ছাত্রী হলে রাজনৈতিক প্রভাব কম থাকায় স্বতন্ত্ররা জয়ী
ছাত্র
হলগুলোর সংসদের নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্রায় একচেটিয়াভাবে জিতলেও ছাত্রীদের
হলগুলোতে ছিল ভিন্ন চিত্র। ছাত্রীদের পাঁচটি হলের চারটিতেই হেরেছে তারা। এই
চারটি হলে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদকসহ (জিএস) বেশির ভাগ পদে জয়ী
হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট হল ১৮টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রদের হলগুলোতে সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকে। ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় ছাত্র হলগুলোতেও ছাত্রলীগের একক নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছে। গত সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেশির ভাগ হলে সংসদে ছাত্রলীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অবশ্য ছাত্রদের বিভিন্ন হলে ‘কৃত্রিমভাবে’ ভোটারের লাইনের গতি কমিয়ে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ ছিল।
ছাত্রীদের হলগুলোতে কার্যত ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ নেই। এর অন্যতম কারণ হলের আসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকে হল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। হলে আসন পেতে ছাত্রসংগঠনের মুখাপেক্ষী হতে হয় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীরা সুবিবেচনা করে ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে সেখানে পরিবেশ-পরিস্থিতি সে রকম ছিল বলে। ছাত্রীদের হলগুলোতে অস্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নেই।
ডাকসু নির্বাচনে ভোট শুরুর আগেই বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে বস্তাভর্তি ‘সিল মারা’ ব্যালট উদ্ধার করেন সাধারণ ছাত্রীরা। এসব ব্যালটে ছাত্রলীগের হল সংসদের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়া ছিল। পরে ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে প্রাধ্যক্ষকে সরিয়ে নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ করে সেখানে ভোট নেওয়া হয়। রাতে ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, এই হলে সব পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভিপি পদে সুস্মিতা দে, জিএস সাগুফ্তা বুশরা ও এজিএস হয়েছেন মুন্নী আক্তার।
কবি সুফিয়া কামাল হল সংসদে ভিপি-জিএসসহ নয়টি পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর চারটি পদে জিতেছে ছাত্রলীগ। ভিপি পদে তানজিনা আক্তার, জিএস মনিরা শারমিন ও এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফুন্নাহার।
অবশ্য রোকেয়া হলে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ১১টি পদে জিতেছে ছাত্রলীগ। অন্য দুটি পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভিপি পদে ইশরাত জাহান, জিএস সায়মা আক্তার ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফাল্গুনী দাস।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্র সংসদে ভিপি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পাদক পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। তবে এই দুটি ছাড়া অন্য পদে জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। ভিপি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পাদক পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। ভিপি পদে রিকি হায়দার (স্বতন্ত্র), জিএস পদে সারা বিনতে কামাল (ছাত্রলীগ) ও এজিএস পদে সাবরিনা স্বর্ণা (ছাত্রলীগ) জয় পেয়েছেন।
শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের ১৩টি পদের মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ আটটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর পাঁচটিতে জিতেছেন ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ, জিএস আফসানা ছপা ও এজিএস পদে ফাতিমা আক্তার জয়ী হন। এই হলের ছাত্রীরা আগের দিন থেকেই ব্যালট বাক্স পাহারা দিয়ে রাখেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রদের হলগুলোতে সব সময়ই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ থাকে। ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় ছাত্র হলগুলোতেও ছাত্রলীগের একক নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছে। গত সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেশির ভাগ হলে সংসদে ছাত্রলীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অবশ্য ছাত্রদের বিভিন্ন হলে ‘কৃত্রিমভাবে’ ভোটারের লাইনের গতি কমিয়ে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ ছিল।
ছাত্রীদের হলগুলোতে কার্যত ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ নেই। এর অন্যতম কারণ হলের আসন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকে হল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। হলে আসন পেতে ছাত্রসংগঠনের মুখাপেক্ষী হতে হয় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীরা সুবিবেচনা করে ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে সেখানে পরিবেশ-পরিস্থিতি সে রকম ছিল বলে। ছাত্রীদের হলগুলোতে অস্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নেই।
ডাকসু নির্বাচনে ভোট শুরুর আগেই বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল থেকে বস্তাভর্তি ‘সিল মারা’ ব্যালট উদ্ধার করেন সাধারণ ছাত্রীরা। এসব ব্যালটে ছাত্রলীগের হল সংসদের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দেওয়া ছিল। পরে ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে প্রাধ্যক্ষকে সরিয়ে নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ করে সেখানে ভোট নেওয়া হয়। রাতে ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, এই হলে সব পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভিপি পদে সুস্মিতা দে, জিএস সাগুফ্তা বুশরা ও এজিএস হয়েছেন মুন্নী আক্তার।
কবি সুফিয়া কামাল হল সংসদে ভিপি-জিএসসহ নয়টি পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর চারটি পদে জিতেছে ছাত্রলীগ। ভিপি পদে তানজিনা আক্তার, জিএস মনিরা শারমিন ও এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন লুৎফুন্নাহার।
অবশ্য রোকেয়া হলে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ১১টি পদে জিতেছে ছাত্রলীগ। অন্য দুটি পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভিপি পদে ইশরাত জাহান, জিএস সায়মা আক্তার ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফাল্গুনী দাস।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্র সংসদে ভিপি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পাদক পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। তবে এই দুটি ছাড়া অন্য পদে জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। ভিপি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পাদক পদে জিতেছেন স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী। ভিপি পদে রিকি হায়দার (স্বতন্ত্র), জিএস পদে সারা বিনতে কামাল (ছাত্রলীগ) ও এজিএস পদে সাবরিনা স্বর্ণা (ছাত্রলীগ) জয় পেয়েছেন।
শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের ১৩টি পদের মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ আটটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর পাঁচটিতে জিতেছেন ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ, জিএস আফসানা ছপা ও এজিএস পদে ফাতিমা আক্তার জয়ী হন। এই হলের ছাত্রীরা আগের দিন থেকেই ব্যালট বাক্স পাহারা দিয়ে রাখেন বলে জানা গেছে।
No comments