স্থগিতই থাকছে খালেদার জামিন
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হত্যা ও নাশকতার দুটি
মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন ২৪শে জুন পর্যন্ত
স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে
রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি
নিয়ে গতকাল এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত
তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। এদিকে ঢাকার মানহানির দুই মামলায় হাইকোর্টে
জামিন পাননি খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসনের করা জামিনের আবেদন গতকাল
নিষ্পত্তি করে এ দুই মামলায় বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদন নিষ্পত্তির
নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের
সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন
বলেন, হাইকোর্ট আমাদের আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়ার
আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
কুমিল্লার দুই মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে গতকাল খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। এর আগে গত ২৯শে মে এক আদেশে চেম্বার আদালত খালেদা জিয়াকে এ দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সোমবার (২৮শে মে) এক আদেশে খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার হত্যা ও নাশকতার মামলায় ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে খালেদার জামিন স্থগিত চেয়ে ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আর মানহানির দুই মামলায় খালেদার পক্ষে গত ২৯শে মে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মওদুদ আহমদ। এ দু’মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা অন্য একটি মামলায় তার জামিন শুনানি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন সময় পর্যন্ত মুলতবি করেছেন বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আদালতে গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। এর আগে বুধবার খালেদা জিয়ার পক্ষে মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী একেএম এহসানুর রহমান।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দুটি মামলা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে নড়াইলে করা মানহানির একটি মামলায় জামিন পেতে গত ২০শে মে আইনজীবীদের মাধ্যমে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২২শে মে শুনানি শুরু হয়। রোববার এ সংক্রান্তে শুনানি শেষ হয়। এর মধ্যে নড়াইলের মানহানির মামলাটিতে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে কি আদেশ হয়েছে, গত ২৮শে মে তা জানতে চেয়ে যথাযথ উত্তর না পেয়ে আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো ও তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় জামিনের জন্য গত ২২শে মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদন করা হয়। এ দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ১৭ই মে রাষ্ট্রপক্ষকে আদেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত। আদেশে আগামী ৫ই জুলাইয়ের মধ্যে এ আদেশ কার্যকর করে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়।
কুমিল্লার দুই মামলায় গতকাল আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের আদেশের পর তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে আমরা বলেছি, অতীতে এ ধরনের মামলায় কখনো দেখিনি যে হাইকোর্ট জামিন দিলে আপিল বিভাগ তাতে হস্তক্ষেপ করেছে। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল কেন এই মামলা এখানে (আপিল বিভাগ) নিয়ে এসেছেন আমরা জানি না। তারপরও আমরা বলি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা চলতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিক কারণে জেলে রাখতে চায়। যেহেতু ইতিমধ্যে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হবে এবং এটা সরকারও জানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি ন্যায় নীতির মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে বের করে আনবো। কিন্তু সরকার চাইছে যে কোনো উপায়ে হোক তাকে জেলে রাখতে হবে, কারাবন্দি রাখতে হবে। জয়নুল আবেদীন বলেন, যে মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা) খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে সেই মামলায় জামিন পেয়েছি। অথচ এই মামলায় তিনি জামিন পাননি। খালেদার অন্য আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই মামলার (কুমিল্লার হত্যা ও নাশকতা) ঘটনার সময় বেগম জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে র্যাব, পুলিশ, ইটের ট্রাক বালির ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। খালেদা জিয়া কিভাবে এই মামলায় সম্পৃক্ত হলেন সে ধরনের কোনো বক্তব্য নেই। এই মামলায় তার সম্পৃক্ততা নেই। এফআইআর-এ তার নাম ছিল না। এই মামলার সকল মূল আসামিরা জামিন পেয়েছেন। খালেদা জিয়া এই মামলায় সহযোগী আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী জামিন পাওয়ার যোগ্য।
আপিল বিভাগের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কুমিল্লার দুই মামলায় দুই দিন আগে চেম্বার আদালত থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলাম। আপিল বিভাগ উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ২৪শে জুনের মধ্যে নিয়মিত পিটিশন দাখিল করতে বলেছেন এবং এ বিষয়ে যে পর্যন্ত শুনানি না হয় হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন তা বহাল থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের যুক্তি হলো এই মামলায় উনি (খালেদা জিয়া) হলেন মূল ব্যক্তি যার নির্দেশে, আদেশে ও প্ররোচনায় এই আগুন, জ্বালাও পোড়াও শুরু হয়েছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে বহু মানুষ মারা গেছে, বহু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। একটি ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সাতজন গাড়িতে পুড়ে মারা গেছেন। এখন যার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে তাকে যদি জামিন দেয়া হয় তাহলে আইনের প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধাবোধ সেটার কি হবে? আর উনার (খালেদা জিয়া) এই সিদ্ধান্ত ও প্ররোচনার জন্য যে লোকগুলো মারা গেছে তারাও তো বিচারপ্রার্থী। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পৃথিবীতে এরকম কোথাও হয়নি যে, রাজনৈতিক নেত্রীর নির্দেশে বেশ কয়েকদিন যাবৎ জ্বালাও পোড়াও হয়েছে এবং তাতে শত শত লোক মারা গেছে।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। গত ১২ই মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। গত ১৭ই মে আপিল বিভাগ এক রায়ে খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখেন। পাশাপাশি সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
