এনামুল-ঝড়ে সহজ জয় গাজীর
কাল মিরপুরে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ওপেনার এনামুল হক। সেঞ্চুরি করেছেন ৮৩ বলে l প্রথম আলো |
দুজন
গুরুত্বপূর্ণ ‘দর্শক’ ছিলেন মাঠে। এনামুল হকের সৌভাগ্য, তাঁর সেঞ্চুরির
মুহূর্তটিতেই দুজন একসঙ্গে! সেদিকে ব্যাট উঁচিয়েই করলেন শতরানের উদ্যাপন।
ব্যাট হাতে দুই-তিন দিকে তাকাতে হলো না। দুই দর্শকের একজন নির্বাচক
হাবিবুল বাশার। আরেকজন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন
মুর্তজা। এনামুলের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে তাঁরা যেমন মোহিত, ব্যাটসম্যান
এনামুলও জাতীয় দলের ‘নিউক্লিয়াসে’র দুই প্রতিনিধির সামনে এমন ইনিংস খেলে
নিজেকে মনে করতে পারেন সৌভাগ্যবান। আর তাঁর দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স তো
নগদই পেয়ে গেছে সেঞ্চুরির সুফল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিসিএসের ১৭৬
রান ৩৩.৪ ওভারেই টপকে তারা ম্যাচ জিতেছে ৬ উইকেটে। এনামুলের দুর্নাম, তিনি
স্ট্রাইক বদলে খেলতে পারেন না। তাঁর সেঞ্চুরি মানেই অনেক বলের গচ্চা।
লিগের প্রথম ম্যাচে ৬৭ রান করেও তাই সমালোচিত হয়েছেন। বল যে খেলেছিলেন
১০১টি! পরের ম্যাচে কিছুটা উন্নতি, ৬৬টি বলে ৪২। সেই এনামুলই কাল ব্যাট
হাতে চালালেন তাণ্ডব। ফিফটি করেছেন ৫৪ বলে, ৮৩ বলে সেঞ্চুরি। ফিফটিতে এক
বাউন্ডারি আর তিন ছক্কা। প্রথম ছক্কাটি সাইফুদ্দিনের করা ইনিংসের প্রথম
ওভারের চতুর্থ বলেই। এই সাইফুদ্দিনই অবশ্য সিসিএসের একমাত্র সফল বোলার।
এনামুলের উইকেটটি শেষ পর্যন্ত তাঁর ভাগেই গেছে, নিয়েছেন আরও দুই উইকেট।
বাকিদের বোলিংয়ে কোনো ধার তো ছিলই না, উল্টো বাজে বল করে গেছেন সমানে।
শর্ট পিচ, ফুলটসগুলোকে যোগ্য ‘সম্মান’ই জানিয়েছেন এনামুল।
সিসিএসের অনভিজ্ঞ বোলারদের সামনে এনামুল রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ফিফটির পর। দ্বিতীয় পঞ্চাশ করতে খেলেছেন মাত্র ২৯ বল! ততক্ষণে যোগ হয়ে গেছে আরও তিন বাউন্ডারি ও চারটি ছয়। বাঁহাতি স্পিনার সালেহ আহমেদকে ছক্কা মেরে পঞ্চাশ পূর্ণ করার পরের ওভারেই পরপর দুই ছক্কা অফ স্পিনার সাঈদ সরকারকে। ইনিংসের ৩২তম ওভারে সাইফুদ্দিনকে মিড অফে ঠেলে সেঞ্চুরি। পয়েন্টে সালেহর হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউটও হয়ে গেছেন ওই ওভারের শেষ বলে। সেঞ্চুরির জন্য এনামুল কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন সঙ্গী ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেনের (৪৫) কাছে। শেষ দিকে যখন ‘সেঞ্চুরি আগে হবে নাকি গাজীর জয়’ প্রশ্নটা জাগছিল, তখন নিজে শট না খেলে বারবার এনামুলকেই স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন ফরহাদ। ২৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর তাদের ১৬৭ রানের অংশীদারিতেই জয় সহজ করে গাজীর।
সিসিএসের ইনিংসকে দুই ভাগ করে দিয়েছে সালমান (৫২) ও উত্তমের (৫৪) ৬৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। এই জুটির আগে ৪ উইকেট পড়েছে ৬৫ রানে। দলের ১৩৪ রানে জুটিটা ভাঙার মধ্য দিয়ে শুরু দ্বিতীয় ও শেষ বিপর্যয়ের। মাত্র ৪২ রানে পড়েছে শেষ ৬ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিসিএস: ৪৭ ওভারে ১৭৬ (উত্তম ৫৪, সালমান ৫২; শরীফ ২/২২, মেহেদী ২/২৭)। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৩.৪ ওভারে ১৭৯/৪ (এনামুল ১০০, ফরহাদ ৪৫; সাইফুদ্দিন ৩/২৬)। ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এনামুল হক।
সিসিএসের অনভিজ্ঞ বোলারদের সামনে এনামুল রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ফিফটির পর। দ্বিতীয় পঞ্চাশ করতে খেলেছেন মাত্র ২৯ বল! ততক্ষণে যোগ হয়ে গেছে আরও তিন বাউন্ডারি ও চারটি ছয়। বাঁহাতি স্পিনার সালেহ আহমেদকে ছক্কা মেরে পঞ্চাশ পূর্ণ করার পরের ওভারেই পরপর দুই ছক্কা অফ স্পিনার সাঈদ সরকারকে। ইনিংসের ৩২তম ওভারে সাইফুদ্দিনকে মিড অফে ঠেলে সেঞ্চুরি। পয়েন্টে সালেহর হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউটও হয়ে গেছেন ওই ওভারের শেষ বলে। সেঞ্চুরির জন্য এনামুল কৃতজ্ঞ থাকতে পারেন সঙ্গী ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেনের (৪৫) কাছে। শেষ দিকে যখন ‘সেঞ্চুরি আগে হবে নাকি গাজীর জয়’ প্রশ্নটা জাগছিল, তখন নিজে শট না খেলে বারবার এনামুলকেই স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন ফরহাদ। ২৮ রানে ২ উইকেট পড়ার পর তাদের ১৬৭ রানের অংশীদারিতেই জয় সহজ করে গাজীর।
সিসিএসের ইনিংসকে দুই ভাগ করে দিয়েছে সালমান (৫২) ও উত্তমের (৫৪) ৬৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। এই জুটির আগে ৪ উইকেট পড়েছে ৬৫ রানে। দলের ১৩৪ রানে জুটিটা ভাঙার মধ্য দিয়ে শুরু দ্বিতীয় ও শেষ বিপর্যয়ের। মাত্র ৪২ রানে পড়েছে শেষ ৬ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিসিএস: ৪৭ ওভারে ১৭৬ (উত্তম ৫৪, সালমান ৫২; শরীফ ২/২২, মেহেদী ২/২৭)। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৩.৪ ওভারে ১৭৯/৪ (এনামুল ১০০, ফরহাদ ৪৫; সাইফুদ্দিন ৩/২৬)। ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এনামুল হক।
No comments