মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘মানবঢাল’ করা হচ্ছে বন্দীদের
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বন্দীদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। জাতিসংঘের নেতৃত্বে তারা এ অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
এইচআরডব্লিউ মিয়ানমারের অনেক নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করে। এর মধ্যে নৃশংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা অপরাধীরাও আছে। ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে আসে তারা।
‘ডেড ম্যান ওয়াকিং’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ জানায়, মিয়ানমারে দণ্ডিত অপরাধীদের ওপর নির্মম ‘নৃশংসতা’ চালানো হচ্ছে। জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ওই অপরাধীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দণ্ডিত অপরাধীদের এভাবে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া মহাদেশের উপপরিচালক এলেইন পিয়ারসন গতকাল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মূলত দণ্ডিত অপরাধীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। মাইন পেতে রাখা হয়েছে—এমন এলাকাগুলোতে যুদ্ধের জন্য ব্যবহূত ভারী সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার কাজে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে।’
পিয়ারসন বলেন, যুদ্ধাপরাধের এমন অপরাধ মিয়ানমারে জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি রাখে। তিনি বলেন, দণ্ডিত অপরাধীদের সামনে রাখা তাদের যুদ্ধাপরাধের অনেক উদাহরণের মধ্যে একটি। সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের আবাসস্থল শহর ও গ্রামে নির্বিচার হামলা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহারের মতো যুদ্ধাপরাধ করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে প্রায় ৫০ বছর ধরে সামরিক শাসন চলার পর গত মার্চে নামমাত্র বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সামরিক জান্তা। ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতার পর থেকে মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সশস্ত্র আন্দোলনের কারণে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে।
এইচআরডব্লিউ মিয়ানমারের অনেক নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করে। এর মধ্যে নৃশংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা অপরাধীরাও আছে। ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে আসে তারা।
‘ডেড ম্যান ওয়াকিং’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ জানায়, মিয়ানমারে দণ্ডিত অপরাধীদের ওপর নির্মম ‘নৃশংসতা’ চালানো হচ্ছে। জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ওই অপরাধীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দণ্ডিত অপরাধীদের এভাবে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া মহাদেশের উপপরিচালক এলেইন পিয়ারসন গতকাল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মূলত দণ্ডিত অপরাধীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। মাইন পেতে রাখা হয়েছে—এমন এলাকাগুলোতে যুদ্ধের জন্য ব্যবহূত ভারী সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার কাজে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে।’
পিয়ারসন বলেন, যুদ্ধাপরাধের এমন অপরাধ মিয়ানমারে জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি রাখে। তিনি বলেন, দণ্ডিত অপরাধীদের সামনে রাখা তাদের যুদ্ধাপরাধের অনেক উদাহরণের মধ্যে একটি। সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের আবাসস্থল শহর ও গ্রামে নির্বিচার হামলা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও যুদ্ধে শিশুদের ব্যবহারের মতো যুদ্ধাপরাধ করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে প্রায় ৫০ বছর ধরে সামরিক শাসন চলার পর গত মার্চে নামমাত্র বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সামরিক জান্তা। ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতার পর থেকে মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সশস্ত্র আন্দোলনের কারণে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে।
No comments