দেশে ফিরলেন জুলকারনাইন
একটু বিরতি দিয়ে দিয়ে তাঁর বেশ কয়েকটা ছবি দেখা গেল ক্রিকইনফোতে। গড়নটা এমনিতেই হালকা-পাতলা। মনে হলো গত সাড়ে পাঁচ মাসে আরও শুকিয়ে গেছেন। প্রথম ছবিটায় চোখে-মুখে কেমন একটা শঙ্কা আর ভয়ের ছাপ। পরেরটায় কয়েকজন তাঁকে জাপটে ধরে আছেন। না, মারামারি বাধাননি, তাঁরা নিরাপত্তাকর্মী। নিরাপত্তাবাহিনীর গাড়িতে বসেও চেহারায় শঙ্কা। কিছুক্ষণ পর তাঁর মুখেই প্রাণখোলা হাসি। পাশে স্ত্রী সাজিয়া আর ছোট মেয়ে ফিজা। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, পাশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী!
এই হলো জুলকারনাইন হায়দারের সর্বশেষ খবর। ‘মৃত্যুভয়ে’ গত ৮ নভেম্বর ভোরে দুবাইয়ে দলকে ছেড়ে লন্ডন পাড়ি জমিয়েছিলেন। কাল সকালে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পা রাখলেন অন্য রকম এক ভয় নিয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়েছিলেন, কিন্তু তবু শঙ্কা খানিকটা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাব্যবস্থায় খুব সন্তুষ্ট গত শনিবার ২৫ পূর্ণ করা সাবেক উইকেটরক্ষক, ‘দেশে ফিরে আমি খুশি। আমাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে নামার পর সবকিছু ছিল দারুণ। প্রতিশ্রুতিমতো নিরাপত্তাই আমি পেয়েছি।’
ম্যাচ পাতানোয় রাজি না হওয়ায় মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন দাবি করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচের দিন সকালে চুপিচুপি দল ছেড়ে যান জুলকারনাইন। পরে জানা যায় গেছেন লন্ডন। সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেন। যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে গত সপ্তাহে লন্ডনে জুলকারনাইনের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশে ফিরলে তাঁকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে গত ১৭ এপ্রিল জুলকারনাইন জানান, তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন তুলে নিয়েছেন, ফিরতে চান দেশে। এর পরই পাকিস্তানের কয়েকটি টিভি চ্যানেল জানায়, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জুলকারনাইনকে নতুন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরা নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়া আবার। রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে আবার আশ্বাস দেওয়ার পর কাল ফিরলেন দেশে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে, এরপর বাড়িতে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীকে নাকি দল ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জুলকারনাইন। কিন্তু ব্যাখ্যাটা যে আরও অনেকেই জানতে চায়! অন্যদের কথা না হয় বাদ দেওয়া গেল, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) তো খুঁজে ফিরছে এর ব্যাখ্যা! জুলকারনাইনের ঘটনায় একটা ‘সত্য অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছিল পিসিবি, যারা আসলে কোনো সত্যই বের করতে পারেনি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তারা জুলকারনাইনকে বলেছিলেন, ‘দুর্বল স্নায়ু আর সহজেই যেকোনো কথা বিশ্বাস করানো যায় এমন একজন।’
‘ইজাজ বাটের (পিসিবি চেয়ারম্যান) সঙ্গে যখন দেখা হবে, তাঁকেও কারণগুলো বলব। সবার মনে রাখা উচিত, নিজের ভবিষ্যৎকে সংশয়ে ফেলে এমনি এমনি আমি ব্রিটেনে যাইনি। কারণ অবশ্যই আছে’—জুলকারনাইনের কথায় যুক্তি আছে। চাইলে যুক্তিতে ফাঁকও ধরা যায় অনেক। হয়তো আগামী কয়েক দিনেই তা পরিষ্কার হবে, অথবা কখনোই হবে না। পাকিস্তান ক্রিকেটে কি আর অসম্ভব বলে কিছু আছে?
এই হলো জুলকারনাইন হায়দারের সর্বশেষ খবর। ‘মৃত্যুভয়ে’ গত ৮ নভেম্বর ভোরে দুবাইয়ে দলকে ছেড়ে লন্ডন পাড়ি জমিয়েছিলেন। কাল সকালে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পা রাখলেন অন্য রকম এক ভয় নিয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়েছিলেন, কিন্তু তবু শঙ্কা খানিকটা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাব্যবস্থায় খুব সন্তুষ্ট গত শনিবার ২৫ পূর্ণ করা সাবেক উইকেটরক্ষক, ‘দেশে ফিরে আমি খুশি। আমাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে নামার পর সবকিছু ছিল দারুণ। প্রতিশ্রুতিমতো নিরাপত্তাই আমি পেয়েছি।’
ম্যাচ পাতানোয় রাজি না হওয়ায় মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন দাবি করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচের দিন সকালে চুপিচুপি দল ছেড়ে যান জুলকারনাইন। পরে জানা যায় গেছেন লন্ডন। সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেন। যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে গত সপ্তাহে লন্ডনে জুলকারনাইনের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশে ফিরলে তাঁকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে গত ১৭ এপ্রিল জুলকারনাইন জানান, তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন তুলে নিয়েছেন, ফিরতে চান দেশে। এর পরই পাকিস্তানের কয়েকটি টিভি চ্যানেল জানায়, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জুলকারনাইনকে নতুন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরা নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়া আবার। রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে আবার আশ্বাস দেওয়ার পর কাল ফিরলেন দেশে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে, এরপর বাড়িতে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীকে নাকি দল ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জুলকারনাইন। কিন্তু ব্যাখ্যাটা যে আরও অনেকেই জানতে চায়! অন্যদের কথা না হয় বাদ দেওয়া গেল, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) তো খুঁজে ফিরছে এর ব্যাখ্যা! জুলকারনাইনের ঘটনায় একটা ‘সত্য অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছিল পিসিবি, যারা আসলে কোনো সত্যই বের করতে পারেনি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তারা জুলকারনাইনকে বলেছিলেন, ‘দুর্বল স্নায়ু আর সহজেই যেকোনো কথা বিশ্বাস করানো যায় এমন একজন।’
‘ইজাজ বাটের (পিসিবি চেয়ারম্যান) সঙ্গে যখন দেখা হবে, তাঁকেও কারণগুলো বলব। সবার মনে রাখা উচিত, নিজের ভবিষ্যৎকে সংশয়ে ফেলে এমনি এমনি আমি ব্রিটেনে যাইনি। কারণ অবশ্যই আছে’—জুলকারনাইনের কথায় যুক্তি আছে। চাইলে যুক্তিতে ফাঁকও ধরা যায় অনেক। হয়তো আগামী কয়েক দিনেই তা পরিষ্কার হবে, অথবা কখনোই হবে না। পাকিস্তান ক্রিকেটে কি আর অসম্ভব বলে কিছু আছে?
No comments