কিছুই দিই না, শুধু নিই
ছোট্ট ছেলেমেয়েগুলোর চোখমুখ উজ্জ্বল। দেখলে আদর করতে ইচ্ছা করে, এমন সব বাচ্চা। এসেছে প্রথম আলোর কার্যালয়ে। এদের কারও বাবা, কারও মা মারা গেছে এক বছর আগে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায়। আমি ওই বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। এই বাচ্চাদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। একজন বাবা চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলেন, ‘আপনারা কত টাকা দিচ্ছেন এটা ব্যাপার নয়, আপনারা যে বলছেন, এই বাচ্চা যত দিন পড়াশোনা করবে, তত দিন আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন, এই কথাটা কোটি টাকার চেয়ে বেশি।’ আমার বুকে ব্যথা করে। এই মানুষগুলোই আসল মানুষ। এঁরা আমাদের কারখানার চাকা ঘোরান, এঁরা আমাদের প্রগতির চাকা ঘোরান।
বিনিময়ে এই দেশ, এই সমাজ, এই রাষ্ট্র এঁদের কী দেয়? এঁদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাই বা কী! এই দেশটায় একটা অদ্ভুত নিয়ম আছে, যাঁরা প্রকৃতপক্ষে দেশের জন্য কিছু করেন, তাঁদের অবজ্ঞা করা হয় পদে পদে। আমি একাধিকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থানুকূল্যে সে দেশ সফর করেছি। আমাদের ওই সব কর্মসূচি দেখভাল করতেন যেসব মার্কিন কর্মকর্তা, তাঁরা প্রতিনিয়ত প্রতিটা পয়সা বাঁচানোর চেষ্টা করতেন, আর বলতেন, এসব ট্যাক্সপেয়ার’স মানি। করদাতাদের টাকা। অপচয় করা যাবে না। আর যাঁরা এই করটা দেন, তাঁদের ওঁরা স্মরণ করছেন পদে পদে। আর বাংলাদেশে আমরা যখন সরকারি কোনো তহবিল পাই, তখন আমাদের একটাই স্লোগান, কোম্পানি কা মাল, দরিয়া মে ঢাল। সরকারি টাকা যথেচ্ছ লুটপাট করো। সরকারের টাকা তো
No comments