তিন দেশকে এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষরের আহ্বান
জাতিসংঘ ভারত, পাকিস্তান ও ইসরায়েলকে আর দেরি না করে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) ও সমন্বিত পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে ওই তিন দেশকে কোনো পূর্ব শর্ত না দেওয়ার ব্যাপারেও অনুরোধ জানানো হয়। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে মাসব্যাপী চলা সম্মেলনের শেষ দিনে পরমাণু বিস্তার রোধবিষয়ক অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে এনপিটিতে স্বাক্ষর করা ১৮৯টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে তাঁরা পরমাণু অস্ত্রমুক্ত এলাকা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছান। এ প্রসঙ্গে এনপিটিতে ইসরায়েলের স্বাক্ষর করার বিষয়টিকে তাঁরা গুরুত্ব দেন। এ ব্যাপারে নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা প্রসঙ্গে কেবল ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।
সম্মেলনে কর্মপরিকল্পনার জন্য এই প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে ২৮ পৃষ্ঠার একটি চূড়ান্ত দলিল অনুমোদিত হয়। এর মূল তিনটি বিষয় হলো পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রকরণ, পরমাণু বিস্তার রোধ ও শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই চূড়ান্ত দলিলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বৈশ্বিক পরমাণু বিস্তার রোধ কার্যক্রম জোরদার করবে। তবে মধ্যপ্রাচ্য প্রসঙ্গে ইসরায়েলের নাম এককভাবে উল্লেখ করায় তিনি এর বিরোধিতা করেন।
দলিলে উল্লেখ করা হয়, সম্মেলনে সবাই এই মতৈক্যে পৌঁছেছে যে, চুক্তিতে সব দেশের সম্পৃক্ততাই কেবল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে। এ জন্য চুক্তিতে এখনো স্বাক্ষর না করা তিন দেশ ভারত, পাকিস্তান ও ইসরায়েলকে দেরি না করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত এলাকা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রতিনিধিরা একযোগে সমর্থন দেন। এতে ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও সমর্থন দেয়। এ লক্ষ্যে ২০১২ সালে একটি সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হয়েছিল, ইরানি দূত আলি আজগর সুলতানিয়েহ এই প্রস্তাবে ভেটো দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। তিনি বলেন, ‘সীমিত আকারে হলেও এই চূড়ান্ত দলিল পরমাণু নিরস্ত্রকরণের অভিন্ন লক্ষ্যের দিকে আমাদের নিয়ে যাবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত এলাকা গড়া প্রসঙ্গে এনপিটি চুক্তিতে ইসরায়েলের স্বাক্ষরের বিষয়কে গুরুত্বারোপ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে।
ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি হচ্ছে এনপিটিবিষয়ক একটি যুগান্তকারী ভণ্ডামি। সেখানে কেবল আমাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পরমাণু অস্ত্র বাগাতে যে উঠেপড়ে লেগেছে, সেই ইরানের নাম নেই। অথচ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ইরানি পরমাণু প্রকল্পের সামরিক বৈশিষ্ট্যগুলোর ব্যাপারে নিত্যনতুন তথ্য দিচ্ছে।
সম্মেলনে এনপিটিতে স্বাক্ষর করা ১৮৯টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে তাঁরা পরমাণু অস্ত্রমুক্ত এলাকা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছান। এ প্রসঙ্গে এনপিটিতে ইসরায়েলের স্বাক্ষর করার বিষয়টিকে তাঁরা গুরুত্ব দেন। এ ব্যাপারে নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা প্রসঙ্গে কেবল ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।
সম্মেলনে কর্মপরিকল্পনার জন্য এই প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে ২৮ পৃষ্ঠার একটি চূড়ান্ত দলিল অনুমোদিত হয়। এর মূল তিনটি বিষয় হলো পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রকরণ, পরমাণু বিস্তার রোধ ও শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই চূড়ান্ত দলিলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বৈশ্বিক পরমাণু বিস্তার রোধ কার্যক্রম জোরদার করবে। তবে মধ্যপ্রাচ্য প্রসঙ্গে ইসরায়েলের নাম এককভাবে উল্লেখ করায় তিনি এর বিরোধিতা করেন।
দলিলে উল্লেখ করা হয়, সম্মেলনে সবাই এই মতৈক্যে পৌঁছেছে যে, চুক্তিতে সব দেশের সম্পৃক্ততাই কেবল কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে। এ জন্য চুক্তিতে এখনো স্বাক্ষর না করা তিন দেশ ভারত, পাকিস্তান ও ইসরায়েলকে দেরি না করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত এলাকা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রতিনিধিরা একযোগে সমর্থন দেন। এতে ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও সমর্থন দেয়। এ লক্ষ্যে ২০১২ সালে একটি সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হয়েছিল, ইরানি দূত আলি আজগর সুলতানিয়েহ এই প্রস্তাবে ভেটো দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। তিনি বলেন, ‘সীমিত আকারে হলেও এই চূড়ান্ত দলিল পরমাণু নিরস্ত্রকরণের অভিন্ন লক্ষ্যের দিকে আমাদের নিয়ে যাবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত এলাকা গড়া প্রসঙ্গে এনপিটি চুক্তিতে ইসরায়েলের স্বাক্ষরের বিষয়কে গুরুত্বারোপ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে।
ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি হচ্ছে এনপিটিবিষয়ক একটি যুগান্তকারী ভণ্ডামি। সেখানে কেবল আমাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পরমাণু অস্ত্র বাগাতে যে উঠেপড়ে লেগেছে, সেই ইরানের নাম নেই। অথচ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ইরানি পরমাণু প্রকল্পের সামরিক বৈশিষ্ট্যগুলোর ব্যাপারে নিত্যনতুন তথ্য দিচ্ছে।
No comments