রাজদণ্ড হাতে সিংহাসনে জোকার
র্যাংকিং জিনিসটা তাহলে একেবারে ফালতু নয়! রাজদণ্ড হাতে মেলবোর্নে সিংহাসনের বসলেন দুই নাম্বার ওয়ান। আগের দিন প্রমীলা এককের শিরোপা জিতেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। কাল পুরুষ এককে শেষ হাসি হাসলেন নোভাক জোকোভিচ। সুপার সানডের থ্রিলার ফাইনালে অ্যান্ডি মারেকে ৭-৬ (৭/৫), ৬-৭ (৪/৭), ৬-৩, ৬-০ গেমে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নিজের পঞ্চম শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন জোকার। গড়লেন নতুন ইতিহাস। উক্ত যুগে পুরুষ এককে পাঁচবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের কীর্তি নেই আর কারও। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন রয় এমারসন। তার সেই কীর্তি সাদা-কালো যুগের। জোকোভিচকে বলা হয় ‘কিং অব মেলবোর্ন পার্ক’। ২০০৮ সালে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জিতেছিলেন সার্ব তারকা। কাল জিতলেন নিজের অষ্টম গ্র্যান্ডস্লাম খেতাব। মেলবোর্নে জোকারের রেকর্ড এক কথায় দুর্দান্ত। পাঁচবার ফাইনালে উঠে পাঁচবারই চ্যাম্পিয়ন। জোকোভিচ যদি মেলবোর্নের রাজা হন, তবে মারেকে বলতে হবে ট্রাজিক হিরো! চারবার ফাইনালে খেলে চারবারই রানারআপ।
মেলবোর্নে নিজের চার ফাইনালের তিনটিতেই জোকোভিচের কাছে হেরেছেন মারে। সবমিলিয়ে ব্রিটিশ তারকার বিপক্ষে হেড-টু-হেডে ১৬-৮-এ এগিয়ে জোকোভিচ। ইউএস ওপেন ও উইম্বলডন ফাইনালে জোকোভিচের বিপক্ষে জয়ের সুখস্মৃতি থাকলেও মেলবোর্নের গেরোটা কিছুতেই যেন খুলতে পারছেন না মারে। কাল প্রথম দুই সেটে লড়াইটা হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। প্রথম সেট টাইব্রেকারে হারার পর দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকারে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন মারে। কোর্টের কোন পাশে কে খেলছেন, তা বোঝা হাচ্ছিল না! কিন্তু লড়াকু ও নাছোড়বান্দা মনোভাব তৃতীয় সেটে আর ধরে রাখতে পারেননি মারে। লম্বা-লম্বা র্যালি খেলে প্রতিপক্ষকে ক্লান্ত করে চতুর্থ সেটে মরণছোবল দেন জোকার। ৬-০ গেমে উড়য়ে দেন মারেকে। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জিতে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখাটাও নিশ্চিত করেছেন জোকোভিচ। রানারআপ হওয়ার সুবাদে পরবর্তী র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে চারে উঠে আসবেন মারে। এদিকে কাল মিশ্র দৈত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মার্টিনা হিঙ্গিস-লিয়েন্ডার পেজ জুটি। ফাইনালে তারা ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন মাদেনোভিচ-নেস্টর জুটিকে। এএফপি।
No comments