ছয় বছরের শিশুর বছরে আয় ৯০ কোটি টাকা
বয়স
মোটে ছয় বছর। এ মুহূর্তে উপার্জনের তেমন কোনো দরকার নেই, তাগিদও নেই।
কিন্তু প্রায় বিনা পরিশ্রমে ১১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯০
কোটি টাকা) রোজগার করে এ শিশুটি। তাও নিজের পছন্দের কাজটি করেই। শুনতে অবাক
লাগলেও এটাই সত্য। আমেরিকান এ শিশু রায়ান এখন উপার্জনের নিরিখে নাম লিখিয়ে
ফেলেছে ফোর্বস ম্যাগাজিনেও। এ অর্থ উপাজনে তেমন কিছুই করতে হয় না তাকে।
শুধু তার পছন্দের খেলনাগুলো কী রকম লাগে, তাই ব্যাখ্যা করে। তা তার বয়সী সব
বাচ্চাই খেলনা ভালোবাসে। নিজেদের পছন্দের খেলনা নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে।
কোথায় রায়ান টেক্কা দিয়ে গেল সবাইকে? এর নেপথ্যে অবশ্য আছে রায়ানের
অভিভাবকরা। কিভাবে টাকা উপার্জন করছে রায়ান? সে বিভিন্ন খেলনার রিভিউ
অনলাইনে দিয়েই এ অর্থ উপার্জন করছে। তার যখন বছরচারেক বয়স, তখন একটি ইউটিউব
চ্যানেল খোলা হয়। নাম দেয়া হয় রায়ানের নামেই। রায়ান তার পছন্দের খেলনাগুলো
নিয়ে কথা বলত। তা ভিডিও করে তুলে দেয়া হতো ইউটিউবে। দেখতে দেখতে রায়ানের
ভিডিও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অভিভাবকরা
ইউটিউব সার্চ করে পৌঁছে যেতেন রায়ানের চ্যানেলে। আর দেখে নিতেন, তার বয়সী
বাচ্চারা ঠিক কোন খেলনা পছন্দ করছে। সে খেলনার খুঁটিনাটি ইত্যাদি। যত
জনপ্রিয়তা বাড়ে, তত বাড়ে দর্শকসংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ে উপার্জনও। ক্রমে
দেখা যাচ্ছে, ছয় বছর বয়সের রায়ান ইউটিউব থেকে উপার্জন করছে কোটি টাকারও
বেশি। শুধু তাই নয়, সে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ইউটিউবারদের মধ্যে
অষ্টম। বর্তমানে তার অনলাইন চ্যানেলের নাম রায়ান টয়সরিভিউ। তার ভিডিওগুলো
কেমন? যে কেউ ইউটিউবে গেলে তার চ্যানেল দেখে অবাক হবেন। তেমন বড় কিছু নয়,
নানা খেলান নিয়েই তার কারবার। সে নানা নতুন খেলনা সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলোর
প্যাকট খোলে, ব্যাটারি লাগায়, সুইচ অন করে এবং চালায়। এ সাধারণ ভিডিওগুলো
শিশুদের খুবই প্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় ১০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে
রায়ানের চ্যানেলে। আর এ চ্যানেলের বিজ্ঞাপন থেকে যে আয় হয়েছে তাই এ বছর ১১
মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।
No comments