কোণঠাসা ভারত, উজ্জীবিত ইংল্যান্ড
এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, সেই অর্জনও কম নয়। এ এমন এক অর্জন, ইংল্যান্ড হয়তো মনে রাখবে অনেক দিন। কিন্তু অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বলছেন, ‘ভুলে যান!’ ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলছেন, তাঁর দলের এখন কাজ হবে প্রথম দুই টেস্টের কথা ভুলে যাওয়া! আশ্চর্য, এই কথা তো মহেন্দ্র সিং ধোনির বলার কথা, ম্রিয়মাণ দলকে উজ্জীবিত করতে। বলা উচিত, ‘এসো, প্রথম দুই ম্যাচের কথা ভুলে আমরা নতুন করে শুরু করি।’
কথাটা স্ট্রাউস বলছেন, এর পেছনে নিশ্চয়ই কারণ আছে। শেষ দুটো টেস্টকে নতুন লক্ষ্য ধরে নিয়ে নতুন উদ্দীপনায় ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় ইংল্যান্ড। প্রথম দুই টেস্টের বড় জয়ের স্মৃতিতে বুঁদ হয়ে থাকলে পাছে সেটা আত্মতৃপ্তির সর্বনাশা কারণ হয়ে দাঁড়ায়! এ কারণেই শেষ দুটো ম্যাচ ড্র করলেও চলে—এমন স্বস্তিদায়ক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও স্ট্রাউস বলছেন, এই ম্যাচ তাঁদের জিততেই হবে, ‘আমরা সবাই এই ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব।’
ড্রয়ের রাস্তা খুঁজতে তাই মরা উইকেট নয়, ইংল্যান্ড এজবাস্টনে বানাচ্ছে ঘাসে ঢাকা উইকেট। উদ্দেশ্য ফর্মে থাকা পেসারদের আরও বেশি রসদ এনে দেওয়া। কোণঠাসা ভারতকে আরও কোণঠাসা করে ফেলা। ভারতের জন্য এই টেস্টে অবশ্য একটা সুখবর আছে—নিয়মিত ওপেনিং জুটি ফিরে পাওয়া। বীরেন্দর শেবাগ দলে ফিরেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে ভারত পাচ্ছে না তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই বোলার হরভজন সিং আর জহির খানকে। চোটের কারণে ছিটকে পড়েছেন যুবরাজ সিংও। তাঁদের জায়গায় প্রজ্ঞান ওঝা, আরপি সিং আর বিরাট কোহলিকে ডাকা হয়েছে।
পিঠের চোটের কারণে ইংল্যান্ড অবশ্য এই ম্যাচেও ক্রিস ট্রেমলেটকে পাচ্ছে না। কিন্তু এটা দুঃসংবাদের চেয়ে সুখবরই হয়ে এসেছে ইংল্যান্ডের জন্য। ট্রেমলেটের জায়গায় গত ম্যাচে সুযোগ পেয়ে টিম ব্রেসনান ব্যাট হাতে ৯০ রানের একটা ইনিংস খেলার পর বল হাতেও নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ট্রেমলেট ফিরলে একাদশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতো। সেই সমস্যায় পড়তে হলো না। অবশ্য রান-মেশিন জোনাথন ট্রটকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। তাঁর বদলে সুযোগ পেয়েছেন রবি বোপারা। অপ্রত্যাশিতভাবে পেয়ে যাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে যিনি মুখিয়ে আছেন।
উজ্জীবিত ইংল্যান্ডের সামনে কোণঠাসা ভারত এমন একটা মাঠে মুখোমুখি হচ্ছে, যেখানে পাঁচ টেস্ট খেলে একটিতেও তারা জেতেনি। চারটি হেরেছে, অন্যটি ড্র।
ফলে ইংল্যান্ডের জন্য প্রেরণার অভাব নেই। সিরিজটাকে ৩-০ করতে ঝাঁপিয়ে তারা পড়তেই পারে। ৩-০ করা মানে শুধু সিরিজ নিশ্চিত নয়, নিশ্চিত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গাটিও দখল করে ফেলা।
ভারত নিজেদের এই বলে উজ্জীবিত করতে পারে, নিজেদের এক নম্বরের যথার্থতা প্রমাণের এই তো সবচেয়ে ভালো সুযোগ। হয়ে যাক সেই অগ্নিপরীক্ষা। সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাইলে ব্যাটসম্যানদের আগে জ্বলে উঠতে হবে। শেবাগ প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করেননি।
তবে ভারত সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকবে শচীন টেন্ডুলকারের দিকে। শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির পূর্বাভাস নাকি পাওয়া যাচ্ছে টেন্ডুলকারের ব্যাটে!
