লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের নির্বাহী পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে
লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের ‘মন্ত্রিসভা’ হিসেবে পরিচিত বেনগাজিভিত্তিক ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) নির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এনটিসির প্রধান মুস্তাফা আবদেল জলিল গত সোমবার এ কমিটি ভেঙে দেন। এ ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে ত্রিপোলির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ফেরনেজ নামক জায়গায় কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর আগে কয়েকটি হালকা বিস্ফোরণও ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, একটি অস্ত্রের গুদামে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া ভোর ছয়টার দিকে আরও দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আবদেল হাফিজ গোগা জানান, বিদ্রোহীদের সামরিক শাখার প্রধান আবদেল ফাত্তাহ ইউনিস হত্যার জের ধরে নির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। ইউনিস হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্বাহী কমিটির কিছু সদস্যের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এনটিসির সদস্য ফাথি তুরবেল বলেন, এটা স্পষ্ট যে ইউনিস হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সামরিক, নিরাপত্তা ও গণমাধ্যম সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে অদক্ষতার’ কারণে নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনের প্রয়োজন ছিল।
বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিলকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনটিসির সদস্যরা জানান, বরখাস্ত হওয়া কয়েকজন মন্ত্রীর নির্বাহী কমিটিতে পুনরায় নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেনারেল ইউনিস গত ফেব্রুয়ারিতে গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে যে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাদ্দাফি লিবিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন, সেই অভ্যুত্থানে তরুণ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ইউনিসও ছিলেন।
দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন ইউনিস। একপর্যায়ে গাদ্দাফি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁকে গাদ্দাফির ডান হাত বলেও ধারণা করা হতো। এ কারণে গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিলেও তাঁকে কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখা হতো।
গত ২৮ জুলাই ইউনিসকে বিদ্রোহীদেরই একটি গোষ্ঠী হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হলেও প্রকৃত কারণ এখনো অজ্ঞাত। দুই সহযোগীসহ তাঁর পুড়ে যাওয়া লাশ বেনগাজির নিকটবর্তী একটি স্থানে পাওয়া যায়।
ইউনিস যে গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ভুক্ত, তারা এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে। ইউনিসের কোনো কোনো সমর্থক জানিয়েছেন, একটি ইসলামি গোষ্ঠী তাঁকে হত্যা করেছে। ওই গোষ্ঠীটি এনটিসির সঙ্গে মিত্র হিসেবে কাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত একটা থেকে দুইটার মধ্যে ত্রিপোলির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ফেরনেজ নামক জায়গায় কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর আগে কয়েকটি হালকা বিস্ফোরণও ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, একটি অস্ত্রের গুদামে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া ভোর ছয়টার দিকে আরও দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র আবদেল হাফিজ গোগা জানান, বিদ্রোহীদের সামরিক শাখার প্রধান আবদেল ফাত্তাহ ইউনিস হত্যার জের ধরে নির্বাহী কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। ইউনিস হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্বাহী কমিটির কিছু সদস্যের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এনটিসির সদস্য ফাথি তুরবেল বলেন, এটা স্পষ্ট যে ইউনিস হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সামরিক, নিরাপত্তা ও গণমাধ্যম সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে অদক্ষতার’ কারণে নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনের প্রয়োজন ছিল।
বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিলকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনটিসির সদস্যরা জানান, বরখাস্ত হওয়া কয়েকজন মন্ত্রীর নির্বাহী কমিটিতে পুনরায় নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেনারেল ইউনিস গত ফেব্রুয়ারিতে গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে যে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাদ্দাফি লিবিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন, সেই অভ্যুত্থানে তরুণ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ইউনিসও ছিলেন।
দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন ইউনিস। একপর্যায়ে গাদ্দাফি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁকে গাদ্দাফির ডান হাত বলেও ধারণা করা হতো। এ কারণে গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিলেও তাঁকে কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখা হতো।
গত ২৮ জুলাই ইউনিসকে বিদ্রোহীদেরই একটি গোষ্ঠী হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হলেও প্রকৃত কারণ এখনো অজ্ঞাত। দুই সহযোগীসহ তাঁর পুড়ে যাওয়া লাশ বেনগাজির নিকটবর্তী একটি স্থানে পাওয়া যায়।
ইউনিস যে গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ভুক্ত, তারা এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে। ইউনিসের কোনো কোনো সমর্থক জানিয়েছেন, একটি ইসলামি গোষ্ঠী তাঁকে হত্যা করেছে। ওই গোষ্ঠীটি এনটিসির সঙ্গে মিত্র হিসেবে কাজ করছে।
No comments