গাদ্দাফির কার্যালয়ে ন্যাটোর বিমান হামলা, আহত ৪৫
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কার্যালয় এবং তাঁর প্রধান সামরিক ঘাঁটি বাব আল-আজিজিয়ায় রোববার রাতে বিমান হামলা চালিয়েছে ন্যাটো বাহিনী। এতে ৪৫ জন আহত হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার মধ্যরাতে ত্রিপোলির ওপর দিয়ে ন্যাটোর জঙ্গি বিমান উড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাব আল-আজিজিয়ার মধ্যে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। সেখান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। গাদ্দাফির কার্যালয়ের একটি বৈঠক কক্ষ বিধ্বস্ত হয়।
গতকাল সোমবার সকালে দেশটির একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের নিয়ে সেখানে যান। তিনি জানান, রাতের ওই হামলায় ৪৫ জন আহত হয়েছে। তবে ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনো কেউ আটকা পড়ে আছে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কর্নেল গাদ্দাফিকে হত্যার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।’
গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম ন্যাটো বাহিনীর এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফির কার্যালয়ে এমন কাপুরুষোচিত হামলায় হয়তো শিশুরা ভয় পেতে পারে, কিন্তু এতে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের যুদ্ধ চলবেই।’
বাব আল-আজিজিয়া ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির প্রধান সামরিক ঘাঁটি। প্রায় ছয় বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে অবস্থিত এই ঘাঁটির মধ্যে রয়েছে গাদ্দাফির বাসভবন। এটিই তাঁর ক্ষমতার মূল কেন্দ্র। এখান থেকে তিনি সামরিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
পশ্চিমাঞ্চলীয় মিসরাতা শহরে যুদ্ধে বিদ্রোহীরা সাফল্য পেতে শুরু করেছে। এই শহরের বাসিন্দারা ৫০ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। গাদ্দাফি বাহিনী শহরটি দখল করে রেখেছে। বেপরোয়া গোলাবর্ষণ করছে তারা। বিদ্রোহীরাও শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শহরের বাসিন্দা মুফতাহ ইমিতিক বলেন, ‘পরিবারের লোকজন নিয়ে গত ৫০ দিন পুরোপুরি অবরুদ্ধ ছিলাম। ঘর থেকে বেরই হতে পারিনি। অবশেষে বিদ্রোহীরা এগিয়ে এসেছে। আমরা মুক্তি পেয়েছি।’
তবে গত রোববার ও গতকাল সকালেও মিসরাতায় গোলাবর্ষণ হয়েছে। বিদ্রোহী নেতা তাহের বাসগা বলেন, ‘আমার মনে হয়, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আল্লাহ চাইলে, মিসরাতার বাসিন্দারা পুরোপুরি মুক্তি পাবে।’
বিদ্রোহীদের হাতে গ্রেপ্তার গাদ্দাফি বাহিনীর দুই সেনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, মিসরাতায় যুদ্ধে গাদ্দাফি বাহিনী পিছিয়ে পড়ছে। লিলি মোহাম্মদ নামের এক সেনা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যই আত্মসমর্পণ করতে চাইছেন। তবে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, বিদ্রোহীরা তাঁদের হত্যা করতে পারে।’
লিবিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী খালেদ কাইম জানান, সামরিক নয়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজনকে সুযোগ করে দিতে সেনাবাহিনী মিসরাতায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রেখেছে। তবে তারা শহর ছেড়ে আসেনি।
রোববার মধ্যরাতে ত্রিপোলির ওপর দিয়ে ন্যাটোর জঙ্গি বিমান উড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাব আল-আজিজিয়ার মধ্যে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। সেখান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। গাদ্দাফির কার্যালয়ের একটি বৈঠক কক্ষ বিধ্বস্ত হয়।
গতকাল সোমবার সকালে দেশটির একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের নিয়ে সেখানে যান। তিনি জানান, রাতের ওই হামলায় ৪৫ জন আহত হয়েছে। তবে ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনো কেউ আটকা পড়ে আছে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কর্নেল গাদ্দাফিকে হত্যার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।’
গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম ন্যাটো বাহিনীর এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফির কার্যালয়ে এমন কাপুরুষোচিত হামলায় হয়তো শিশুরা ভয় পেতে পারে, কিন্তু এতে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের যুদ্ধ চলবেই।’
বাব আল-আজিজিয়া ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির প্রধান সামরিক ঘাঁটি। প্রায় ছয় বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে অবস্থিত এই ঘাঁটির মধ্যে রয়েছে গাদ্দাফির বাসভবন। এটিই তাঁর ক্ষমতার মূল কেন্দ্র। এখান থেকে তিনি সামরিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
পশ্চিমাঞ্চলীয় মিসরাতা শহরে যুদ্ধে বিদ্রোহীরা সাফল্য পেতে শুরু করেছে। এই শহরের বাসিন্দারা ৫০ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। গাদ্দাফি বাহিনী শহরটি দখল করে রেখেছে। বেপরোয়া গোলাবর্ষণ করছে তারা। বিদ্রোহীরাও শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শহরের বাসিন্দা মুফতাহ ইমিতিক বলেন, ‘পরিবারের লোকজন নিয়ে গত ৫০ দিন পুরোপুরি অবরুদ্ধ ছিলাম। ঘর থেকে বেরই হতে পারিনি। অবশেষে বিদ্রোহীরা এগিয়ে এসেছে। আমরা মুক্তি পেয়েছি।’
তবে গত রোববার ও গতকাল সকালেও মিসরাতায় গোলাবর্ষণ হয়েছে। বিদ্রোহী নেতা তাহের বাসগা বলেন, ‘আমার মনে হয়, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আল্লাহ চাইলে, মিসরাতার বাসিন্দারা পুরোপুরি মুক্তি পাবে।’
বিদ্রোহীদের হাতে গ্রেপ্তার গাদ্দাফি বাহিনীর দুই সেনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, মিসরাতায় যুদ্ধে গাদ্দাফি বাহিনী পিছিয়ে পড়ছে। লিলি মোহাম্মদ নামের এক সেনা বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যই আত্মসমর্পণ করতে চাইছেন। তবে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন, বিদ্রোহীরা তাঁদের হত্যা করতে পারে।’
লিবিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী খালেদ কাইম জানান, সামরিক নয়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজনকে সুযোগ করে দিতে সেনাবাহিনী মিসরাতায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান স্থগিত রেখেছে। তবে তারা শহর ছেড়ে আসেনি।
No comments