সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গকে ‘হত্যাপুরী’ বানিয়ে রেখেছে
ক্ষমতাসীন সিপিআইএমের ক্যাডার বাহিনী গোটা পশ্চিমবঙ্গকে ‘হত্যাপুরী’ বানিয়ে রেখেছে। বামপন্থী সরকারের ব্যর্থতায় এ রাজ্যের অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়েছে। গতকাল সোমবার কলকাতায় কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস জোটের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকারশাসিত রাজ্য।
সাংবাদিকদের চিদাম্বরম বলেন, ‘এই রাজ্যে অনেক দিন ধরে এমন একটি সরকার আমাদের সঙ্গে রয়েছে, যারা পুরো প্রশাসন-প্রক্রিয়াকে অবহেলা করেছে। এ দেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকার দ্বারা প্রশাসিত রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই থেকে চার মাস ধরে আমি মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তাঁর সহকর্মীদের বলে আসছি যে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই সে কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র আমদানি করে এবং সহিংসতা ছড়িয়ে গোটা রাজ্যকে হত্যাপুরীতে পরিণত করার জন্য আমি ন্যায়সম্মতভাবেই সিপিআইএম ও তার ক্যাডারদের দায়ী করছি।’
চিদাম্বরম বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধে একজোট হয়ে কাজ করবে।’
তৃতীয় দফা ভোট গ্রহণের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার রাজ্যের ৭৫টি আসনে ভোট হবে। কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস জোটের জয়ের ক্ষেত্রে এ আসনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
চিদাম্বরম বলেন, ২০০৪ সাল থেকে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ভারতের অন্য সব রাজ্যের রাজস্ব আয় বেড়েছে। গত চার-পাঁচ বছরে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনো রাজ্য কেন্দ্রের তহবিল থেকে ওভারড্রাফট (গচ্ছিত অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ নেওয়া) নেয়নি। এ রাজ্যের অর্থনীতিকে ‘সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১০-১১ অর্থবছরে পশ্চিমবঙ্গ সাতবার কেন্দ্র থেকে ওভারড্রাফট নিয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছর শুরু হতে না হতেই একবার ওভারড্রাফট নিয়ে ফেলেছে তারা।
মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে দেনায় ডুবে থাকা রাজ্যগুলোর একটি। অন্য রাজগুলোর তুলনায় এ রাজ্যের করের গড় প্রবৃদ্ধির অনুপাত সবচেয়ে কম।
চিদাম্বরম বলেন, এই এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ তিন হাজার ১৭৩ কোটি রুপি ধার করার প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এই অর্থের বিপরীতে চড়া সুদ পরিশোধ করতে হবে। এতে রাজস্ব ঘাটতি ‘ভয়ানক’ অবস্থানে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের অবনতি ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। একমাত্র নতুন সরকারের সৃজনশীল নতুন চিন্তা রাজ্যকে এ অবস্থা থেকে রক্ষা করতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ স্পষ্টতই পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, এ জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে তাদের রাজ্যে এসেছেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের চিদাম্বরম বলেন, ‘এই রাজ্যে অনেক দিন ধরে এমন একটি সরকার আমাদের সঙ্গে রয়েছে, যারা পুরো প্রশাসন-প্রক্রিয়াকে অবহেলা করেছে। এ দেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকার দ্বারা প্রশাসিত রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই থেকে চার মাস ধরে আমি মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তাঁর সহকর্মীদের বলে আসছি যে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই সে কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র আমদানি করে এবং সহিংসতা ছড়িয়ে গোটা রাজ্যকে হত্যাপুরীতে পরিণত করার জন্য আমি ন্যায়সম্মতভাবেই সিপিআইএম ও তার ক্যাডারদের দায়ী করছি।’
চিদাম্বরম বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তিত হলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধে একজোট হয়ে কাজ করবে।’
তৃতীয় দফা ভোট গ্রহণের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার রাজ্যের ৭৫টি আসনে ভোট হবে। কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস জোটের জয়ের ক্ষেত্রে এ আসনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
চিদাম্বরম বলেন, ২০০৪ সাল থেকে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ভারতের অন্য সব রাজ্যের রাজস্ব আয় বেড়েছে। গত চার-পাঁচ বছরে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনো রাজ্য কেন্দ্রের তহবিল থেকে ওভারড্রাফট (গচ্ছিত অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ নেওয়া) নেয়নি। এ রাজ্যের অর্থনীতিকে ‘সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১০-১১ অর্থবছরে পশ্চিমবঙ্গ সাতবার কেন্দ্র থেকে ওভারড্রাফট নিয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছর শুরু হতে না হতেই একবার ওভারড্রাফট নিয়ে ফেলেছে তারা।
মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে দেনায় ডুবে থাকা রাজ্যগুলোর একটি। অন্য রাজগুলোর তুলনায় এ রাজ্যের করের গড় প্রবৃদ্ধির অনুপাত সবচেয়ে কম।
চিদাম্বরম বলেন, এই এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গ তিন হাজার ১৭৩ কোটি রুপি ধার করার প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এই অর্থের বিপরীতে চড়া সুদ পরিশোধ করতে হবে। এতে রাজস্ব ঘাটতি ‘ভয়ানক’ অবস্থানে চলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের অবনতি ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। একমাত্র নতুন সরকারের সৃজনশীল নতুন চিন্তা রাজ্যকে এ অবস্থা থেকে রক্ষা করতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ স্পষ্টতই পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, এ জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আগাম শুভেচ্ছা জানাতে তাদের রাজ্যে এসেছেন বলে জানান।
No comments