আঘাত এই প্রথম নয়

থিলান সামারাবীরার নাম নিশ্চয়ই শোনেননি টোগোর গোলকিপার কোদজোভি ওবিলালে ও ডিফেন্ডার সার্গে আকাকপো। কিন্তু প্রায় একই রকম নিয়তির চক্রে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গেলেন তাঁরা। গত বছর মার্চে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের বাসে একই ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছিলেন সামারাবীরা। আর পরশু অ্যাঙ্গোলার ওই ঘৃণ্য আক্রমণে টোগোর দুই গুলিবিদ্ধ ফুটবলারের নাম ওবিলালে আর আকাকপো।
শান্তির দূত ক্রীড়া তারকাদের ওপর হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ১১ ইসরায়েলি অ্যাথলেট ও কোচ, একজন জার্মান পুলিশ কর্মকর্তা আর একজন পাইলট নিহত হন আততায়ীদের হামলায়। ক্রীড়া ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় বোধহয় এটাই। ১৯৯৬ আটালান্টা অলিম্পিকেও বোমা বিস্ফোরণে দুজন নিহত এবং ১১০ জনেরও বেশি আহত হন। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কায় নববর্ষ উদ্যাপনের জন্য আয়োজিত ম্যারাথন দৌড় শুরুর আগে তামিল টাইগারদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও একাধিকবার খেলা বা কোনো দলের সফর পিছিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তার অভাবেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোও সরিয়ে আনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কিছু ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে অনাগ্রহী অনেক দিন থেকেই। শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার পর তো সেখানে যাওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না কেউই।
শুধু ক্রিকেট নয়, ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা সেমিফাইনালটি পিছিয়ে দিতে হয়েছিল হুমকির মুখে। ২০০৪ সালে স্প্যানিশ লিগে রিয়ালের একটি ম্যাচও স্থগিত করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.