মিউনিখে গার্দিওলার অগ্নিপরীক্ষা
বায়ার্ন মিউনিখের জেরোম বোয়াটেং আর ফ্রাঙ্ক রিবেরিরা প্রস্তুত হচ্ছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের জন্য। কাল মিউনিখে অনুশীলনে l এএফপি |
বায়ার্ন
মিউনিখে এটি তাঁর তৃতীয় মৌসুম। আগের দুই মৌসুমে বুন্দেসলিগা জিতেছেন,
এবারও যে জিতবেন—তা নিয়ে সন্দেহ নেই বললেই চলে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে দায়িত্ব
নেওয়ার পর প্রথম মৌসুমেই জার্মান কাপ জিতেছেন, এবারও তাঁর দল এরই মধ্যে
ফাইনালে উঠে গেছে। সঙ্গে একটি করে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ। তিন
বছরে এত কিছু! যেকোনো ক্লাবের হয়ে যেকোনো কোচের এসব অর্জনকে সাফল্য বলে
দেওয়া যায় চোখ বুজে। কিন্তু ক্লাবটা বায়ার্ন মিউনিখ বলেই এত কিছু করেও পেপ
গার্দিওলা সেখানে মূল্যায়িত হচ্ছেন খুবই সাধারণ হিসেবে। বায়ার্নকে যে
একবারও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে পারেননি তিনি! জার্মানিতে বাকি দলগুলোর
সঙ্গে বায়ার্নের এত ব্যবধান যে ওরা বুন্দেসলিগা না জিতলে সেটিই কিছুটা চমক
হয়ে আসে। একই কথা বলা যায় জার্মান কাপ নিয়েও। আর এমন একটা দলকে নিয়ে পেপ
গার্দিওলা সর্বশেষ দুবারই বিদায় নিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল
থেকে। প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে, পরের বার প্রতিপক্ষ ছিল
বার্সেলোনা। এবারও সেই সেমিফাইনালেই আরও এক স্প্যানিশ প্রতিপক্ষ এবং এবারও
প্রথম লেগ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে বায়ার্ন। ঘরের মাঠে আজ দ্বিতীয় লেগটা পেপ
গার্দিওলার জন্য অগ্নিপরীক্ষা ছাড়া আর কী!
কঠিন এ বাস্তবতাটা যে গার্দিওলাও জানেন, সেটি বোঝা যাবে তাঁর কথা শুনলেই, ‘আমি জার্মান সংবাদমাধ্যমেই পড়েছি, মিউনিখে আমার কাজের মূল্যায়ন হবে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ দিয়ে এবং আমাকে তখনই সফল বলা হবে, যদি আমি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে পারি। এটাই সত্যি।’ ভিসেন্তে ক্যালদেরনে গত সপ্তাহে প্রথম লেগ হেরে যাওয়ায় বাস্তবতা আরও কঠিন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত সমালোচনা আরও বাড়ছে। প্রবল আত্মবিশ্বাসী গার্দিওলা অবশ্য দুই দিন আগেই বলেছেন, ‘এখনো তো কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় লেগে আমাদের সুযোগ আছে। আমরা যদি ওই ম্যাচটা হেরেই যাই, তখন নাহয় আমাকে মারতে আসবেন।’ এই আত্মবিশ্বাসের অবশ্য একটা কারণও আছে। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো ম্যাচ হারেনি বায়ার্ন। পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতে জয়। এর মধ্যে শেষ ষোলোতে তো জুভেন্টাসের মাঠে ২-২ ড্র করে আসার পর মিউনিখে জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। সব মিলিয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজের মাঠে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত বায়ার্ন। ঘরের মাঠে বায়ার্নের এই দুর্দান্ত ফর্মের কথা অজানা নয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনেরও। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার মতো দলকে বিদায় করে দিয়ে এসেছেন বলেই সিমিওনেরও আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি নেই, ‘মিউনিখে তারা কত শক্তিশালী দল, এটা আমরা জানি। পুরো গ্যালারি ওদের পক্ষে থাকবে। তবে আমাদেরও সুযোগ আছে অ্যাওয়ে গোল করার। আর সেটা করতে পারলে আমাদের সুযোগও বেড়ে যাবে।’