কুমিল্লার দুই মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে গতকাল খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। এর আগে গত ২৯শে মে এক আদেশে চেম্বার আদালত খালেদা জিয়াকে এ দুই মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সোমবার (২৮শে মে) এক আদেশে খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার হত্যা ও নাশকতার মামলায় ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে খালেদার জামিন স্থগিত চেয়ে ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। আর মানহানির দুই মামলায় খালেদার পক্ষে গত ২৯শে মে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মওদুদ আহমদ। এ দু’মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা অন্য একটি মামলায় তার জামিন শুনানি সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন সময় পর্যন্ত মুলতবি করেছেন বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আদালতে গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। এর আগে বুধবার খালেদা জিয়ার পক্ষে মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী একেএম এহসানুর রহমান।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা দুটি মামলা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে নড়াইলে করা মানহানির একটি মামলায় জামিন পেতে গত ২০শে মে আইনজীবীদের মাধ্যমে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২২শে মে শুনানি শুরু হয়। রোববার এ সংক্রান্তে শুনানি শেষ হয়। এর মধ্যে নড়াইলের মানহানির মামলাটিতে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে কি আদেশ হয়েছে, গত ২৮শে মে তা জানতে চেয়ে যথাযথ উত্তর না পেয়ে আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো ও তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় জামিনের জন্য গত ২২শে মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আবেদন করা হয়। এ দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ১৭ই মে রাষ্ট্রপক্ষকে আদেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত। আদেশে আগামী ৫ই জুলাইয়ের মধ্যে এ আদেশ কার্যকর করে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়।
কুমিল্লার দুই মামলায় গতকাল আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিতের আদেশের পর তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে আমরা বলেছি, অতীতে এ ধরনের মামলায় কখনো দেখিনি যে হাইকোর্ট জামিন দিলে আপিল বিভাগ তাতে হস্তক্ষেপ করেছে। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল কেন এই মামলা এখানে (আপিল বিভাগ) নিয়ে এসেছেন আমরা জানি না। তারপরও আমরা বলি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা চলতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যমূলক ও রাজনৈতিক কারণে জেলে রাখতে চায়। যেহেতু ইতিমধ্যে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হবে এবং এটা সরকারও জানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি ন্যায় নীতির মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে বের করে আনবো। কিন্তু সরকার চাইছে যে কোনো উপায়ে হোক তাকে জেলে রাখতে হবে, কারাবন্দি রাখতে হবে। জয়নুল আবেদীন বলেন, যে মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা) খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে সেই মামলায় জামিন পেয়েছি। অথচ এই মামলায় তিনি জামিন পাননি। খালেদার অন্য আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই মামলার (কুমিল্লার হত্যা ও নাশকতা) ঘটনার সময় বেগম জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে র্যাব, পুলিশ, ইটের ট্রাক বালির ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। খালেদা জিয়া কিভাবে এই মামলায় সম্পৃক্ত হলেন সে ধরনের কোনো বক্তব্য নেই। এই মামলায় তার সম্পৃক্ততা নেই। এফআইআর-এ তার নাম ছিল না। এই মামলার সকল মূল আসামিরা জামিন পেয়েছেন। খালেদা জিয়া এই মামলায় সহযোগী আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী জামিন পাওয়ার যোগ্য।
আপিল বিভাগের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, কুমিল্লার দুই মামলায় দুই দিন আগে চেম্বার আদালত থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলাম। আপিল বিভাগ উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ২৪শে জুনের মধ্যে নিয়মিত পিটিশন দাখিল করতে বলেছেন এবং এ বিষয়ে যে পর্যন্ত শুনানি না হয় হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন তা বহাল থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের যুক্তি হলো এই মামলায় উনি (খালেদা জিয়া) হলেন মূল ব্যক্তি যার নির্দেশে, আদেশে ও প্ররোচনায় এই আগুন, জ্বালাও পোড়াও শুরু হয়েছিল এবং যার ফলশ্রুতিতে বহু মানুষ মারা গেছে, বহু সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। একটি ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে সাতজন গাড়িতে পুড়ে মারা গেছেন। এখন যার নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে তাকে যদি জামিন দেয়া হয় তাহলে আইনের প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধাবোধ সেটার কি হবে? আর উনার (খালেদা জিয়া) এই সিদ্ধান্ত ও প্ররোচনার জন্য যে লোকগুলো মারা গেছে তারাও তো বিচারপ্রার্থী। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পৃথিবীতে এরকম কোথাও হয়নি যে, রাজনৈতিক নেত্রীর নির্দেশে বেশ কয়েকদিন যাবৎ জ্বালাও পোড়াও হয়েছে এবং তাতে শত শত লোক মারা গেছে।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। গত ১২ই মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। গত ১৭ই মে আপিল বিভাগ এক রায়ে খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখেন। পাশাপাশি সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানি আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
No comments