‘না’ ভোট দিতে তিন ব্রিটিশ নেতার আহ্বান
রোববার স্কটল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে ডেভিড ক্যামেরন। রয়টার্স |
যুক্তরাজ্যের প্রধান তিন দলের নেতা কনজারভেটিভ দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, লেবার নেতা এড মিলিব্যান্ড এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা নিক ক্লেগ ‘না’ ভোট দিতে স্কট্ল্যান্ডবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের গণভোটে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিপক্ষে ভোট দিলে স্কটল্যান্ডকে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য তাঁরা একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষরও করেছেন। খবর বিবিসির। তিন নেতার স্বাক্ষর করা অঙ্গীকারনামা গতকাল মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি রেকর্ড-এর প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়। অঙ্গীকারটিতে তিনটি অংশ আছে। এর মধ্যে ‘বারনেট ফর্মুলা’ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
বারনেট ফর্মুলার মাধ্যমেই যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয় উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে সরকারি ব্যয়বরাদ্দ নির্ধারণ করে। অঙ্গীকারের প্রথম দফায় স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টের জন্য আরও বেশি মাত্রায় নতুন ক্ষমতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আছে। এর জন্য সময়সীমা নির্ধারণেরও অঙ্গীকার করেছেন তিন নেতা। দ্বিতীয় ভাগে সম্পদের সুষম বণ্টন করে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। তৃতীয় ভাগে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায় (এনএইচএস) আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষের সমর্থকেরা বলছেন, কেবল স্বাধীনতাই ক্ষমতাবৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিতে পারে। আগামীকালের গণভোটে যদি স্বাধীনতার পক্ষে রায় হয়, তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ৩০০ বছরের জোটের ছেদ হবে স্কটল্যান্ডের। যুগোশ্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পর ইউরোপে আরেক নতুন দেশের জন্ম হবে। নির্বাচন-পূর্ব কয়েকটি জনমত জরিপের ফলাফল বলছে, নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। প্রথম দিকে পিছিয়ে থাকলেও শেষ দিকের জরিপগুলোতে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত বেড়ে যায়। শুক্রবারই নির্বাচনের ফল ঘোষিত হবে।
No comments