কথাটা স্ট্রাউস বলছেন, এর পেছনে নিশ্চয়ই কারণ আছে। শেষ দুটো টেস্টকে নতুন লক্ষ্য ধরে নিয়ে নতুন উদ্দীপনায় ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় ইংল্যান্ড। প্রথম দুই টেস্টের বড় জয়ের স্মৃতিতে বুঁদ হয়ে থাকলে পাছে সেটা আত্মতৃপ্তির সর্বনাশা কারণ হয়ে দাঁড়ায়! এ কারণেই শেষ দুটো ম্যাচ ড্র করলেও চলে—এমন স্বস্তিদায়ক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও স্ট্রাউস বলছেন, এই ম্যাচ তাঁদের জিততেই হবে, ‘আমরা সবাই এই ম্যাচটা জেতার জন্যই খেলব।’
ড্রয়ের রাস্তা খুঁজতে তাই মরা উইকেট নয়, ইংল্যান্ড এজবাস্টনে বানাচ্ছে ঘাসে ঢাকা উইকেট। উদ্দেশ্য ফর্মে থাকা পেসারদের আরও বেশি রসদ এনে দেওয়া। কোণঠাসা ভারতকে আরও কোণঠাসা করে ফেলা। ভারতের জন্য এই টেস্টে অবশ্য একটা সুখবর আছে—নিয়মিত ওপেনিং জুটি ফিরে পাওয়া। বীরেন্দর শেবাগ দলে ফিরেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে ভারত পাচ্ছে না তাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই বোলার হরভজন সিং আর জহির খানকে। চোটের কারণে ছিটকে পড়েছেন যুবরাজ সিংও। তাঁদের জায়গায় প্রজ্ঞান ওঝা, আরপি সিং আর বিরাট কোহলিকে ডাকা হয়েছে।
পিঠের চোটের কারণে ইংল্যান্ড অবশ্য এই ম্যাচেও ক্রিস ট্রেমলেটকে পাচ্ছে না। কিন্তু এটা দুঃসংবাদের চেয়ে সুখবরই হয়ে এসেছে ইংল্যান্ডের জন্য। ট্রেমলেটের জায়গায় গত ম্যাচে সুযোগ পেয়ে টিম ব্রেসনান ব্যাট হাতে ৯০ রানের একটা ইনিংস খেলার পর বল হাতেও নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ট্রেমলেট ফিরলে একাদশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতো। সেই সমস্যায় পড়তে হলো না। অবশ্য রান-মেশিন জোনাথন ট্রটকে পাচ্ছে না ইংল্যান্ড। তাঁর বদলে সুযোগ পেয়েছেন রবি বোপারা। অপ্রত্যাশিতভাবে পেয়ে যাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে যিনি মুখিয়ে আছেন।
উজ্জীবিত ইংল্যান্ডের সামনে কোণঠাসা ভারত এমন একটা মাঠে মুখোমুখি হচ্ছে, যেখানে পাঁচ টেস্ট খেলে একটিতেও তারা জেতেনি। চারটি হেরেছে, অন্যটি ড্র।
ফলে ইংল্যান্ডের জন্য প্রেরণার অভাব নেই। সিরিজটাকে ৩-০ করতে ঝাঁপিয়ে তারা পড়তেই পারে। ৩-০ করা মানে শুধু সিরিজ নিশ্চিত নয়, নিশ্চিত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গাটিও দখল করে ফেলা।
ভারত নিজেদের এই বলে উজ্জীবিত করতে পারে, নিজেদের এক নম্বরের যথার্থতা প্রমাণের এই তো সবচেয়ে ভালো সুযোগ। হয়ে যাক সেই অগ্নিপরীক্ষা। সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাইলে ব্যাটসম্যানদের আগে জ্বলে উঠতে হবে। শেবাগ প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করেননি।
তবে ভারত সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকবে শচীন টেন্ডুলকারের দিকে। শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির পূর্বাভাস নাকি পাওয়া যাচ্ছে টেন্ডুলকারের ব্যাটে!
No comments