আবদুস শাকুর শাহর একক প্রদর্শনী
শিল্পাঙ্গনের
উদ্যোক্তা প্রয়াত ফয়েজ আহমদের ৮৮তম জন্মদিনে আয়োজন করা হয়েছে বরেণ্য
চিত্রশিল্পী আবদুস শাকুর শাহর পক্ষকালব্যাপী একক প্রদর্শনী
‘রেট্রোস্পেকটিভ’। প্রদর্শনীতে শিল্পীর ৭০টি ড্রয়িং ও পেইন্টিং স্থান
পেয়েছে। এর মধ্যে আশি ও নব্বই দশকে আঁকা বেশ কিছু শিল্পকর্ম এবারই
প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। পয়লা মে
ধানমন্ডির শিল্পাঙ্গনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান
মুহাম্মদ আজিজ খান। এ সময় আরও বক্তব্য দেন শিল্পী আবদুস শাকু শাহ,
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক, শিল্প সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ ও
গ্যালারি শিল্পাঙ্গনের পরিচালক সাংবাদিক রুমী নোমান। আজিজ খান বলেন, দেশে
একসময় তেমন কোনো গ্যালারি ছিল না, ছিল না শিল্পীদের ছবি বিক্রির কোনো
উপযুক্ত স্থান। সেই সময় ফয়েজ আহমদ প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাঙ্গন। শিল্পী ও
শিল্পের জন্য অভাবনীয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। শিল্পী আবদুস শাকুর শাহ
বলেন, ‘আমার জানামতে ফয়েজ ভাই ছিলেন একজন বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী। তিনি
ছবি বিক্রির জন্য একটি গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি ফয়েজ
আহমদের সঙ্গে আড্ডা দিতে মাঝেমধ্যে আসতাম শিল্পাঙ্গনে। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন
বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। কীভাবে তিনি বিনা পাসপোর্টে আন্তর্জাতিক যুব
সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত অবস্থায় ভারতে গেছেন, তা
শুনতাম।’
চিত্র সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ বলেন, ‘ফোক মোটিভ নিয়ে আধুনিক চিন্তায় যে পথে ছিলেন যামিনী রায়, কামরুল হাসান ও কিছুদিন আগেও কাইয়ুম চৌধুরী, সেই পথেই কয়েক দশক ধরে আবদুস শাকুরের যাত্রা। তিনি যে কাজে হাত দিয়েছেন, চিত্রে তাঁর যে গবেষণা—তা আমাদের গ্রামবাংলার অনবদ্য জীবনকথা।’
চিত্র সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ বলেন, ‘ফোক মোটিভ নিয়ে আধুনিক চিন্তায় যে পথে ছিলেন যামিনী রায়, কামরুল হাসান ও কিছুদিন আগেও কাইয়ুম চৌধুরী, সেই পথেই কয়েক দশক ধরে আবদুস শাকুরের যাত্রা। তিনি যে কাজে হাত দিয়েছেন, চিত্রে তাঁর যে গবেষণা—তা আমাদের গ্রামবাংলার অনবদ্য জীবনকথা।’
No comments