ক্রিমিয়াকে যুক্ত করলে কূটনীতির দরজা বন্ধ
ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত ক্রিমিয়ায় পর্যবেক্ষকদের ঢুকতে দেয়নি ‘রুশপন্থী’ সশস্ত্র ব্যক্তিরা। পর্যবেক্ষকদের বাধা দিতে সতর্কতামূলক সংকেত হিসেবে গুলি ছুড়েছে তারা। ক্রিমিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ইউক্রেনের একটি সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। এদিকে রাশিয়াকে পাল্টা হুঁশিয়ার করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে চাইলে সংকট সমাধানের ‘কূটনীতির দরজা’ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি।’ তিন দিন ধরে চেষ্টার পরও ক্রিমিয়ায় ঢুকতে না পেরে ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতাবিষয়ক সংগঠন ওএসসিইর ওই পর্যবেক্ষক দল গত শনিবার ফিরে গেছে। ওএসসিইর পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল ক্রিমিয়ার পরিস্থিতি দেখতে তিন দিন ধরে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ‘রুশপন্থী সশস্ত্র ব্যক্তিরা’ সতর্কতামূলক গুলি ছুড়ে তাদের ক্রিমিয়ায় ঢুকতে বাধা দেয়। তবে এতে পর্যবেক্ষক দলের কেউ হতাহত হননি। পরে ওই পর্যবেক্ষক দল ফিরে যায়। ওএসসিইর একজন মুখপাত্র তাঁদের পর্যবেক্ষকদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের আমন্ত্রণে ওই পর্যবেক্ষক দল ক্রিমিয়ায় ঢুকতে চেয়েছিল।
ক্রিমিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ইউক্রেনের একটি সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চৌকির অন্তত ৩০ জন সীমান্তরক্ষীকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় রক্তপাতের খবর পাওয়া যায়নি। ইউক্রেন বা রুশ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বলেন, ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ। তাই ক্রিমিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সামরিক উত্তেজনা এড়াতে মস্কোর কাজ করা উচিত। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে চাইলে ‘কূটনীতির দরজা’ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন গতকাল রোববার মস্কোয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত। তবে আলোচনা হতে হবে সৎ ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে। কারণ, আমরা কোনো সংকট সৃষ্টি করতে চাই না।’ ইউক্রেনের জাতীয় বীর কবি তারাশ শেভচেঙ্কোর ২০০তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সমাবেশের আয়োজন করে রুশবিরোধীরা। সমাবেশ থেকে ক্রিমিয়া নিয়ে রুশ কর্মকাণ্ডের প্রতি নিন্দা জানানো হয়। বিবিসি ও এএফপি।
No comments