ব্যারন ইম্পেইন প্যালেস
দেবীদের আসন, অসুর, সাপ, নৃত্যরত নারীদের প্রতিমূর্তি, অলংকৃত স্তম্ভ, বিস্তৃত বারান্দা ঘেরা প্রাসাদগুলো দেখলে মনে হবে মুঘল সাম্রাজ্যের কোনো স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন এগুলো। তবে বাস্তবতা হল ‘ব্যারন ইম্পেইন প্যালেস’ বা ‘কাসার আল ব্যারন’ নামের এই প্রাসাদটি ১৯১১ সালে নির্মাণ করা হয়। মিসরের হেলিপলিসের মরুভূমির মতো জায়গায় কারুকার্যময় প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি তৈরি করেন ব্যারন ইম্পেইন নামের এক ধনবান ব্যক্তি। তিনি ফ্রান্সের নাগরিক। রেলওয়ে প্রকৌশলী হিসেবে অনেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে মিসরে গিয়ে তিনি একই সঙ্গে প্রেমে পড়ে যান মরুভূমি ও ইয়েভেত্তি ভোগদাদি নামের এক নারীর।
সেই প্রেমে মশগুল হয়ে ১৯০৬ সালের দিকে মরুভূমির মধ্যে ২৫ বর্গকিলোমিটার জায়গা তিনি মিসরের সরকারের কাছ থেকে কিনে নেন। উড়িষ্যার এক মন্দিরের আদলে সেখানে গড়ে তোলেন কাসার আল ব্যারন নামের এই সুরম্য অট্টালিকা। এটির কাজ শেষ হয় ১৯১১ সালে। প্রাসাদের ডিজাইন করেন প্রকৌশলী গিওগেস লুইস ক্লদ ও আলেকজান্দ্রা মার্সেল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একজন জেনারেলের দায়িত্ব পালনের আগপর্যন্ত এখানেই ছিলেন তিনি। যুদ্ধে বেলজিয়ামে মারা যান ইম্পেইন। সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। এরপর প্রাসাদটির মালিকানা চলে যায় মিসর সরকারের হাতে। তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল।
No comments