পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এমন কোনো কথা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, পাকিস্তান বরাবরই হতাশাজনক আচরণ করছে।
সম্প্রতি পাকিস্তান হাই কমিশনের দু একজন কূটনীতিক মানি লন্ডারিংসহ অনৈতিক
কর্মকাণ্ড করে ধরা পড়েছেন। আবার পাকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের এক কর্মীকে
পাওয়া যাচ্ছিল না- এসব ঘটনা খুবই হতাশাজনক। তবে এর জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে
কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যুদ্ধকালেও যুদ্ধরত
রাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় থাকে, পৃথিবীতে এমন অনেক নিদর্শনও
আছে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে আজ সরকারি দলের আবদুল মান্নানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন কথা বলেন। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল মান্নান প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, গত সোমবার ঢাকাস্থ পাক হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তাকে অনৈতিক কাজের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে ছেড়ে দেবার ঘটনার জেরে পাকিস্তানে বাংলাদেশী এক কূটনীতিককে কয়েক ঘন্টার জন্য পাওয়া যায়নি। এর আগে আর এক পাক কূটনীতিক জঙ্গিদের অর্থ সরবরাহ বা মানি লন্ডারিঙের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারও প্রমাণ রয়েছে। এ ধরনের জঘণ্য কর্মকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত আমাদের সরকার নিয়েছেন কিনা। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্পর্কের টানাপোড়েন কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। টানাপোড়েন হলেই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে- এমন নয়। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আমরা আপাতত কিছু করতে চাচ্ছি না বলেও সংসদকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রাখতে হবে। সে কথা চিন্তা করেই আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সর্ম্পক মূল্যায়ন ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।
অভ্যান্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ও রায় কার্যকরের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত বিবৃতি বা মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবারই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পাকিস্তান হাইকমিশনারকে বিভিন্ন সময় এজন্য তলবও করা হয়েছে। অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। আমরা অন্যসব রাষ্ট্রের কাছ থেকেও একই আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু, পাকিস্তান বরাবর আমাদের হতাশ করেছে। এ বিষয়ে সব কূটনৈতিক ফ্রন্টে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। ভবিষ্যতে, পাকিস্তানি মহল বা কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচারণ করবে এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।
মুহিবুর রহমান মানিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে পাকিস্তানের করা মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্ভূত।
মাহমুদ আলী বলেন, পাকিস্তান বিভিন্ন বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ক্রটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে। এমনকি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত-এর মধ্যকার স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অপব্যাখ্যা করেও বিবৃতি দিয়েছে। ত্রিদেশীয় চুক্তিতে বাংলাদেশে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা যাবে না- এমন কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। বরং পাকিস্তানই ১৯৭১ সালে গণহত্যার জন্য চিহ্নিত ও আটককৃত নিজ দেশের নাগরিকদের বিচারের আওতায় আনার বাধ্যবাধকতা অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে আজ সরকারি দলের আবদুল মান্নানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন কথা বলেন। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল মান্নান প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, গত সোমবার ঢাকাস্থ পাক হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তাকে অনৈতিক কাজের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে ছেড়ে দেবার ঘটনার জেরে পাকিস্তানে বাংলাদেশী এক কূটনীতিককে কয়েক ঘন্টার জন্য পাওয়া যায়নি। এর আগে আর এক পাক কূটনীতিক জঙ্গিদের অর্থ সরবরাহ বা মানি লন্ডারিঙের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারও প্রমাণ রয়েছে। এ ধরনের জঘণ্য কর্মকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত আমাদের সরকার নিয়েছেন কিনা। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্পর্কের টানাপোড়েন কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। টানাপোড়েন হলেই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে- এমন নয়। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আমরা আপাতত কিছু করতে চাচ্ছি না বলেও সংসদকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রাখতে হবে। সে কথা চিন্তা করেই আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সর্ম্পক মূল্যায়ন ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।
অভ্যান্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ও রায় কার্যকরের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত বিবৃতি বা মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবারই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পাকিস্তান হাইকমিশনারকে বিভিন্ন সময় এজন্য তলবও করা হয়েছে। অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। আমরা অন্যসব রাষ্ট্রের কাছ থেকেও একই আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু, পাকিস্তান বরাবর আমাদের হতাশ করেছে। এ বিষয়ে সব কূটনৈতিক ফ্রন্টে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। ভবিষ্যতে, পাকিস্তানি মহল বা কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচারণ করবে এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।
মুহিবুর রহমান মানিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে পাকিস্তানের করা মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্ভূত।
মাহমুদ আলী বলেন, পাকিস্তান বিভিন্ন বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ক্রটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে। এমনকি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত-এর মধ্যকার স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অপব্যাখ্যা করেও বিবৃতি দিয়েছে। ত্রিদেশীয় চুক্তিতে বাংলাদেশে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা যাবে না- এমন কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। বরং পাকিস্তানই ১৯৭১ সালে গণহত্যার জন্য চিহ্নিত ও আটককৃত নিজ দেশের নাগরিকদের বিচারের আওতায় আনার বাধ্যবাধকতা অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে।
No comments