কোচ এই আত্মবিশ্বাসটা ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর খেলোয়াড়দের মধ্যে। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর আরও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলার স্বপ্নের বিভোর তাঁরা। অ্যাটলেটিকো ফরোয়ার্ড আতোয়াঁ গ্রিজমানও তাই বলছেন, ‘আমরা খুবই ইতিবাচক। আমাদের দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলা। আমরা সর্বস্ব দিয়ে লড়ব।’ গার্দিওলার দল কি পারবে অ্যাটলেটিকোর এই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে? এএফপি।
খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাবের হয়ে ১০ বার ডিয়েগো সিমিওনের (অ্যাটলেটিকো, সেভিয়া) মুখোমুখি হয়েছেন পেপ গার্দিওলা (বার্সেলোনা)। সিমিওনে জিতেছেন তিনবার, চারবার গার্দিওলা। আর্জেন্টিনার হয়েও একবার পেপ গার্দিওলার স্পেনের বিপক্ষে খেলেছেন সিমিওনে। ১৯৯৯ সালের ওই ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
কঠিন এ বাস্তবতাটা যে গার্দিওলাও জানেন, সেটি বোঝা যাবে তাঁর কথা শুনলেই, ‘আমি জার্মান সংবাদমাধ্যমেই পড়েছি, মিউনিখে আমার কাজের মূল্যায়ন হবে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ দিয়ে এবং আমাকে তখনই সফল বলা হবে, যদি আমি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে পারি। এটাই সত্যি।’ ভিসেন্তে ক্যালদেরনে গত সপ্তাহে প্রথম লেগ হেরে যাওয়ায় বাস্তবতা আরও কঠিন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত সমালোচনা আরও বাড়ছে। প্রবল আত্মবিশ্বাসী গার্দিওলা অবশ্য দুই দিন আগেই বলেছেন, ‘এখনো তো কিছুই শেষ হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় লেগে আমাদের সুযোগ আছে। আমরা যদি ওই ম্যাচটা হেরেই যাই, তখন নাহয় আমাকে মারতে আসবেন।’ এই আত্মবিশ্বাসের অবশ্য একটা কারণও আছে। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো ম্যাচ হারেনি বায়ার্ন। পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতে জয়। এর মধ্যে শেষ ষোলোতে তো জুভেন্টাসের মাঠে ২-২ ড্র করে আসার পর মিউনিখে জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। সব মিলিয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিজের মাঠে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত বায়ার্ন। ঘরের মাঠে বায়ার্নের এই দুর্দান্ত ফর্মের কথা অজানা নয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনেরও। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার মতো দলকে বিদায় করে দিয়ে এসেছেন বলেই সিমিওনেরও আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি নেই, ‘মিউনিখে তারা কত শক্তিশালী দল, এটা আমরা জানি। পুরো গ্যালারি ওদের পক্ষে থাকবে। তবে আমাদেরও সুযোগ আছে অ্যাওয়ে গোল করার। আর সেটা করতে পারলে আমাদের সুযোগও বেড়ে যাবে।’
কোচ এই আত্মবিশ্বাসটা ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর খেলোয়াড়দের মধ্যে। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর আরও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলার স্বপ্নের বিভোর তাঁরা। অ্যাটলেটিকো ফরোয়ার্ড আতোয়াঁ গ্রিজমানও তাই বলছেন, ‘আমরা খুবই ইতিবাচক। আমাদের দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলা। আমরা সর্বস্ব দিয়ে লড়ব।’ গার্দিওলার দল কি পারবে অ্যাটলেটিকোর এই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে? এএফপি।
খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাবের হয়ে ১০ বার ডিয়েগো সিমিওনের (অ্যাটলেটিকো, সেভিয়া) মুখোমুখি হয়েছেন পেপ গার্দিওলা (বার্সেলোনা)। সিমিওনে জিতেছেন তিনবার, চারবার গার্দিওলা। আর্জেন্টিনার হয়েও একবার পেপ গার্দিওলার স্পেনের বিপক্ষে খেলেছেন সিমিওনে। ১৯৯৯ সালের ওই ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
No comments