গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন ইসরাইলের
এতে বলা হয়, শনিবার মধ্যরাতে পূর্বঘোষিত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই অস্থায়ীভাবে মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। তারা জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব অনুযায়ী গাজায় আটক ইসরাইলি সকল মৃত ও জীবিত জিম্মিদের প্রথম দিনেই মুক্তি দেয়া হবে। আর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলে বাকি সকল জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে। তবে ইসরাইলের সর্বশেষ পদক্ষেপ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি হামাস। নেতানিয়াহুর ডাকা দীর্ঘ ৪ ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠকের পর গাজায় অস্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় দাবি করেছে, এখনও মার্কিন পরিকল্পনায় রাজি হয়নি হামাস। সংগঠনটি যদি ওই চুক্তিতে সম্মত হয় তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ইসরাইল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওই রাষ্ট্রদূতের দেয়া ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হয় তাহলে ৪২ দিন পর আবারও গাজায় হামলা করতে পারবে ইসরাইল। এদিকে হামাস জানিয়েছে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শেষ হবে এমন নিশ্চয়তা পেলে প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হবে না হামাস। জেরুজালেম থেকে বিবিসির পল অ্যাডামস জানিয়েছেন, গাজায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। এমনকি ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরের কোনো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছেও ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি নয় তারা।
গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয় এ বছরের ১৯ জানুয়ারি। যার প্রথম ধাপ এই শনিবার শেষ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আরও দুটি ধাপ রয়েছে। দীর্ঘ ১৫ মাস সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় উভয় পক্ষ। প্রথম ধাপে থাইল্যান্ডের পাঁচজন এবং ইসরাইলের ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ১৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখনও যে সকল জিম্মি আটক রয়েছে তাদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার সহ দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করেনি কোনো পক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, ২৪ জন জিম্মি জীবিত আছেন, আর ৩৯ জন মারা গেছেন।
No comments