৩১শে জানুয়ারির পর অ্যাকোর্ড-অ্যালায়েন্স বাংলাদেশে প্রয়োজন নেই
বাণিজ্যমন্ত্রী
তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ৩১শে জানুয়ারির পর বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টরে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার ক্রেতা জোট অ্যাকোর্ড ও অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন
নেই। একইসঙ্গে তিনি এ খাতের ব্যবসায়ীদের সময় মতো বেতন ও বোনাস দেয়ার আহ্বান
জানান। গতকাল গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিষয়ে গার্মেন্ট মালিকদের (বিজিএমইএ)
সঙ্গে আয়োজিত বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি
এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩১শে জানুয়ারির পর এদেশে
অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কোনো প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ এখন
আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। আগামী ২০২৭ পর্যন্ত আমরা
এলডিসি সুবিধা পাবো। তিনি বলেন, পোশাক খাতের শ্রমিকদের সময়মতো বেতন-ভাতা
দিতে হবে। ১০ তারিখের মধ্যে মে মাসের পূর্ণ বেতন এবং ১৪ তারিখের আগে বোনাস
পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আগে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা চলবে না। শ্রমিক
অসন্তোষ দেখা দেয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না। ব্যবসায়ীরা নগদ টাকা
বহনের ক্ষেত্রে পুলিশি সহয়তা চাইলে পাবেন। মন্ত্রী বলেন, এবার দেশের
প্রতিটি শ্রমিক শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। বাংলাদেশের রফতানি
পণ্যের ৮২ শতাংশই তৈরি পোশাক। এ বছর এই খাতে ৯.৩৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তাই এ বছরের এ খাতের ৩০ বিলিয়ন রপ্তানির লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব। বৈঠকে
অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন,
বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত
ছিলেন। এদিকে বৈঠকে উপস্থিত বিজিএমই সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জুন
মাসের ১০ তারিখের মধ্যেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ১৪ তারিখের মধ্যেই সব
কারখানায় বোনাস দেয়া হবে। ব্যাংক থেকে বেতন-বোনাসের টাকা তোলার সময়
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পোশাক মালিকদের পুলিশের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ
দেন।
No comments