অবস্থায় সরকার-সমর্থিত যুবকেরা সেখানে হামলার জন্য গেলে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।জাতিসংঘ কর্মকর্তা ফ্রান্সিস ডেং বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে বাগবোর বিরোধীদের বাড়িঘর চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।বাগবোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আইভরি কোস্টে সেনা পাঠানোর হুমকি দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইসিওডব্লিউএএস। তবে তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন বাগবোর মন্ত্রী গ্লি গাউদে।’ গত ২৯ নভেম্বর আইভরি কোস্টে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী নেতা ওয়েতাহাকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
গত বুধবার বাগবো সরকারের যুবমন্ত্রী চার্লস ব্লি গাউদে আগামী শনিবার ওই হোটেলে হামলা চালানোর জন্য সরকারের সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘১ জানুয়ারি আমি এবং আমার দেশের যুবকেরা খালি হাতেই ওই হোটেল মুক্ত করতে যাচ্ছি।’
ব্লি গাউদের এই হুমকিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বান কি মুন বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী এবং একই সঙ্গে ওই হোটেলে অবস্থানকারী সরকারি কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা হলে তা প্রতিহত করতে এবং ওয়েতাহাকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে শান্তিরক্ষীরা।’জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘হোটেলে কোনো হামলা হলে তা থেকে বড় ধরনের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে। এতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।’হামলার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বান কি মুন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ ক্ষেত্রে উসকানিদাতাদের দায়ী করা হবে।ওই হোটেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে ‘নিউ ফোর্স’ হিসেবে পরিচিত সামান্য অস্ত্রসজ্জিত সাবেক গেরিলাদের একটি ছোট দল এবং ৮০০ শান্তিরক্ষী বাহিনী। শান্তিরক্ষীদের কাছে কিছু সুসজ্জিত যান আছে এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সেখানে রসদ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ওই এলাকা ঘিরে আছে বাগবো-সমর্থিত আইভরি কোস্টের সুসজ্জিত সেনাবাহিনী। এই অবস্থায় সরকার-সমর্থিত যুবকেরা সেখানে হামলার জন্য গেলে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে।জাতিসংঘ কর্মকর্তা ফ্রান্সিস ডেং বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে বাগবোর বিরোধীদের বাড়িঘর চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।বাগবোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে আইভরি কোস্টে সেনা পাঠানোর হুমকি দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ইসিওডব্লিউএএস। তবে তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন বাগবোর মন্ত্রী গ্লি গাউদে।’ গত ২৯ নভেম্বর আইভরি কোস্টে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী নেতা ওয়েতাহাকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
No comments