গণতন্ত্র তখনই বিকশিত হবে যেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে -বার্নিকাট
আজকে
আমরা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন করছি। জাতিসংঘ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত
এই দিবসটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে কতটা
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা উদযাপন করার সুযোগ করে দেয়। প্রেসিডেন্ট
ওবামা যেমনটি বলেছেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস এমন একটি দিবস যখন আমরা
ঐসকল সাংবাদিকদেরকে সম্মান প্রদর্শন করি, আমরা যখন এই মুহুর্তে কথা বলছি
তারা হয়ত কারাভোগ করছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন এবং বিপদে রয়েছেন এবং অবশ্যই তাদের
প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি যারা এই কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী
আমরা সাংবাদিকদের সম্মান জানাই যারা অনেক বিপদের মোকাবেলা করেও সত্য
উন্মোচনের এবং তা ছড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকারের জন্য গণতান্ত্রিক আদর্শকে রক্ষা
করেন।
একটি গণতন্ত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা আমাদের নেতাদেরকে এবং আমাদেরকে অর্থাৎ জনগনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনেন। তারা আমাদের ও আমাদের সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে তারা সাহায্য করেন। সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকার জন্য প্রায়শঃই অন্যদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হন।
যারা মনে করে সাংবাদিকদের কারনে তারা হুমকির মুখে রয়েছে। আমাদের বিশ্ব, দেশ এবং সমাজ সেসকল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় তা নিয়ে প্রতিবেদন করার প্রচেষ্টার কারণে অনেকেই কারাবরণ করেছেন, হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং এমনকি নিহত হয়েছেন।
গণতন্ত্র কেবল সেখানেই বিকশিত হতে পারে যেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। সাংবাদিকরা যেমন আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করে তেমন আমাদেরও উচিত তাদের রক্ষা করা। বিশ্বের সর্বত্র নাগরিকদের সুবিধার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে আমাদের রক্ষা করতে হবে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, চিত্তে যেখা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির; জ্ঞান যেথা মুক্ত। আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন একটা বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে সব ধরনের লেখক চিন্তাবিদ ও সাংবাদিকরা কাদের বোধে আসা যে কোন সত্য কোন প্রকার প্রতিহিংসার ভয় ছাড়াই সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন। আমরা সবাই এই স্বপ্নের প্রতি সম্মান জানাই।
মার্শা বার্নিকাট, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
একটি গণতন্ত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা আমাদের নেতাদেরকে এবং আমাদেরকে অর্থাৎ জনগনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনেন। তারা আমাদের ও আমাদের সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে তারা সাহায্য করেন। সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকার জন্য প্রায়শঃই অন্যদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হন।
যারা মনে করে সাংবাদিকদের কারনে তারা হুমকির মুখে রয়েছে। আমাদের বিশ্ব, দেশ এবং সমাজ সেসকল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় তা নিয়ে প্রতিবেদন করার প্রচেষ্টার কারণে অনেকেই কারাবরণ করেছেন, হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং এমনকি নিহত হয়েছেন।
গণতন্ত্র কেবল সেখানেই বিকশিত হতে পারে যেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। সাংবাদিকরা যেমন আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করে তেমন আমাদেরও উচিত তাদের রক্ষা করা। বিশ্বের সর্বত্র নাগরিকদের সুবিধার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে আমাদের রক্ষা করতে হবে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, চিত্তে যেখা ভয়শূণ্য, উচ্চ যেথা শির; জ্ঞান যেথা মুক্ত। আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন একটা বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে সব ধরনের লেখক চিন্তাবিদ ও সাংবাদিকরা কাদের বোধে আসা যে কোন সত্য কোন প্রকার প্রতিহিংসার ভয় ছাড়াই সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন। আমরা সবাই এই স্বপ্নের প্রতি সম্মান জানাই।
মার্শা বার্নিকাট, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
No comments