হরতাল-অবরোধ নয়: গণমিছিল, সমাবেশ হোক
বিএনপির
নেতৃত্বাধীন জোট আজ থেকে ফের দেশবাসীর ওপর ৭২ ঘণ্টার আরেকটি হরতাল চাপিয়ে
দিয়েছে; লাগাতার অবরোধ তো চলছেই। বিরোধী দলের দাবির পক্ষে যত যুক্তিই
থাকুক না কেন, জবরদস্তিমূলক হরতাল-অবরোধের যুক্তি নেই। তাদের কর্মসূচিকে
কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতায় ইতিমধ্যে শতাধিক লোকের জীবনহানি ছাড়াও
জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে হচ্ছে
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। এ অবস্থায় আগামী ১ এপ্রিল থেকে
অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষাও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফলে আর এক দিনও
হরতাল–অবরোধ নয়।
তবে বিরোধী দল পাড়ায় পাড়ায় গণমিছিলের যে কর্মসূচি নিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। সরকার, তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত হবে না এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া। আগেরবার বিরোধী দল বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা তাদের মাঠে নামতে দেওয়া হবে না বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলে।
কেননা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, কোনো রাজনৈতিক দলের মিছিল বা সমাবেশ বন্ধ করা নয়। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে কিংবা জনজীবনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। তাই বলে বিরোধী দলকে মাঠে নামতে না দেওয়ার কী কারণ থাকতে পারে?
আমরা আশা করি, সরকার ভবিষ্যতেও বিরোধী দলের আহূত গণমিছিল কর্মসূচি পালনে বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। বিরোধী দল যাতে হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির অজুহাত খাড়া করতে না পারে, সেই নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে। আমাদের সাফ কথা, শান্তিপূর্ণ গণমিছিল, সভা-সমাবেশ চলুক, হরতাল-অবরোধ, সহিংসতা বন্ধ হোক। জনগণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকুক। রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরে আসুক।
তবে বিরোধী দল পাড়ায় পাড়ায় গণমিছিলের যে কর্মসূচি নিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। সরকার, তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত হবে না এ ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া। আগেরবার বিরোধী দল বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা তাদের মাঠে নামতে দেওয়া হবে না বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তোলে।
কেননা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, কোনো রাজনৈতিক দলের মিছিল বা সমাবেশ বন্ধ করা নয়। যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে কিংবা জনজীবনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। তাই বলে বিরোধী দলকে মাঠে নামতে না দেওয়ার কী কারণ থাকতে পারে?
আমরা আশা করি, সরকার ভবিষ্যতেও বিরোধী দলের আহূত গণমিছিল কর্মসূচি পালনে বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। বিরোধী দল যাতে হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির অজুহাত খাড়া করতে না পারে, সেই নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে। আমাদের সাফ কথা, শান্তিপূর্ণ গণমিছিল, সভা-সমাবেশ চলুক, হরতাল-অবরোধ, সহিংসতা বন্ধ হোক। জনগণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকুক। রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরে আসুক।
No comments