ইরাক থেকে গোপনে তেল এনেছেন বাশার
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ গত নয় মাসে মিসরের সহায়তায় ইরাক থেকে প্রচুর পরিমাণে অপরিশোধিত তেল নিয়ে এসেছেন। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র থেকে জানা গেছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নজরদারি এড়িয়ে সিরিয়ান এই প্রেসিডেন্ট তার সামরিক বাহিনী দিয়ে এই কাজ করে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায় রয়টার্স। সিরিয়ায় প্রায় আড়াই বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তার কৌশলগত মিত্র ইরানের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়েছেন।
কারণ সিরিয়ায় আসা অপরিশোধিত তেলের মূল উৎস হল ইরান। অথচ ইরান নিজেও পারমাণবিক অস্ত্রসংক্রান্ত কারণে পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে বহু আগেই। ফলে সব মিলিয়ে বর্তমানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারও পশ্চিমা বিশ্বের কালো তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সিরিয়ার তেল ক্রয়সংক্রান্ত বিভিন্ন অপ্রকাশিত বাণিজ্যিক দলিলপত্র থেকে জানা যায় ইরান এখন আর একা কোনো কাজ করছে না। পণ্য পরিবহন এবং মূল্য পরিশোধসংক্রান্ত প্রায় ডজনখানেক নথিপত্রে দেখা গেছে ইরানের জাহাজে করে ইরাক থেকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে লাখ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পাঠানো হয়েছে। আর এ কাজে সহায়তা করেছে বিভিন্ন লেবানিজ এবং মিসরীয় বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো একথা অস্বীকার করলেও তারা যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সিরিয়ায় তেল পরিবহনের বিনিময়ে স্বাভাবিকের চেয়েও অনেক বেশি অর্থ আদায় করে বেশ মোটা অংকের লাভ করেছে, রয়টার্সের তদন্তে তা বের হয়ে এসেছে। এমনকি বাশার আল আসাদ সরকারের প্রতি মিসর, ইরাক এবং লেবাননের বেশ কিছু অপ্রকাশিত সহায়তার দিকেও আলোকপাত করেছে বার্তা সংস্থাটি। উল্লেখ্য, এই দেশগুলোর ওপরেও পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান সিট্রল এবং ইরানের তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইরানিয়ান ট্যাংকার কোম্পানি (এনআইটিসি) উভয় প্রতিষ্ঠানেরই যাবতীয় সম্পদ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফলে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই বাণিজ্যিক সম্পর্কে যেতে পারবে না সংস্থা দুইটি।
No comments