শেষ আটে আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে
গত বিশ্বকাপের পর থেকেই ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপেই যেন না খেলার খেলে ফেলেছেন গোল্ডেন বল বিজয়ী ডিয়েগো ফোরলান। উরুগুয়ের এই তারকা জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অবশেষে আবারও ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। গোল পাননি, তবে গতকাল মেক্সিকোর বিপক্ষে উরুগুয়ের ১-০ গোলে জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। ১৪ মিনিটে আলভারো পেরেইরার গোলটা ফোরলানেরই বানিয়ে দেওয়া। তাঁর একটি শটও পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে।
ফোরলানের জন্য ম্যাচটা ছিল বিশেষ কিছু। এই ম্যাচ দিয়েই ছুঁয়ে ফেললেন উরুগুয়ের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৭৯টি) খেলার রেকর্ড। উপলক্ষ স্মরণীয় করে রাখতেই যেন জ্বলে উঠেছিলেন ফোরলান। শেষ পর্যন্ত ন্যূনতম ব্যবধানে জিতলেও পুরো ম্যাচে ছিল উরুগুয়ের দাপট। এই জয় কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করে দিল কোপা আমেরিকার সবচেয়ে সফল দলটিকে।
শেষ আটে অবশ্যই অগ্নিপরীক্ষাতেই পড়তে হচ্ছে। প্রতিপক্ষ অবশেষে স্বরূপে দেখা দেওয়া স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। রোববার বাংলাদেশ সময় ভোররাত সোয়া ৪টায় শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী দেশ।
ওদিকে আরেক ম্যাচে চিলির কাছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১-০ গোলে হেরে গেছে পেরু। খেলা শেষের বাঁশি বাজার একদম আগমুহূর্তে, ৯২ মিনিটে আন্দ্রে কারিল্লোর আত্মঘাতী গোলে এই পরাজয়। অবশ্য হেরেও তৃতীয় সেরা দল হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে পেরু।
দুই দলেরই শেষ আট মোটামুটি নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। ম্যাচটায় সেই অর্থে অতটা উত্তাপ ছড়ানোর কথা ছিল না। কিন্তু ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্লাসিকো’ ঠিকই তার নাম রেখেছে। ৬১ মিনিটে বাদাদুবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের দুই খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেছেন। চিলি হারিয়েছে জ্যঁ বোশেজো, পেরু জিয়ানকার্লো কারমোনাকে। পেরুর চার খেলোয়াড় হলুদ কার্ডও দেখেছে। ফলে শেষ আটে অনেক খেলোয়াড়ই দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় ভুগবে।
এই পরাজয়ের পর পেরুর কোচ সার্জিও মার্কারিয়ানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াই প্রত্যাশিত ছিল। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে সংবাদমাধ্যম, প্রতিপক্ষ কোচ আর রেফারি কেউই তাঁর সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পাননি। সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ পেরুকে রক্ষণাত্মক দল হিসেবে আখ্যায়িত করায়। আর রেফারির ওপর তাঁর খেলোয়াড়দের এত কার্ড দেখানোয়। মার্কারিয়ান যেটিকে বলেছেন ‘হাস্যকর’।
সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিয়ে বলেছেন, ‘কাউকে আক্রমণাত্মক আর কাউকে রক্ষণাত্মক লেবেল দেওয়ার এই প্রথায় আমি একেবারেই বিরক্ত। যেসব মিডিয়া, সাংবাদিক আর কোচরা এসব কথা বলেন, তাদের ওপর আমার ঘেন্না ধরে গেছে। কোনো কোনো কোচ আছে যাদের আক্রমণাত্মক বলা হয়, কোনো কোচ আছে যাদের বলা হয় রক্ষণাত্মক। এটা সবখানে সব দেশেই হয়। আপনার কাছে তেমন খেলোয়াড় ও ঐতিহ্য থাকলে নিজেকে আক্রমণাত্মক কোচ হিসেবে জাহির করাই যায়। আমি আসলেই এসব নিয়ে বিরক্ত।’
উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেজের এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তাঁর একটাই আক্ষেপ, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এক বছর পর গোলের দেখা পেতে পেতেও পেলেন না ফোরলান। ম্যাচ শেষ হতে না-হতেই অবশ্য ভাবতে শুরু করেছেন আর্জেন্টিনাকে নিয়ে, ‘এটা আমাদের জন্য কঠিন একটা ম্যাচ হতে চলেছে। টুর্নামেন্ট এখন দারুণ জমে উঠেছে। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য মারো নয় মরো ম্যাচ।
ফোরলানের জন্য ম্যাচটা ছিল বিশেষ কিছু। এই ম্যাচ দিয়েই ছুঁয়ে ফেললেন উরুগুয়ের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৭৯টি) খেলার রেকর্ড। উপলক্ষ স্মরণীয় করে রাখতেই যেন জ্বলে উঠেছিলেন ফোরলান। শেষ পর্যন্ত ন্যূনতম ব্যবধানে জিতলেও পুরো ম্যাচে ছিল উরুগুয়ের দাপট। এই জয় কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত করে দিল কোপা আমেরিকার সবচেয়ে সফল দলটিকে।
শেষ আটে অবশ্যই অগ্নিপরীক্ষাতেই পড়তে হচ্ছে। প্রতিপক্ষ অবশেষে স্বরূপে দেখা দেওয়া স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। রোববার বাংলাদেশ সময় ভোররাত সোয়া ৪টায় শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশী দেশ।
ওদিকে আরেক ম্যাচে চিলির কাছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১-০ গোলে হেরে গেছে পেরু। খেলা শেষের বাঁশি বাজার একদম আগমুহূর্তে, ৯২ মিনিটে আন্দ্রে কারিল্লোর আত্মঘাতী গোলে এই পরাজয়। অবশ্য হেরেও তৃতীয় সেরা দল হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে পেরু।
দুই দলেরই শেষ আট মোটামুটি নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। ম্যাচটায় সেই অর্থে অতটা উত্তাপ ছড়ানোর কথা ছিল না। কিন্তু ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্লাসিকো’ ঠিকই তার নাম রেখেছে। ৬১ মিনিটে বাদাদুবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের দুই খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেছেন। চিলি হারিয়েছে জ্যঁ বোশেজো, পেরু জিয়ানকার্লো কারমোনাকে। পেরুর চার খেলোয়াড় হলুদ কার্ডও দেখেছে। ফলে শেষ আটে অনেক খেলোয়াড়ই দুই হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় ভুগবে।
এই পরাজয়ের পর পেরুর কোচ সার্জিও মার্কারিয়ানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াই প্রত্যাশিত ছিল। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে সংবাদমাধ্যম, প্রতিপক্ষ কোচ আর রেফারি কেউই তাঁর সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পাননি। সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ পেরুকে রক্ষণাত্মক দল হিসেবে আখ্যায়িত করায়। আর রেফারির ওপর তাঁর খেলোয়াড়দের এত কার্ড দেখানোয়। মার্কারিয়ান যেটিকে বলেছেন ‘হাস্যকর’।
সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিয়ে বলেছেন, ‘কাউকে আক্রমণাত্মক আর কাউকে রক্ষণাত্মক লেবেল দেওয়ার এই প্রথায় আমি একেবারেই বিরক্ত। যেসব মিডিয়া, সাংবাদিক আর কোচরা এসব কথা বলেন, তাদের ওপর আমার ঘেন্না ধরে গেছে। কোনো কোনো কোচ আছে যাদের আক্রমণাত্মক বলা হয়, কোনো কোচ আছে যাদের বলা হয় রক্ষণাত্মক। এটা সবখানে সব দেশেই হয়। আপনার কাছে তেমন খেলোয়াড় ও ঐতিহ্য থাকলে নিজেকে আক্রমণাত্মক কোচ হিসেবে জাহির করাই যায়। আমি আসলেই এসব নিয়ে বিরক্ত।’
উরুগুয়ে কোচ অস্কার তাবারেজের এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। তাঁর একটাই আক্ষেপ, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এক বছর পর গোলের দেখা পেতে পেতেও পেলেন না ফোরলান। ম্যাচ শেষ হতে না-হতেই অবশ্য ভাবতে শুরু করেছেন আর্জেন্টিনাকে নিয়ে, ‘এটা আমাদের জন্য কঠিন একটা ম্যাচ হতে চলেছে। টুর্নামেন্ট এখন দারুণ জমে উঠেছে। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য মারো নয় মরো ম্যাচ।
No comments